কুমিল্লায় মসজিদে শিশু ধর্ষন।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কাকিয়ারচর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের আরবী শিক্ষা গ্রহণকারি এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে ওই মসজিদের মোয়াজ্জেম জাকির হোসেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা শিশুটি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার স্থানীয় কাকিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী এবং কাকিয়ারচর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মক্তবে আরবী শিক্ষা গ্রহণ করে। সে গত রবিবার সকাল সাড়ে ৬টায় প্রতিদিনের ন্যায় আরবী শিক্ষা গ্রহনের জন্য ওই মসজিদে যায়।
ওই মসজিদের মোয়াজ্জেম এবং মোক্তবের শিক্ষক একই এলাকার মৃত ইদ্রিস খাঁনের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন খাঁন সকাল ৮টায় মোক্তবের সকল ছাত্র/ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে মসজিদের বারান্দা ঝাড় দেয়ার কথা বলে শিশুটিকে রেখে দেয়। পরে মসজিদের বারান্দার দক্ষিণ পাশে মহিলাদের নামাজের স্থানে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে মোয়াজ্জেম ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় শিশুটি বাড়ীতে এসে কাঁদতে কাঁদতে তার মাকে ঘটনাটি বলে এবং এক পার্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে যায়। এ সময় শিশুটির মা তাছলিমা আক্তার শিশুটির পরনের কাপড়ে রক্ত দেখে ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারেন।
তিনি তাৎক্ষনিকভাবে শিশুটিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মামা মামুনুল হক বাদী হয়ে রবিবার রাতে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মনোজ কুমার দে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ধর্ষক জাকির হোসেনকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়েছে। সোমবার তাঁকে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালের কন্ঠ