ট্রাম্প ও কিমের ঐতিহাসিক বৈঠকে দুই নেতার গৃহীত সিদ্ধান্ত এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন তাঁদের মঙ্গলবারের ঐতিহাসিক বৈঠককে যুগান্তকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন। উভয় নেতা তাঁদের মধ্যকার এই বৈঠককের সিদ্ধান্ত এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তবে তাঁদের এ বৈঠকের প্রধান বিষয় পিয়ং ইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে খুব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য স্থান পেয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশের নেতা এবং তৃতীয় বিশ্বের পরিবারতন্ত্রের একজন উত্তরাধিকারী তরুণ একনায়কের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কোরিয়া উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে তাঁর সম্মতির কথা ব্যক্ত করেছেন।
শীর্ষ সম্মেলনের পর অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, সিউলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়া বন্ধ রাখবে। তবে মহড়া বন্ধের এ কথা দু’নেতার মধ্যে স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেই।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যুদ্ধের মহড়া বন্ধ করতে যাচ্ছি। এতে আমাদের আর্থিক অনেক সাশ্রয় হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি দক্ষিণ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে তাঁর আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকের জটিল বিষয় পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমরা এর সূচনা করছি এবং খুব শিগগির এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
এই দুই নেতার স্বাক্ষরিত চুক্তিতে সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী অবস্থান সম্পর্কে কোন কিছু বলা হয়নি।
পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সমীক্ষা সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কেন্দ্রের মিলিশা হ্যানহাম টুইটারে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে অনেকবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সংজ্ঞা নিয়ে এখনো দু’পক্ষ একমত নয়।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, তিনি কিমের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুললেন। তিনি বলেন, আমরা আবার মিলিত হবো এবং আমরা বহুবার মিলিত হবো।
ট্রাম্প বলেন, তিনি কিমকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাতে উদগ্রীব।
বৈঠক সম্পর্কে কিম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ¯œায়ুযুদ্ধের দুই শত্রু বিশ্বের বিশেষ পরিবর্তনের লক্ষ্যে অতীতকে পরিত্যাগ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।