এসবাস্টনে শেষ হাসি ইংল্যান্ডের!
টেস্ট ক্রিকেট নাকি মরে যাচ্ছে! কমে যাচ্ছে আবেদন। মাঠে আর টিভিতে দর্শকসংখ্যার নিচু গ্রাফ; তরুণ দর্শক, এমনকি তরুণ ক্রিকেটারদের অনেকের মধ্যেই আগ্রহের কমতি; সাবেক ক্রিকেটারদেরই শঙ্কার সুর…এত এত নেতিবাচকতার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটের সেরা এক বিজ্ঞাপন হয়ে থাকল এজবাস্টন টেস্ট। লড়াই-পাল্টা লড়াইয়ে জমজমাট ম্যাচে ভারতকে ৩১ রানে হারাল ইংল্যান্ড। সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
আজ চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই অলআউট হয়েছে ভারত। ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ছুটতে হাঁটতে-হোঁচট খেতে খেতে থেমেছে ১৬২ রানে। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে লড়েছেন বিরাট কোহলি। যদিও এবার শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। বরং শেষের নায়ক হয়ে গেলেন বেন স্টোকস। ভারতের শেষ ৪ উইকেটের তিনটিই তাঁর। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে দামি উইকেট ৫১ রান করা কোহলিরটাই।
এই কোহলি গলার কাঁটা হয়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের জন্য। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারতকে কোহলিই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথমে ষষ্ঠ উইকেটে ইনিংস–সর্বোচ্চ ৩৪ রানের জুটি গড়লেন দিনেশ কার্তিককে নিয়ে। আজ দিনের প্রথম ওভারে কার্তিককে ফেরান জেমস অ্যান্ডারসন। তবু কোহলি দমে যাননি। এবার সপ্তম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে গড়লেন ২৫ রানের জুটি।
জুটিটা এত সাবলীল ব্যাটিং করছিল, এজবাস্টনের মতোই মেঘের আড়াল ফুঁড়ে ভারতের জন্য দেখা দিচ্ছিল আশার ঝলমলে রোদ। ৫৩ রান দরকার ভারতের। কোহলি ব্যাট করছেন ৫১ রানে। এ সময়ই বেন স্টোকসের সেই ডেলিভারি। কোহলি আর পান্ডিয়া দুজনকেই ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড। চেষ্টাটা অনেক ক্ষণ থেকেই করছিল। আর সেই সুযোগে বল লেগে ঠেলে রান তুলে যাচ্ছিলেন দুজন।