যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি আমাদের প্রয়োজন নেই
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের জিএসপির (পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা) কোনো প্রয়োজন নেই।
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতই অগ্রগতি করি না কেন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেবে না। সব শর্ত পূরণ করা হলেও যুক্তরাষ্ট্র এ সুবিধা দেবে না। আর আমাদের সুবিধার প্রয়োজনও নেই।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা অচিরেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে চলেছি। তাই জিএসপির প্রশ্নই ওঠে না। তখন জিএসপির প্রশ্ন উঠবে আমাদের সঙ্গে ইইউর সঙ্গে। যাদের কাছ থেকে আমরা জিএসপি প্লাস চাইব।’
‘বাংলাদেশের সামান্য পণ্যতে জিএসপি পেতাম’ উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ইইউর জিএসপি আর যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি এক নয়। আমরা শুধু তামাক, সিরামিক, প্লাস্টিক-এ রকম তিন-চারটি পণ্যের ওপর জিএসপি পেতাম। তৈরি পোশাকে দিত না। মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারের ওপর আমরা জিএসপি পেতাম। অথচ আমরা রফতানি করি ছয় বিলিয়ন ডলারের মতো।’
জাপান সফরের জন্য দেশটির সরকারের আমন্ত্রণ পেয়েছেন জানিয়ে তোফায়েল বলেন, স্বাধীনতার পর জাপানের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। স্বাধীনতার পর জাপানের কাছ থেকে সব থেকে বেশি আর্থিক সহায়তা পেয়েছি।
তিনি বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে একাধিকার মিলিত হয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছেন। অনেক চুক্তি আমরা করেছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল আমাদের যেকোনো একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপান বিনিয়োগ করবে। জাপান আমাদেরকে দুটি পণ্য ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ায় রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে।আশা করি এক সময় জাপানে দুই বিলিয়ন ডলারের মত রপ্তানি হবে।