আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দিলো স্পেন
প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনাকে লিওনেল মেসিসহ দেখতে চেয়েছিল স্পেন। কিন্তু ইনজুরির কারণে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলেন না বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড। তাকে ছাড়া আগের ম্যাচে ইতালিকে ২-০ গোলে হারালেও মঙ্গলবার ওয়ান্দা মেত্রোপলিতনে স্প্যানিশদের কাছে বিধ্বস্ত হলো আর্জেন্টিনা। তাদের ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিক করে হুলেন লোপেতগুইর স্পেনকে টানা ১৮ ম্যাচ অজেয় রাখলেন ইস্কো। গত শুক্রবার জার্মানির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবার মেসিহীন আর্জেন্টিনাকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে দিলো তারা।
দিয়েগো কস্তা স্পেনকে এগিয়ে দেন। এরপর মার্কো আসেনসিও তার দ্বিতীয় অ্যাসিস্টে ইস্কোকে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বিরতির আগে নিকোলাস ওতামেন্দি আর্জেন্টিনার হয়ে একটি গোল শোধ দিয়েছিলেন। কিন্তু অতিথিদের জন্য সেটা কেবল সান্ত্বনা হয়ে থাকলো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্কোর দ্বিতীয় গোলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয় স্পেন। রিয়াল মাদ্রিদের প্লেমেকার আরও চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করেছেন। স্পেনের চতুর্থ গোলটি থিয়াগো আলকান্তারাকে দিয়ে করান তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষকে সাবধান করে দিতে পঞ্চম গোলটি করেন ইয়াগো আসপাস। তিনিই ইস্কোর হ্যাটট্রিক গোলটি বানিয়ে দেন।
১৪২তম ম্যাচে খেলতে নেমে হাভিয়ের জানেত্তিকে স্পর্শ করার দিনটি ভালো হলো না আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার হাভিয়ের মাসচেরানোর জন্য। মেসিহীন আক্রমণভাগের দৈন্য দশার সঙ্গে তার রক্ষণভাগ ভেঙে হয়েছে চুরমার।
অবশ্য অষ্টম মিনিটে গনসালো হিগুয়েইন আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিতে পারতেন। ডিবক্সের মধ্যে ম্যাক্সিমিলিয়ানো মেজার ক্রস থেকে কেবল গোলরক্ষককে পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি জুভেন্টাসের ফরোয়ার্ড। প্রথম সুযোগ নষ্ট করার মাশুল তারা দিয়েছে কিছুক্ষণ পর। ১২ মিনিটে গোলমুখের খুব কাছ থেকে স্পেনকে এগিয়ে দেন কস্তা। অবশ্য গোল করতে গিয়ে অতিথি গোলরক্ষক সের্হিয়ো রোমেরোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড। দুজনকেই বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মেজা তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল পেতে পারতেন। কিন্তু রামোসের প্রতিরোধে সফল হননি তিনি।
২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্পেন। আসেনসিওর নিচু ক্রস থেকে বদলি গোলরক্ষক উইলি কাবায়েরোকে পরাস্ত করেন ইস্কো। ৩৯ মিনিটে এভার বানেগার সহায়তায় নিচু হেডে একটি গোল শোধ দেন ওতামেন্দি।
৫২ মিনিটে আসপাসের পাস থেকে ৩-১ করেন ইস্কো। তিন মিনিট পর রিয়াল তারকা আলকান্তারাকে দিয়ে চতুর্থ গোল করান। ৭৩ মিনিটে আসপাস পঞ্চম গোল করার পরের মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন ইস্কো।
এমন হারের লজ্জার পর হোর্হে সাম্পাওলির একটাই আশা, জুনে মেসি ফিরবেন এবং ফেরাবেন দলের আত্মবিশ্বাস।