খালেদাকে ছাড়া নির্বাচনে না যেতে পরামর্শ!
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে না যেতে পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানরা। তারা বলেছেন, আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি তারপর জাতীয় নির্বাচন।
এজন্য আন্দোলন আরও জোরদারের পরামর্শও দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যানরা। এছাড়াও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় নির্বাচন আদায়ে আন্দোলনের ধরন ও কৌশল এবং জাতীয় ঐক্য নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সিনিয়র নেতারা।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানদের এ বৈঠক হয়।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দলের ভাইস চেয়ারম্যানদের মতামত নেন দলের নীতিনির্ধারকরা।
আজ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে সন্ধ্যায় বৈঠক করবেন তারা। এর আগে যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা শাখার নেতাদের মতামত নেন দলের নীতিনির্ধারকরা।
সূত্র জানায়, বৈঠকে খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে ভাইস চেয়ারম্যানরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। এ সময় তারা জাতীয় ঐক্য নিয়েও নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
গত কয়েক দিন ধরে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত দলগুলোর নেতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে কিছু শর্তের বিষয় গণমাধ্যমে প্রচার নিয়ে একজন ভাইস চেয়ারম্যান জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসব সত্য নয়। এ সময় উপস্থিত সব নেতা জাতীয় ঐক্যকে আরও ত্বরান্বিত করতে পরামর্শ দিয়ে বলেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই সরকার পতন হবে।
এছাড়া নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠনের দাবিসহ দলের জাতীয় ঐক্য গড়ার সিদ্ধান্তের প্রতি তারা পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। বৈঠকে নেতারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তারা মনে করেন সরকার আপসে তাদের কোনো দাবি মেনে নেবে না। এজন্য তাদের শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যানরা। সারা দেশে নেতাকর্মীদের নামে যেভাবে মামলা দেয়া হচ্ছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ছিলেন- আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মেজর (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও শওকত মাহমুদ প্রমুখ।