সড়ক কংক্রিটে নির্মাণের সিদ্ধান্ত আসছে
বিটুমিনের পরিবর্তে দেশজুড়ে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করতে তিন বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারণে এত দিন তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বর্তমানে রাস্তাঘাটের যে বেহাল, তাতে টনক নড়েছে মন্ত্রণালয়গুলোর। অবশেষে দেশজুড়ে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। সব পক্ষের মতামত নিয়ে শিগগিরই আসতে পারে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণের এই সিদ্ধান্ত। এ জন্য আগামী ৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্টদের মতামত দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সেখানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, এই তিন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ সব সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিটুমিনের পরিবর্তে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সেটি কিভাবে প্রতিপালন করা যায়, সে জন্য সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হবে। এ কারণে আগামী ৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট সকলকে মতামত দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বিটুমিন দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করলে অল্পদিনেই তা নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিবছর তা সংস্কার করতে হয়। আর এই সংস্কারের নামে চলে লুটপাট। অন্যদিকে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ
করলে তা টেকসই হয়। ঘন ঘন সংস্কার করতে হয় না। ফলে অর্থের সাশ্রয় হয়। অর্থের সাশ্রয় এবং রাস্তা টেকসই করতে প্রধানমন্ত্রী তাই বিটুমিনের পরিবর্তে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করার নির্দেশ দেন। বিটুমিন দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় দেশজুড়ে এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রাস্তাগুলো বর্তমানে ঝুঁকিতে পড়ায় নতুন করে কংক্রিট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের দাবি ওঠে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন মহল থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে দেশের সব সড়ক বিটুমিনের পরিবর্তে কংক্রিটে রূপান্তরে সব পক্ষের মতামত নিতেই আগামী ৮ এপ্রিল মতবিনিময়সভার আহ্বান করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সেখানে তিন মন্ত্রণালয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদেরও সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সব পক্ষের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।