প্রাণের ৭১

চরফ্যাশনে বুলেট ও মর্টার শেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চর ফকিরা গ্রামের খোর্শেদ আলমের বসতঘরের বর্হিভাগে প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় ১৮৫ পিস বুলেট ও সাত পিস মর্টার শেলসহ বুলেট উদ্ধার করেছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ওসি হানিফ সিকদারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শশীভূষণ থানা পুলিশ ওই বুলেট ও মর্টার শেল উদ্ধার করে। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে পুলিশ তথ্যদাতা মোফাক্কারুল ইসলাম মিশন (১৯)কে গ্রেপ্তার করেছে। ওই বুলেট উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে গতকাল শনিবার মোফাক্কারুল ইসলাম মিশন এবং তার মামা নুরুন্নবীকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেছে। মোফাক্কারুল ইসলাম মিশন হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আলমগীর হোসেনের ছেলে এবং ভোলা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র। শশীভূষণ থানার ওসি হানিফ সিকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে তথ্যদাতা মোফাক্কারুল ইসলাম মিশন মোবাইল ফোনে শশীভূষণ থানার ওসিকে জানান- হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের খোর্শেদ আলমের বসতঘরে দু’টি বস্তায় মোড়ানো ৪ হাজার পিস গুলিসহ অস্ত্র মজুদ করা হয়েছে। তথ্য পেয়ে পুলিশ গভীর রাতে তথ্যদাতা মিশনকে সহ খোর্শেদ আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মিশনের দেখানো অনুযায়ী খোর্শেদ আলমের বসতঘরের বর্হিভাগে প্লাস্টিকের ছেঁড়া বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় রাখা ১৮৫ পিস বুলেট ও ৭ পিস মর্টার শেল বুলেটসহ উদ্ধার করে। উদ্ধার অভিযান চলাকালে মিশন মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে দফায় দফায় কথা চালিয়ে যায়। কিন্তু কার সঙ্গে দফায় দফায় কথা চালিয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিতে মিশন অস্বীকার করলে মিশনকে ঘিরে পুলিশের সন্দেহ ঘনীভূত হয়। পরে পুলিশ মিশনকে গ্রেপ্তার করে এবং মিশনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি হচ্ছে তার মামা নুরুন্নবী। নুরুন্নবী হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের লালমিয়ার ছেলে এবং খোর্শেদ আলমের নিকটতম প্রতিবেশী। মিশনকে গ্রেপ্তারের পর থেকে নুরুন্নবীর মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে এবং সে গা-ঢাকা দিয়েছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*