চট্টগ্রামে কিশোরী হত্যা
টেকনাফে নিজ গ্রামে তাসফিয়ার জানাজা সম্পর্ন।
নির্মমভাবে নিহত তাসফিয়ার জানাজা ও দাফন গ্রামের বাড়ি টেকনাফে সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় টেকনাফ সদরের ডেইলপাড়ায় এসে পৌঁছে। মরদেহ টেকনাফের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে টেকনাফ কলেজের মাঠে হাজার হাজার মানুষ তাসপিয়ার জানাজায় অংশ নেন। পরে পৌরসভার ৫নং ডেইলপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তাসপিয়ার দাদা মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারিনি তাসপিয়া এভাবে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে। আমার সাত ছেলের সন্তানদের মধ্যে সবার বড় তাসপিয়া। আমার ছেলেদের খুব আদরের মেয়ে ছিল সে। আমি আমার নাতনির হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তাসপিয়ার জানাজায় এলাকার গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় পথচারীরা মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার ১৮ নম্বর ব্রিজের উত্তর পাশে পাথরের উপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকা লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাসফিয়ার বন্ধু আদনানকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিএমপি পতেঙ্গা থানা পুলিশ আদালতে ১০ দিন রিমান্ড প্রার্থনা করে। আগামী রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আদনান মির্জাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।