রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ভারতীয় সিদ্ধান্তে জাতিসংঘের উদ্বেগ
জাতিসংঘের একজন আইন বিশেষজ্ঞ সাত রোহিঙ্গাকে বুধবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ভারতীয় পরিকল্পনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেখানে জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু মুসলমান নিধনে ব্যাপক অভিযান চালানোয় সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
উগ্রবাদ বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টেন্ডায়ি আচিউম মঙ্গলবার বলেন, ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করার অভিযোগে আসাম রাজ্যের কারাগারে বন্দি থাকা এসব লোককে আগামী ৩ অক্টোবর নয়াদিল্লির ফেরত পাঠানোর কথা রয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জাতিগত পরিচয়ের মাধ্যমে তাদেরকে সেখানে পাঠানো হলে তাদের সুরক্ষার অধিকার খর্ব এবং তারা নির্যাতনের শিকার হতে পারে।’ তিনি বলেন, সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গারা তাদের নিজ জন্মভূমিতে প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য, নির্যাতন, ঘৃণার শিকার হচ্ছে এবং দেশটিতে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। তাই এসব ক্ষেত্রে তাদের রক্ষায় ভারত সরকারের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সীমান্ত ফাঁড়িগুলোতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে প্রায় এক বছর আগে চালানো মিয়ানমার সৈন্যের অভিযানে সাত লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
জাতিসংঘ তাদের এই নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ ও ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করে।
এদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এক্ষেত্রে কোন ধরনের অন্যায় করার কথা অস্বীকার করে দৃঢ়ভাবে বলছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের উৎখাতে তাদের অভিযান যুক্তিযুক্ত ছিল।