বেশি বয়সে সন্তান জন্মদানে মায়েদের যেসব ঝুঁকি
ডেনিশ অভিনেত্রী ব্রিগিটা নিলসন ৫৪ বছর বয়সে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
কিন্তু জুন মাসে পঞ্চম সন্তান ফ্রিডার জন্মদানের পর থেকেই তিনি সমালোচিত হচ্ছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোতে বিষয়টি একটি বিতর্ককে জোরালো করেছে। আর তা হল বেশি বয়সে সন্তান জন্মদান।
ব্রিগিটা নিলসন তার সমালোচনার জবাব দিয়ে বলেছেন, “অনেক মেয়েরা ভাবে হে ঈশ্বর আমার তো অনেক বয়স। কিন্তু ভাবুন তো কত পুরুষ ৬০ অথবা ৭০ এর কোঠায় এসে বাবা হয়েছেন?”
ব্রিগিটা নিলসন বলছেন, অন্য কেউ যদি মা হওয়ার বয়স সম্পর্কে ভিন্ন কোন মত পোষণ করেন তিনি তা সম্মান করেন।
তবে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে এটা তার জীবন। তার সিদ্ধান্ত তার নিজের।
২০০৬ সালে বয়স চল্লিশ হওয়ার পর ব্রিগিটা নিলসন তার ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছিলেন।
তাকে চিকিৎসকেরা বলেছিলেন নিজের ডিম্বাণু দিয়ে তার আবার মা হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ।
কিন্তু প্রজনন সহায়তা নিয়ে ১৪ বছর চেষ্টার পর তিনি সফল হয়েছেন।
তার বর্তমান স্বামী মাতিয়া ডেসি’র সাথে এটি তার প্রথম সন্তান। তবে আগের বৈবাহিক সম্পর্কে তার আরো চারটি ছেলে রয়েছে।
কিন্তু এনিয়ে বিতর্ক আসলে কোথায়?
বিশ্বব্যাপী নারীদের গর্ভধারণের বয়স বাড়ছে। ১৯৯০ সালে চল্লিশ বছর বয়সে নারীদের গর্ভধারণের যে হার ছিল এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে।
ব্রিটেনে পরিসংখ্যান বিভাগের হিসেবে দেখা যাচ্ছে সন্তান জন্মদানে সক্ষম সকল বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের হার কমেছে।
কিন্তু চল্লিশ এর কোঠায় থাকা নারীদের ক্ষেত্রে তা উল্টো ২ শতাংশ বেড়েছে।