২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। বুধবার ফিফা কংগ্রেসে মরক্কোকে পেছনে ফেলে উত্তর আমেরিকার এই তিন দেশ পেয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো ‘ইউনাইটেড ২০২৬’ নামে বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার প্রস্তাব করেছিল ফিফায়। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মরক্কো। ১৩৪ ভোট পেয়ে ‘ইউনাইটেড ২০২৬’ পেছনে ফেলে আফ্রিকার দেশটি। আয়োজক দেশের সংখ্যার সঙ্গে দলের সংখ্যাও বেড়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপে। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোর বিশ্বকাপে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ। ৩৪ দিনের এই বিশ্বকাপে হবে ৮০ ম্যাচ।
২০০২ সালের পর আবারও একের অধিক আয়োজক নির্বাচিত হলো বিশ্বকাপের। ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান যৌথভাবে আয়োজন করেছিল ফুটবল মহাযজ্ঞ। বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কার্লোস করদেরো নিজের অনুভূতি ভাগাভাগি করেছেন এভাবে, ‘ফুটবলই এখানে একমাত্র বিজয়ী। ফুটবল দিয়েই আমরা একতাবদ্ধ। অসংখ্য, অসংখ্য ধন্যবাদ এই অবিশ্বাস্য সম্মানের জন্য।’
ফিফার ২১১ সদস্য দেশের মধ্যে বাক্সে পড়েছে ২০০ ভোট। মস্কোর ৬৮তম ফিফা কংগ্রেসে আয়োজক হতে দরকার ছিল ১০৪ ভোট। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকো প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েই হয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক।
কানাডা এবারই প্রথম ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের আয়োজকের দায়িত্ব পেল। তবে মেক্সিকোর দুইবার (১৯৭০ ও ১৯৮৬) এবং যুক্তরাষ্ট্রের (১৯৯৪) একবার বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতা আছে। বিবিসি