পরমাণু পরীক্ষা না চালানোর অঙ্গীকার উত্তর কোরিয়ার
উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন শনিবার এক ঘোষণায় বলেছেন, তিনি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা এবং আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখবেন। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উনের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত সম্মেলনের প্রাক্কালে পিয়ংইয়ংয়ের এ ঘোষণাকে ওয়াশিংটন স্বাগত জানিয়েছে। খবর এএফপির।
কোরীয় উপদ্বীপের দ্রুত কূটনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের দীর্ঘ প্রত্যাশিত পিয়ংইয়ংয়ের এ ঘোষণাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কোরীয় উপদ্বীপকে বিভক্ত করা ডিমিলিটারাইজড জোনে শীর্ষ সম্মেলনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতার সাক্ষাতের এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে এমন ঘোষণা দেয়া হলো।
কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্রের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা তাদের জন্যে ‘বড় বিজয়’। তিনি আরো বলেন, ‘এখন উত্তর কোরিয়ার জন্য আর কোন পারমাণবিক পরীক্ষা এবং মাঝারি পাল্লার ও আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালাস্টিক রকেট উৎক্ষেপণের প্রয়োজন নেই।’
উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, দেশটির নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিকে বলেছেন যে উত্তর কোরিয়ার এ ধরণের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের আর প্রয়োজন নেই।
এখন থেকে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো থেকে বিরত থাকবে দলটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তারা পরীক্ষা বন্ধের নিশ্চয়তা দিতে পুংগি-রিতে থাকা পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংস করবে। উল্লেখ্য, গত নভেম্বর থেকে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের আর কোন পরীক্ষা চালায়নি।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা এমন ঘোষণা দেয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া ও সারাবিশ্বের জন্য এটি অনেক ভাল খবর। এটি একটি বড় অগ্রগতি। আমি আমাদের বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছি।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা না চালানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
শনিবার সিউলে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোরীয় উপদ্বীপের নিরস্ত্রীকরণের জন্য উত্তর কোরিয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। সারাবিশ্ব এমনটাই দেখতে চায়।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আসন্ন আন্তঃকোরীয় ও উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনের সফলতার জন্য এ সিদ্ধান্ত একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।’