বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু : পরিবারকে ৫ লাখ করে টাকা দিবে জাবালে নূর
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেবে জাবালে নূর পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) দাখিল করা প্রতিবেদনে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে জাবালে নূর পরিবহনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পঙ্কজ কুমার কুন্ডু। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী ও আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, বিআরটিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- জাবালে নূর দুই পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেবে। এজন্য তারা সময় চেয়েছিল। কিন্তু আদালত সময় দেয়নি। এদিকে, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন যোগ্যতার ভিত্তি দেয়া হয় এবং সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআরটিএর নেয়া পদক্ষেপের প্রতিবেদন নিয়ে শুনানির জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে আদালত।
এর আগে হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত আনা রিটের প্রেক্ষিতে আদেশ দেয়। ব্যারিস্টার কাজল বলেন, বিদ্যমান যে ট্রাফিক আইন আছে তার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের পরিবারকে ব্যাংক ইন্টারেস্টসহ ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ওইদিন রুল জারি করে হাইকোর্ট। কাজল বলেন, আদালত দুই পরিবারের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর জন্য জাবালে নূর পরিবহনকে এক সপ্তাহের মধ্যে ৫ লাখ টাকা করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আহত হয়ে যেসব শিক্ষার্থী হাসপাতালে আছেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসা খরচ বহন করতে ওই পরিবহনকে নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ৩০ জুলাই দুপুরে রাজধানীর ওেরা এলাকায় হোটেল রেডিসনের সামনে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার ঘেঁষে রাস্তার বাঁ-পাশে দাঁড়ানো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একদল শিক্ষার্থীর ওপর উঠে যায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। আহত হয় কয়েকজন শিক্ষার্থী।