নারকেলের পানির যত গুণ
স্বাভাবিক রোগ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সবসময় চিকিৎসকের কাছে দৌড়াতে হয়না। চাইলে নিজেই রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়। এজন্য এড়িয়ে চলতে হয় কিছু বদঅভ্যাস এবং খাদ্যাভাসে আনতে হয় বিশেষ কিছু খাবার। এগুলো অনেকটা ঘরোয়া দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। এই দাওয়াই হিসেবে নারকেলের পানি বেশ উপকারি। আজ আমরা জানবো এই নারকেলের পানির গুণাগুণ সম্পর্কে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
চিকিৎসকদের মতে, রোদের তাপ থেকে অনেক সময়েই শরীর গরম হয় এবং তা থেকে ব্লাড প্রেশার আরও বেশি বেড়ে যায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বলা হয়, প্রতিদিন নারকেলের পানি খেলে এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
পানির অভাব মেটায়
গরমে প্রচন্ড ঘাম, ডায়রিয়া হয়,পানিশূন্যতা দেখা দেয়। শরীরে শক্তি কমে যায়, ক্লান্তি চলে আসে, কাজে মন বসেনা। এই অবস্থায় নারকেলের পানি একদম তাৎক্ষণিক ভাবে কাজ করে। শরীর চনমনে হয়ে যায়।
হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ
নারকেলের পানিতে প্রচুর ‘গুড কোলেস্টেরল’ আছে যা আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। যারা হৃদরোগে ভুগছেন তাদের জন্য এই নারকেলের পানি খুবই উপকারি।
ওজন কমায়
অনেক ডায়েট ড্রিংকেও হাই ক্যালোরি থাকে। তাতে করে ওজন উল্টে বাড়ে। কিন্তু নারকেলের পানিতে কোনো ক্যালোরি থাকেনা। আবার এক গ্লাস নারকেলের পানি খেলে ক্ষুধা নিরাময়ে থাকে অনেকক্ষণ। এতে করে ওজন কমার প্রবণতা কম থাকে।
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি
মাইগ্রেনের ব্যথা খুবই ভয়ঙ্কর। একবার ব্যথা শুরু হলে সহজে কমতে চায়না। শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব ঘটলে মাইগ্রেন দেখা দেয়। নারকেলের পানিতে ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই নিয়মিত এই পানি খেলে ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতেও পারে।
মদ্যপানের রেশ কমায়
মদ্যপান মাত্রা ছাড়ালেই পরের দিন পর্যন্ত তার রেশ থাকে যেমন- মাথা ব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, শরীর অসার হয়ে যাওয়া। এই সমস্যায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস নারকেলের পানি পান করে নিন। সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
যৌবন ধরে রাখবে
পরিবেশ দূষণ, অতিরিক্ত কাজের চাপ, মারাত্মক দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ এবং কর্মস্থলে ব্যস্ততা আমাদের মুখে-চোখে দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলে দেয়। এ থেকে পরিত্রাণের জন্যে অভ্যাস করে তুলুন নারকেলের পানি খাওয়ার।
পেটের সমস্যা কমবে
গরমে পেটের যাবতীয় সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে নারকেলের পানির কোনো বিকল্প নেই। এতে করে ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা কমতে শুরু করে। তবে এটি অবশ্যই নিয়মিতে পান করতে হবে।