বগুড়ায় মেয়েকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় এক নারী ও তাঁর দুই বছরের মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, অভাবের টানাপড়েনে ওই নারী সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বিকেলের এ ঘটনাটি উপজেলার চন্দনবাইশা ইউনিয়নের ঘুঘুমারি গ্রামের।
ওই নারীর নাম নাদিয়া বেগম। আর শিশুটির নাম তানজিলা আকতার। নাদিয়া ঘুঘুমারি গ্রামের তারাজুল ফকিরের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, নাদিয়া শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন। তাঁর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সংসারে অভাব থাকায় নাদিয়া হতাশায় ভুগতেন। গতকাল বিকেলে তানজিলা তার মাকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু না নিয়ে যাওয়ায় সে কান্না শুরু করে। এতে রেগে গিয়ে নাদিয়া শিশুটির মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। এরপর তিনি নিজেও গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সময় নাদিয়ার শাশুড়ি বাড়ি ছিলেন না বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
চন্দনবাইশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন দুলাল বলেন, ‘ওই নারী মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। আমরা গ্রামের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’
সারিয়াকান্দি থানার এসআই হারুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সংসারে অভাব-অনটনের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।’