বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপির শীর্ষ নয় জন নেতার লেনদেনের হিসাব চেয়ে আটটি ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক। এছাড়া বেসরকারি ঢাকা ব্যাংকের এক কর্মকর্তার লেনদেনের হিসাবও চাওয়া হয়েছে।
এই নয় বিএনপি নেতার মধ্যে চারজনই দলের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী কমিটি বা স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য – খন্দকার মোশররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং মির্জা আব্বাস।
এছাড়া দুই ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদ খান এবং আব্দুল আওয়াল মিন্টুরও লেনদেনের হিসাব চাওয়া হয়েছে।
মি. মিন্টুর ছেলে তাবিথ আওয়ালের হিসাবও তলব করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, কিছু ‘ফেক নিউজের’ ওপর ভিত্তি করে দুদকের পক্ষ থেকে এ ধরণের তদন্তের সিদ্ধান্ত তাদেরকে হেনস্থা করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
“তদন্তে আমার কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু যে কোনো তদন্তের জন্য একটা প্রাইমা ফেসি প্রমাণ থাকতে হয়, সেটা কোথায়? যে নিউজ পোর্টালে এই সব অভিযোগের কথা লেখা হয়েছে সেটির কাজই ফেক নিউজ ছড়ানো”।
“নেত্রী কারাগারে, তার অবর্তমানে আমরা যারা দলের কাজ করছি, আমাদের কাজে বাঁধা দেওয়াটাই প্রধান উদ্দেশ্য”।
সম্প্রতি দু-তিনটি অনলাইন মিডিয়ায় খবর বেরোয় যে বিএনপির কজন শীর্ষ নেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা তারা বিদেশে পাচার করছেন বলেও দু একটি খবরে লেখা হয়।
জানা গেছে, সেই সূত্রেই দুদক সোমবার বিএনপির এসব নেতার কথিত অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং টাকা পাচারের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়।
দুদকের উপ-পরিচালক শাসুল আলম বিবিসিকে বলেন, তদন্তের অংশ হিসাবে লেনদেনের হিসাবে চেয়ে বেসরকারি এবং বিদেশি মোট আটটি ব্যাংকের কাছে তারা চিঠি পাঠিয়েছেন।