প্রাণের ৭১

অনেক পাকিস্তানি তো নিজেদের পাকিস্তানি বলে পরিচয় ও দেয় না ভয়ে।

মোছাম্মত রুমানিয়া ফারজানার ফেসবুক ওয়াল থেকে:

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে কাপড় খুলে তল্লাশি করেছে  নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে এটা তেমন কিছু না। ইমিগ্রেশন অফিসার সন্দেহ হলে তা করার ক্ষমতা তার আছে। সেকি প্রেসিডেন্ট না সাধারন কেউ এটা তার দেখার বিষয় না। তার যে কর্তব্য সেটা সে পালন করেছে। ্তার সন্দেহ হয়েছে চেক করেছে। প্রশ্ন আসতে পারে তাই বলে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ?

মুল কারন হল , জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে ৬টি মুসলিম দেশের ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আগেই । ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমলিয়া পরবর্তিতে পাকিস্তানকে নজরে রাখা।  । ভিসা নিষেধাজ্ঞা করার যুক্তি ছিল আমেরিকাকে সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে নিরাপদ রাখা। তাই যেসব মুসলিম দেশের ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়। এ ছাড়া পাকিস্তানে যে ভাবে বোমা হামলা হয়, সন্ত্রাস বাদ হয় এই নিয়ে ট্রাম হুশিয়ারি করেছে যদি জঙ্গিবাদ থেকে সরে আসার জন্য। আমেরিকা গত কয়েক বছর পাকিস্তানকে যে পরিমান সহায়তা করেছে দেখা গেছে সহায়তা নিয়ে উলটা পাকিস্তান আল কায়দার সাথে যোগাযোগ রেখেছে। এ ক্ষেত্রে ট্রাম সরকার সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের ব্যপারে ট্রাম খুব শক্ত অবস্থানে আছে।

আর এদিকে সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়েছে যেসব পাকিস্তানি যারা আমেরিকায় আছে ,তারা না পাড়ছে জোড়ালো  প্রতিবাদ করতে ,না পাড়ছে তাদের প্রধানমন্ত্রীর অপমান মেনে নিতে। প্রতিবাদ করলে ট্রাম সরকার ঘাড় ধরে আমেরিকা থেকে বের করে দিবে। অনেক পাকিস্তানি তো নিজেদের পাকিস্তানি বলে পরিচয় ও দেয় না ভয়ে।

বর্তমানে জঙ্গিবাদ  এবং অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম শক্ত অবস্থানে আছে, তাই প্রেসিডেন্টকে তল্লাসী এটাতে অবাক হই না।

বরং জঙ্গিবাদের কারনে যেসব মুসলিম দেশের ভিসা বন্ধ রেখেছে বা যেসব দেশের কড়া নজরদারি রেখেছে তাদের ইমিগ্রশনে একটু কড়াকড়ি চেক করবে এটা স্বাভাবিক।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*