দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ে নিহত চার, আহত শতাধিক
শুক্রবার বিকেলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। রাজধানীত ঢাকায় বিকেলে হঠাৎ করেই আকাশ কালো হয়ে শুরু হয় ঝড়। তীব্র ধূলিঝড়ের সাথে শুরু হয় প্রচণ্ড শব্দে বৃষ্টিপাত।
এদিকে দুপুরের দিকে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে রংপুরের বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়ায় বজ্রপাতে শামিম ও নয়া মিয়া নামে দুইজন মারা গেছেন। আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার হাজার হাজার বাড়ি-ঘর, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শিলাবৃষ্টিতে সৈয়দ আলী নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেক নারী-পুরুষ।
এসময় কিশোরগঞ্জের ভবানীপুরেও বজ্রপাতে আরো একজন নিহত হয়েছে।
ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে বোরো ধানক্ষেত, ভুট্টাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নাটোরের গুরুদাসপুরে বজ্রপাতে ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নীলফামারীতে শিলাবৃষ্টিতে ডোমার ও ডিমলা উপজেলার প্রায় ২০ হাজার টিনের ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রংপুর, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুরে, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে শিলা বৃষ্টিসহ প্রবল বেগে কালবৈশাখি ঝড় বয়ে যায়।