এভারেস্টে মানুষের মলের গন্ধে ঠিকা দায়!
সম্প্রতি মাউন্ট এভারেস্ট থেকে ফিরেছেন যে পর্বতারোহীরা – তারা বলছেন, বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এখন একটি দুর্গন্ধময় জায়গায় পরিণত হয়েছে – কারণ সেখানে চারদিকে মানুষের বিষ্ঠার স্তুপ ছড়িয়ে আছে। এ খবর বিবিসি বাংলার।
পর্বতারোহীরা যখন এভারেস্ট আরোহণের জন্য বিভিন্ন উচ্চতায় ক্যাম্প করে থাকেন – সে সময় তারা তাদের মানববর্জ্য সেখানেই ফেলে আসছেন, এবং এটাই এ সমস্যার কারণ।
নেপাল সরকার ২০১৪ সালে একটি নিয়ম করেছিল যে পর্বতারোহীদের অভিযান শেষে এভারেস্ট থেকে নেমে আসার সময় নিজেদের বর্জ্য সহ কমপক্ষে আট কেজি আবর্জনা বহন করে আনতে হবে। তবে এ নিয়ম অনেকেই মানছেন না।
এ বছর মার্চ মাসে এভারেস্ট থেকে অন্তত ১০০ টন বর্জ্য বিমানে করে অপসারণের জন্য এক বড় কার্যক্রম শুরু করে নেপালের সরকার – যা প্রধানত পর্বতারোহী এবং পর্যটকদের ফেলে যাওয়া।
লিয়ানো গনজালেস নামে একজন মেক্সিকান পর্বতারোহী বলেছেন, এবছর এমন কি এভারেস্টের শীর্ষ বিন্দুর কাছাকাছি এলাকাতেও বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এসব আবর্জনার মধ্যে আছে বোতল, তাঁবু, মই, খালি অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে অনেক কিছু, এবং এগুলো সবই ফেলে আসছেন পর্বতারোহীরা। কোন কোন জায়গায় এমন অবস্থা যে একটা তাঁবু ফেলার মতো পরিষ্কার জায়গাও নেই – বলেন একজন গাইড।
এ মৌসুমে প্রায় ৫০০ জন সফলভাবে এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহণ করেছে। একেকটি দলে পর্বতারোহীরা ছাড়াও শত শত গাইড এবং মালপত্র বহনকারী থাকেন। একারণ এভারেস্ট এলাকার ব্যাপক দূষণ অনেকদিন ধরেই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
এভারেস্টে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য শেরপাদের অংশগ্রহণে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে – যারা বর্জ সংগ্রহ করে নিচে নামিয়ে আনছেন। এই কমিটির তথ্যমতে গত বছর এক লক্ষেরও বেশি লোক এভারেস্ট অঞ্চল গিয়েছিলেন – যার মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ছিলেন পার্বত্য অভিযাত্রী।