আজ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস
আজ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কমাতে হলে মাতৃমৃত্যু হার, মিডওয়াইফ পাশে থাকা একান্ত দরকার।’
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোলমডেল। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানোর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা, প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী মানসম্মত সেবা এবং প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় উন্নয়নে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা অপরিহার্য। সরকার গর্ভবতী মা ও নবজাতকের মানসম্মত পরিচর্যা এবং রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত এবং মাতৃমৃত্যু হ্রাসে মিডওয়াইফগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য আমরা মিডওয়াইফারি শিক্ষা ও সার্ভিসকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আসছি।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আজ দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, তিন হাজার মিডওয়াইফকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ১৫’শ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়োগ দেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে সরকারি হাসপাতালে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ গর্ভবতী নারীর সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়। এটা হওয়া উচিত ১৫ শতাংশ।