নিয়োগ পেয়ে গর্বিত রোডস
গত অক্টোবরে চন্দিকা হাতুরাসিংহে চলে যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচের স্থায়ী পদটি শূন্য। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগের পর অবশেষে সে পদে দুই বছরের জন্য ইংল্যান্ডের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান স্টিভ রোডসকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতকাল ঢাকায় এসে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারের পর নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন রোডস, জানিয়েছেন নতুন দায়িত্বে তাঁর স্বপ্নের কথা
প্রথম কোনো জাতীয় দলের কোচ
স্টিভ রোডস : প্রথমে সবাইকে জানাতে চাই যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত হতে পেরে আমি ভীষণ গর্বিত। বাংলাদেশ দারুণ ক্রিকেট জাতি, দল যে সমর্থন পায় তা অসাধারণ। সেই সমর্থন মাঝেমধ্যে হতাশায় রূপ নেয়। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা দারুণ সম্মানের।
সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রসঙ্গে
রোডস : গ্যারি কারস্টেনের মতো একজনের তালিকায় নিজের নাম থাকাটা গর্বের। নিজামের (বিসিবির প্রধান নির্বাহী) সঙ্গে সরাসরি কথা হয়েছে। এটা জানার পর সোজা ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছি।
ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যবধান
রোডস : কোনো কোনো সিরিজে ইংল্যান্ড দলের প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িত থাকার সুযোগ আমার হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরের আগেও আমি কাজ করেছি। তাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচিংয়ের সুবাস কিছুটা হলেও পেয়েছি। আসলে কোচিং প্রক্রিয়ায় খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে কোনো সন্দেহ নেই যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রস্তুতির গভীরতা অনেক বেশি। প্রতিটি ম্যাচের আগে ছেলেদের সব দিক থেকে তৈরি রাখার কাজ মোটেও সহজ নয়। তবে আমি মনে করি, আমি এ কাজের যোগ্য। দেখতেই তো পাচ্ছেন যে আমার চুল পেকে গেছে (হাসি)। তার মানে ধরে নিতে পারেন অনেক কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে এসেছি। আশা করি আমার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলের কাজে লাগবে।
তিন ফরম্যাটের কোচিং
রোডস : এটা আমার কাছে বড় কোনো সমস্যা বলে মনে হয় না। আমি জানি যে গ্যারি শুরুতে আলাদা কোচের কথা ভেবেছিল। তবে অনেক কোচই তো সব ফরম্যাটে কোচিং করাচ্ছেন। আমি খুব পরিশ্রমী মানুষ। তাই আমার বিশ্বাস তিন ফরম্যাটে কোচিং করানোর মতো পর্যাপ্ত এনার্জি আমার রয়েছে।
২০১৯ বিশ্বকাপের লক্ষ্য
রোডস : একটু আগেই বোর্ড সভাপতি আর বোর্ড সদস্যদের বলছিলাম যে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ ভালো করেছে। ইংলিশ কন্ডিশনে যে ভালো খেলতে পারে, সেটা তারা করে দেখিয়েছে। ওই কন্ডিশনে সেমিফাইনালে ওঠা দারুণ ব্যাপার। বিশ্বকাপে যদি আমরা অতটুকু পথ পাড়ি দিতে পারি, তাহলে দুর্দান্ত ব্যাপার হবে। আমি ছবিটা দেখতে পাচ্ছি যে, ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করার জন্য লড়ছে বাংলাদেশও… দারুণ একটা উৎসবের মুহূর্ত তৈরি হবে।