মাইগ্রেনের যন্ত্রণা দূর করতে পারে ভিটামিন সমুদ্র!
দিনের পর দিন মাথায় তীব্র যন্ত্রণার কারণ জানতে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ২৬ বছর বয়সী তরুণী বেথ ফ্রান্সিস জানতে পারেন যে তিনি ক্রনিক মাইগ্রেনের সমস্যা ভুগছেন।
মাইগ্রেনের কারণে প্রায়ই বিছানায় পড়ে যেতেন তিনি। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তিনি বিকল্প সমাধানের পথ খুঁজছিলেন।
মিস ফ্রান্সিস থাকেন যুক্তরাজ্যের ওয়েলস রাজ্যের অ্যাঙলেসে শহরে।
মাইগ্রেনের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে তিনি প্রতিদিন নর্থ ওয়েলস সমুদ্রে টানা ১০০ দিন সাতার কাটার চ্যালেঞ্জ হাতে নেন। সেটাও আবার শীতকালের কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে।
মাত্র নয় বছর বয়স থেকেই এই যন্ত্রণায় ভুগছেন মিস ফ্রান্সিস। তবে তখন ব্যথাটা ছিল বিক্ষিপ্ত।
কিন্তু দিন দিন এর মাত্রা বাড়তেই থাকে। গত বছরেও সপ্তাহে দুই তিনবার তার এই ব্যথা উঠতো। আর একবার মাথাব্যথা শুরু হলে প্রায় সারাদিন সেই ভয়াবহ কষ্ট সহ্য করতে হতো।
মিস ফ্রান্সিস ব্যাঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয়ে সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানের ওপর পিএইচডি করছেন। তবে এই মাইগ্রেনের কারণে কোন কাজই করতে পারতেন না। আর গ্রীষ্ম এলেই এই যন্ত্রণা যেন মাত্রা ছাড়িয়ে যেত।
মাসের প্রায় প্রতিটা দিনই কষ্টে কাতরাতেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। কাজ থেকে কয়েক মাসের ছুটি নিয়েও তার কোন লাভ হয়নি।
মিস ফ্রান্সিস বলেন, “আমি সবসময় খুব কর্মপটু আর বহির্মুখী। আমার মতো মানুষ যদি বিছানায় পড়ে যায় তাহলে খুব হতাশ লাগে। মনে হয় যেন আমি ফুরিয়ে যাচ্ছি। ধীরে ধীরে জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছি।”
এরপর তিনি প্রতিদিন সৈকতে যাওয়া শুরু করেন। তীরে বসে একনাগাড়ে তাকিয়ে থাকেন জলধির দিকে।
সমুদ্র সবসময়ই বেথ ফ্রান্সিসের জীবনে বড় ধরণের ভূমিকা রেখেছে। এই সমুদ্রের সঙ্গেই মিশে আছে তার শৈশব কৈশোর।
তিনি বলেন, “আমি জানি এই সমুদ্রের কাছাকাছি থাকলেই আমি ভাল থাকবো। আমি বইয়ে পড়েছি যে প্রকৃতির মধ্যে শরীরচর্চা করলে অনেক ধরণের অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়”