সময় বা খরচ কোনওটাই বেশি নয়। সপ্তাহান্তের ছুটিতে পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত শহর দিঘায় পর্যটকদের ঢল নামে। কিন্তু, ইদানিং আবার দিঘায় গিয়ে আত্মহত্যার করার প্রবণতাও বাড়ছে। হোটেল ঘরে আত্মহত্যা করছেন প্রেমিকা-প্রেমিকারা। শুক্রবার সকালে ফের নিউ দিঘার একটি হোটেল থেকে এক তরুণ ও তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। হোটেলের রেজিস্টার থেকে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন শংকর সরকার ও অতসী সরকার। শংকরের বাড়ি হুগলির তারকেশ্বরের মোক্তারপুরে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ মে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন শংকর ও অতসী। নিউ দিঘায় যুব আবাসের একটি হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তাঁরা। হোটেলে ঘর নেওয়ার সময়ে নিজেদের দম্পতি বলে পরিচয় দিয়েছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। নিজেরাই রান্না করে খাচ্ছিলেন।
শুক্রবার হোটেল ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। হোটেলকর্মীদের দাবি, সকালে বিস্তর ডাকাডাকি করেও শংকর ও অতসীর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। ঘরের দরজা ভেঙে দুটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে দিঘা থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, হোটেলে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণ ও তরুণী।
হোটেলের রেজিস্টারটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সিল করা দেওয়া হয়েছে ঘরটিও। দিঘার থানার ওসি বাসুকিনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তারকেশ্বর থানার মাধ্যমে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। আত্মহত্যার কারণ ও মৃতেরা আদৌও দম্পতি ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।