খালেদার কারনে ২৯ এপ্রিলে সাইক্লোনে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ে।
আজ ভয়াল ২৯শে এপ্রিল। ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চূড়ান্ত গোয়ার্তুমি এবং উদাসীনতার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাসে মৃত্যুর মুখোমুখি হন এবং অকাতরে মৃত্যুবরণ করেন। কারো কারো মতে নিহতের সংখ্যা পাঁচ লাখ, কারো মতে দশ লাখ, কারো মতে আরো বেশী। যদিও, সরকারী ফাইলের হিসাবমতে নিহতের সংখ্যা এক লাখ ৩৮ হাজার।
.
ঐ বিপর্যয় ঠেকাতে উপকূলের গ্রামগুলোতে সতর্কতা জারির কোনো চেষ্টা তখন করা হয়নি। টিভি বা রেডিওতেও তেমনকরে প্রচার করা হয়নি কোনো সতর্কবার্তা। সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বেশকিছু বিমান চট্টগ্রামের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়নি, সেখানেই রেখে দিয়ে ধ্বংস হতে দেয়া হয়। একই ব্যাপার ঘটে নৌবাহিনীর বেশকিছু জাহাজের ক্ষেত্রেও। ধ্বংস হয়ে যায় নতুন কেনা পাঁচটি হেলিকপ্টার গানশিপ।
.
বিপর্যয়ের পর নিহতের অফিশিয়াল সংখ্যা যখন প্রতিদিনই বাড়ছিল তখন ১ লক্ষ ৩৮ হাজার এর পর সংখ্যা আর না বাড়তে মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেয় সরকার। ট্রাজেডি হচ্ছে বিপর্যয়ের পর উপকূল সফরে গিয়ে চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং এ এক শিশুকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করার পর পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য না থেমে বরং গাড়ি টান দিয়ে পালিয়ে যায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর।
.
এই নিয়ে আজ তেমন কারো পোস্ট নজরে পড়লো না। আওয়ামীলীগ সরকার কোন আমলে কয়টা গালি দিয়েছে, কয়টা মুখ ফসকে কথা বলছে, এটা পক্ষে-বিপক্ষের সবাই মনে রাখে, শুধু এগুলোই ভুলে যায়। আফসোস!
অপরাজিতা নীলের ফেসবুক ওয়াল থেকে।