প্রাণের ৭১

সৌদি নারীদের ড্রাইভিং। কতটা বদলেছে দৃষ্টিভঙ্গি?

সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর বৈধতা দেয়ার পর অনেক নারীই গাড়ি চালানো শিখছেন।
রাজধানী রিয়াদের বাইরে প্রিন্সেস নোরা ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে যাত্রা শুরু করেছেন ড্রাইভিং প্রশিক্ষণরতএক নারী। সাথে রয়েছেন তাঁর প্রশিক্ষক।
প্রশিক্ষক নিজেও একজন নারী এবং দীর্ঘদিন ব্রিটেনে বসবাস করেছেন।
সে নারী তাঁর প্রশিক্ষককে জিজ্ঞেস করলেন, যে তিনি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালাতে পারেন কিনা?
প্রশিক্ষক বলেন. তিনি ৪০ কিলোমিটার বেগে চালাতে পারেন। কিন্তু ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি নয়।
রাজধানী রিয়াদের একটি গাড়ির শো-রুমে ব্যবসায়ী নাজিয়া আল হাজা সবচেয়ে আধুনিক গাড়িটি দেখছিলেন।
তিনি বড় আকারের একটি গাড়ি কিনতে চান। এর আগে তিনি যখন গাড়ি কিনেছিলেন তখন কেবল পেছনের আসেনেই বসে থাকতেন।
“প্রতিবার আমি যখন নতুন গাড়ি কিনতাম তখন আমার কান্না পেত। অন্য একজন ড্রাইভর আমার গাড়ি চালাবে, কিন্তু আমি গাড়ি চালাতে পারবোনা, এটা ভেবে আমার কান্না পেত। এতে আমার হৃদয় ভেঙ্গে যেত। আমার টাকা দিয়ে আমি গাড়ি কিনেছি, কিন্তু আমি এ গাড়ি চালাতে পারবো না। কিন্তু এখন আমার সে স্বপ্ন পূরণ হবে,” বলছিলেন নাজিয়া।
এসব কিছুর জন্য যিনি কৃতিত্ব পাচ্ছেন তিনি হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদি আরবের সমাজে নানা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন এ ক্রাউন প্রিন্স।
রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ছবি দেখা যায়।
কিন্তু সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর উপর বিধি-নিষেধ তুলে নেবার দাবীতে যারা সোচ্চার ছিলেন তাদের কয়েকজন এখন কারাগারে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*