রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ এবং সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ এবং সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক কমিটির প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়ে বিশ্ব যাতে সজাগ থাকে এবং জনগণ যাতে ওই দুর্দশার কথা ভুলে না যায় সে জন্য যুক্তরাজ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
কমিটির সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি আগামী মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলবেন কি না। টেরেজা মে বলেন, এ সংকট সমাধানে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তিনি কাজ করবেন। বিশেষ করে, লন্ডনে কমনওয়েলথ সম্মেলনের ফাঁকে এর সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকগুলোতে তিনি এ ইস্যু তুলে ধরবেন।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকার জাতিসংঘ ও সরাসরি মিয়ানমার সরকারের কাছে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরছেন। আগামীতে এটি তাঁরা অব্যাহত রাখবেন।
লেবার দলের পার্লামেন্ট সদস্য স্টিফেন টুইগ কমিটিকে স্মরণ করিয়ে দেন, গত মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলকে লন্ডনে অবস্থিত মিয়ানমার দূতাবাস ভিসা দেয়নি। যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডির অর্থ মিয়ানমার ও বাংলাদেশে কীভাবে কাজে লাগছে তা অনুসন্ধানের জন্য ওই প্রতিনিধি দলটি এই দুই দেশ সফর করতে চেয়েছিল।
ভিসা প্রত্যাখান প্রসঙ্গে টুইগ বলেন, আমরা অত্যন্ত হতাশ হয়েছি। রোহিঙ্গা নিয়ে আমাদের প্রতিবেদনের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবেই ভিসা দেওয়া হয়নি- এমন সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়ে পারা যায় না।