নগরাঞ্চলের বর্জ্যকে সম্পদ হিসেবে পরিণত করা সম্ভব – গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
মোঃ হাসানঃ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান কাজ সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার। কিন্ত আধুনিক নগর পরিকল্পনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আবাসন পরিকল্পনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় মিরপুরে স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্পে কঠিন বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন ও জৈব সার প্রস্তত করা হবে।’
বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে সোমবার (১ অক্টোবর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন এ কথা বলেন। এ বছর বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পৌর এলাকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য দবিরুল ইসলাম, ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া’র মহাপরিচালক ড. এম এ মতিন।
অনুষ্ঠানে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘নগরাঞ্চলের বর্জ্যকে সম্পদ হিসেবে পরিণত করা সম্ভব। পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলো অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক উপায়ে রাস্তার পাশে মূল্যবান বর্জ্য পদার্থগুলো ফেলে রাখে। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মিরপুরে স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনসহ বড় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে বাসাবাড়ির কঠিন বর্জ্য পৃথক করে তা থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হবে এবং অবশিষ্ট অংশ থেকে জৈব সার উৎপাদন করা হবে। উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প, ঝিলমিল অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প ও পূর্বাচলেও একই রকম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্জ্য পদার্থ সংক্ষণের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। একইসঙ্গে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে হলেও সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশকালে পলিথিন, কাগজসহ বিভিন্ন বর্জ্য ফেলে নোংরা করা হয়। ভবিষ্যতে এখানে সমাবেশ করতে হলে অগ্রিম জামানত দিতে হবে। সে টাকা দিয়ে উদ্যান পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এর আগে দিনের প্রথম প্রহরে বিশ্ব বসতি দিবস পালন উপলক্ষে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, রিহ্যাব এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সদস্যরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্ত্বর ও কদম ফোয়ারা হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।