সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহাকে ফেরত আনা হবে- আইনমন্ত্রী
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিদেশি সুবিধা পাওয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সফটওয়্যার ও অ্যাপস উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, নিজের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারেননি বলেই আহাজারি করছেন এসকে সিনহা। এসব বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, তার যে এই দেশের প্রতি কোনো আনুগত্যবোধ নেই, সেটিই বোঝা যাচ্ছে। তার কারণ হচ্ছে- যেসব কথা তিনি বলছেন, সেসব কথা আগে দেশে থেকেও বলতে পারতেন।
এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলা যেহেতু হয়ে গেছে, আমি সে বিষয়ে কোনো কথা বলিনি, এখনও বলব না। এটা দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, দুদক বিষয়টি দেখবে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন হলে তা আদালতের মাধ্যমে হবে। মামলা যখন চলবে, তখন সেটি দেখা যাবে। এর বাইরে কিছু বলতে পারছি না।
আইনমন্ত্রীর ভাষ্য, সব কথা মিথ্যা বলেই তিনি দেশের বাইরে গিয়ে বলছেন। বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে রাজনৈতিক তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এর এক বছরের মাথায় তিনি বিদেশে বসে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন, যা নিয়ে বাংলাদেশের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও আলোচনা চলছে।
বইতে সিনহা লিখেছেন- ২০১৭ সালে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়ার পর বর্তমান সরকার আমাকে পদত্যাগ করতে এবং নির্বাসনে যেতে বাধ্য করেছে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা। শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে তার আত্মজীবনীমূলক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানেই তিনি নিজেকে একজন শরণার্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেন।