মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদের স্মৃতির সম্মানে চলতি বছর ৩০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে
চলতি বছরের বৃক্ষমেলা ও বৃক্ষ রোপণ অভিযানে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির সম্মানে ৩০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেন, “আগামী ১৮ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারা দেশে একযোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কর্মসূচি সম্পাদন করা হবে। একই দিনে তিনি আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলারও উদ্বোধন করবেন।”
আজ দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংএ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি প্রতি বছর বিশ^ পরিবেশ দিবসের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে থাকে। জাতিসংঘ চলতি বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে -‘আসুন প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি ’ এবং দিবসটির স্লোগান হচ্ছে -‘প্লাস্টিক পুনঃব্যবহার করি, না পারলে বর্জন করি।’
এবার জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৮ এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘সবুজে বাঁচি, সবুজ বাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই’।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ বীর শহীদের স্মৃতির সম্মানে ৩০ লক্ষ গাছেরচারা রোপণের কর্মসূচি এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযানে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি আশা করি সারা দেশের সকল মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখাবে।’
মন্ত্রী বলেন, বিশ^কে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হওয়া দরকার। তাই পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষরোপণ অভিযানকে ঘিরে জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে ।
সকল কর্মসূচি প্রচারে সাংবাদিকদের সহয়তা কামনা করে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, “আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, আপনাদের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসমূহ আমরা বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করি। এভাবে পরিবেশ রক্ষা ও সার্বিকভাবে দেশে পরিবেশ উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং এ বিষয়ে আপনাদের নিরন্তর সহযোগিতা কামনা করছি।”
এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ও স্লোগানের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জনগণকে সচেতন করা হয়েছে এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ ও মানোন্নয়নের স্বার্থে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযথ গুরুত্বের সাথে দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।