প্রাণের ৭১

হলুদের উপকারীতা জানুন!

সর্দি লেগেছে? হলুদ মেশানো এক গ্লাস গরম দুধ পান করে নিন। হাত পায় কেটে গিয়েছে, সেখানেও লাগিয়ে নিতে পারেন খানিকটা হলুদ পেস্ট। ত্বকের রোদের পোড়া ভাব দূর করতেও চাই কাঁচা হলুদ। বহুযুগ ধরে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে এইভাবেই হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন বৈজ্ঞানিক ভাবেও নানান অসুখের বিরুদ্ধে হলুদের লড়াইয়ের প্রমাণ মিলেছে। বাঙ্গালী রান্নার অন্যতম উপাদান, হলুদ। তরকারিতে স্বাদ ও রঙ আনতে হলুদের হাত ষোলোআনা পাকা। এই পরিচিত মসলা রোগ প্রতিরোধেও রাখছে উল্লেখ্যযোগ্য অবদান।

ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর আয়ুর্বেদিক ড্রাগ ডেভলপমেন্টের বিশেষজ্ঞ সুবল কুমার বলেন, ব্যথার ওষুধ হিসেবে চুন হলুদ গরম করে লাগানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খালিপেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার যে প্রচলন ছিল, তা একেবারে ভুল নয়। হলুদে থাকে কারকুমিন ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্কসহ অর্ধশতাধিক উপাদান। এসব উপাদান ভাইরাল ফিভারসহ নানা রোগ দূরে রাখে। জেনে নেওয়া যায় সেসব উপকারগুলো কী।

– হলুদে থাকা কারকুমিন, গলব্লাডার ভালো রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমেও সাহায্য করে। আর্থ্রাইটিস সহ জয়েন্ট পেন কমাতেও হলুদ কাজে দেয়।

– হার্টের অসুখও দূর হবে হলুদে। কারণ হলুদ রক্তবাহী ধমনীর চর্বি দূর করে হার্টে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে।

– আমাদের দেশের এক অন্যতম সমস্যা ডায়াবিটিস। সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে ডায়াবিটিসজনিত অন্যান্য সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে।

– বার্ধক্যের এক সমস্যা অ্যালঝাইমার ডিজিজ বা ভুলে যাওয়া। রান্নার রোজ হলুদ খেলে মস্তিষ্কের কোষ উজ্জিবীত থাকবে।

– ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি থামিয়ে দিতে পারে হলুদের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তবে তা হতে হবে ভালো মানের হলুদ। অন্যথায় নকল হলুদের ক্ষতিকর উপাদান ক্যান্সারের আশংকা বাড়িয়ে দিবে।

গুঁড়া হলুদের চেয়ে কাঁচা হলুদ বেশি স্বাস্থ্য উপযোগী। কারণ কাঁচা হলুদের ভিটামিন সি গুঁড়া হলুদে অনুপস্থিত থাকে। একটি কথা জেনে নিন। রান্নার সময় হলুদ পুড়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই কষানোর সময় হলুদ যেন হলুদ রঙেরই থাকে, ত আখেয়াল রাখবেন।



« (পূর্বের সংবাদ)



মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*