শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সার্বজনীনতা পেয়েছে৷ রুহুল আমিন মজুমদার৷
এই সময়ে এসে বাংলাদেশ নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হতে চলেছে৷ অভিজ্ঞতা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে গিয়ে সমাজে বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ভাবে বসবাসরতঃ কায়েমী স্বার্থন্ধদের সৃষ্ট প্রতিকুল বাঁধাও সরকার সফলভাবে সামাল দিয়ে চলেছে৷ কৌশল, বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষনতা কখনও কখনও প্রচলিত আইনবিধি প্রয়োগের মাধ্যমে সৃষ্ট বাঁধা অপসারণ করতে হচ্ছে৷ রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজের প্রতিটি শুভকাজে, প্রতিটি পরিবর্তনে, প্রয়োজনীয় সংস্কারে এবং কি আইন প্রয়োগ ও প্রতিপালনে বাঁধার সৃষ্টি করা যেন তাঁদের একপ্রকার ধর্ম, কর্ম, রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে!
বাঁধা সর্বত্র, সর্বব্যাপী–দখলকৃত রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি উদ্ধারে বাঁধা, মানবতা বিরুধী অপরাধে বাঁধা, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বিকৃত খুনীদের সাজা কায্যকরে বাধা, লুটপাটের বিচারে বাঁধা, ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা বিচার কাজে বাঁধা, নির্বাচনে বাঁধা, এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজা কায্যকরে বাঁধা এবং রাষ্ট্র ও জনগনের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাঁধা দিতেও তাঁদের বিবেকে সামান্যতম মানবিক অনুভূতি, দেশপ্রেম বা জাতিত্ববোধ জাগ্রত হয়না৷
সরকার বিরুধী অন্ধ সমালোচকও অন্ততঃ স্বিকার করতে বাধ্য হবে, বর্তমান এই সময়ের সঙ্গে ৫/৭বছর আগেও বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার জানাশোনা ছিলনা, পরিচিতি ছিলনা৷ তিন দিন আগের বাসী পত্রিকার পাতা এখন আর কেউ উলটে পালটে দেখে না৷ সভা সমাবেশে দলে দলে যোগদান করে নেতার বক্তব্য শ্রবনের প্রয়োজন অনুভব করে না৷ প্রিয় শিল্পির গানের অনুষ্ঠান দেখতে বা শুনতে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকার তাগিদ অনুভব করেনা৷ যখন, যে মূহুর্তে, যা প্রয়োজন, হাতের পাঁচ আঙ্গুলের মধ্যে তৎক্ষনাৎ সেই বিষয়টির সন্ধান করে নেয়ার ক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশের সমাজ৷ ১৬কোটি মানুষের দেশে ১৪কোটি সীম নিত্য ব্যাবহারকারী’র অধিকাংশই সকালে ঘুম থেকে উঠে, চা-নাস্তার আগে, রাতে ঘুমানোর আগে, অন্ততঃ একবার হলেও তাঁর আপন ভূবনে চোখ বুলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে৷ যা ৫/৭বছর আগে, কখনও চিন্তায় ছিলনা, ধারনায় ছিলনা, কল্পনায়ও ছিলনা৷ বর্তমান বিরাজমান এই সমাজে ৫/৭ বছর আগে সর্বসাকুল্যে মিডিয়ার সংখ্যা ছিল একশ থেকে দেড়শ৷ পত্র-পত্রিকা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ,নাটক- উপন্যাস সবমিলিয়ে পাঠকের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্ছ ৫০/৬০ লক্ষ৷
সেখানে মাত্র এই কয় বছরে প্রায় ৯কোটি মানুষ কোন না কোন ভাবে আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ইন্টারনেটের সঙ্গে জড়িয়ে জাতীয় এবং আন্তজাতিক বিভিন্ন খবরাখবর, উদ্ভাবন, গবেষনা, আবিস্কার, পরিবর্তন, সংস্কারের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে নিচ্ছে৷এই কাজে ১৬কোটি মানুষের দেশে অবিস্বাস্য হলেও বাস্তব এবং কি একান্ত সত্য, ১৪কোটি সীম ব্যাবহাহৃত হচ্ছে৷ যাহা বহু উন্নত ও বিজ্ঞাননির্ভর দেশের দ্বিগুন, তিনগুনেরব বেশী৷
ইন্টারনেটে সামান্য কিছু খারাপ দিকের চাইতে, ভাল দিকের পাল্লাই যে ভারী বলার অপেক্ষা রাখেনা৷ বাংলাদেশের সমাজে গত ৫/৭বছরে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ ক্ষুদে লেখক, কবি, ছড়াকার, সাহিত্যিক, বিশ্লেষক, উদ্ভাবক, গবেষক, সমাজ চিন্তকের আর্বিভাব৷ তাঁরা প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত নিমিষেই সংগ্রহ করে তাঁদের নিজস্ব তথ্য ভান্ডার,জ্ঞানের পরিধি সমৃদ্ধ করছে, নিজস্ব ধ্যানে মগ্ন রয়েছে৷ ভাল কিছু লেখার, ভাল কিছু করার আগ্রহে, গড়ে উঠছে কবি, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার, ছড়াকার, কলামিষ্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সহ অসংখ্য অগনীত মাধ্যম ভিত্তিক গ্রুপ, পেইজ, ওয়েব, পোর্টাল, নানাহ মত ও পথের কমিউনিটি৷ অসংখ্য, অগনীত অনলাইন পত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিন, পোর্টাল, সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ এই সমস্ত সামাজিক সাইট সমূহে বিচরণকারীর সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে৷
ক্ষুদে সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ছড়াকার, শিল্পি সহ সমাজের চাহিদানুযায়ী প্রকাশিত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ পত্রিকা, পোর্টাল, পেইজ, ওয়েব সহ নানা বিষয় লেখা–বই-পত্র, খবরা-খবর, নাটক-উপন্যাস, ভ্রমনকাহিনী, বিনোদন মুলক লেখা, ছবি, গান, রম্যরচনা সহ আরো কত কি৷ এই সমস্ত মানব সেবা, সমাজসেবা বা উদ্ভাবন, আবিস্কারের সাথে প্রজম্ম সার্বক্ষনিক বিনালাভে জড়িত রয়েছে তা কিন্তু নয়, পরিবার পরিজন প্রতিপালনের অর্থও উপার্জন করে নিচ্ছে অনেকে৷
লক্ষ করলে দেখা যায়–অপলাইনের পত্রপত্রিকা এই সময়ে এসে অনেকটা অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে৷ প্রায় প্রত্যেক নামকরা জাতীয় পত্রিকা, তাঁদের অন-লাইন সংস্করণ বের করছে৷ এখন আর কোন কবি তাঁর কবিতা চাপানোর জন্যে পত্রিকা অফিসে অফিসে হেটে জুতা ক্ষয় করার প্রয়োজন হয়না৷ কোন সাহিত্যিক তাঁর সাহিত্য কর্ম নিয়ে প্রেসে প্রেসে ধর্না দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনা, প্রত্যেকেরই একাধিক পেইজ, ওয়েব সাইট, পোর্টাল রয়েছে৷ অপলাইনের পত্রিকা সম্পাদক গন অনলাইনে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন খবর সংগ্রহ থেকে শুরু করে বলিউড, হলিউড নায়ক নায়িকাদের চিত্র বিচিত্র বিনোদনের খবরা খবর পয্যন্ত এককথায় সবকিছু অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে তাঁদের পত্রিকার পাতা সমৃদ্ধ করে নিচ্ছে৷
নিবিড়ভাবে লক্ষ করলে দেখা যায়–অজপাঁড়াগাঁয়ের নতুন বিবাহীতা লজ্জাবতী গৃহবধু, যখন দেখে আশপাশে কেউ নেই, তখনই ঘোমটার ফাঁক গলিয়ে তাঁর নিজস্ব ভূবনে একবার হলেও চোখ বুলিয়ে দেখে নেয়৷ জানার চেষ্টা করে, এই মূহুর্তে বিশ্বের কোথায় কি ঘটেছে! তাঁর প্রিয় মানুষ গুলীর ভাবনা কি? কে কোথায় আছে, কি করছে, কে কি ভাবছে৷ পারতঃ পক্ষে বিশ্বময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো বন্ধুর মাঝে নিজের নতুন জীবনের অভিজ্ঞতা, নতুন সংসারের আগামী দিনের পরিকল্পনা ছড়িয়ে দিতেও লাজুক বধূটি এতটুকু দ্বিধা করছেনা৷
আমি অভাগার ন্যায় আধুনিক যুগের স্বর্ণময় সময়ে জম্ম নিয়ে সৌন্দয্যের ছিটেফোঁটাও কপালে নাঝুটা বৃদ্ধ বৃদ্ধারা, ডিজিটাল যুগে অবাধে গাঁ ভাসিয়ে দিচ্ছে৷ নিকট অতীতের বঞ্চিত জীবনের সকল সুখানুভুতি, আনন্দ, না পাওয়া, নাদেখার যন্ত্রনা যেন গোগ্রাসে একনিমিষে, একবারেই ধারন করা’ই লক্ষ হয়ে উঠেছে৷ কোটি কোটি বৃদ্ধ-বৃদ্ধার নিঃসঙ্গতা কাটানোর অন্যতম বাহন হয়ে উঠেছে ডিজিটাল যুগের উন্নত প্রযুক্তির আজকের এই ইন্টারনেট৷
গ্রামের টুনির মা •৬০পয়সা খরছ করে টুনির বাবা’কে বলতে শুনা যায়-‘পান তো আনবে’ই সাথে ২ টাকার সাদাপাতাও আনতে যেন ভুল না কর’৷
আজকের প্রসঙ্গটির অবতারনার কারন–একদল মানুষ প্রতিনিয়তঃ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়ন্তর বলে যাচ্ছে, লিখে যাচ্ছে–বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে গনতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলতে কিছুই নেই৷আসলেই কি তাই? উনি নাই বলছেন কোথায়? শুনছেন কারা? বলছেন কিভাবে? শ্রোতারা শুনছে কিভাবে? ঐ গুলী কি? কথা বলার মাধ্যম নয় কি?
আমাদের মুক্ত গনতন্ত্র চর্চা কখন থেকে শুরু আগে জানতে হবে৷ তার আগে দেখতে হবে গনতান্ত্রিক বিশ্বের কোন দেশে, কখন গনতন্ত্রের চর্চা শুরু হয়েছে এবং এখনও অব্যাহত আছে৷
এক্ষেত্রে শতবছর গনতন্ত্র চর্চাকারী তিনটি দেশকে বিবেচনায় নিতে পারি৷ তিনটি দেশই বহুল কথিত, উদাহরনযোগ্য, সর্বমহলে আলোচ্য, বিবেচ্য, বিস্বস্ত গনতন্ত্রের রাজা, রাণী, ক্ষমতাধর রাষ্ট্র৷ তিনটি দেশের একবছরের দাঙ্গা, হাঙ্গামা, জাতিগত বিভেদ, সামাজিক বিপয্যয়, রাজনৈতিক হানাহানী, নাগরিক অধিকার হরণ, বর্ণ বৈশম্য, লিঙ্গের তারতম্য, ভোটাধিকার, সভা সমাবেশের অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার ক্ষুন্নের তালিকা একপাশে রাখুন৷ বাঙলাদেশের উল্লেখিত বিষয়ে সংগঠিত ঘটনা সমূহ আর এক পাশে রাখুন৷ এবার নিজেই তুলনামূলক পয্যালোচনায় বসুন৷ আপনার অন্তদৃষ্টিতেই ভেসে উঠবে কোন দেশের গনতান্ত্রিক আধিকারের মাত্রা কোথায় অবস্থান করছে৷ আপনার পয্যালোচনার সুবিধার্থে প্রারম্ভিক সূচি দিয়ে যাচ্ছি৷
ভারত গনতন্ত্রের রাণী, ৪০ লক্ষ বাঙ্গালী’র নাগরিকত্ব অস্বিকার, তাঁরা সবাই জাতে বাঙ্গালী৷ গনতন্ত্রের রাজা বৃটেন–জাতিগত দাঙ্গা হাঙ্গামা, সাদা-কালোর বৈশম্য, হত্যাযজ্ঞ, বোমাবাজী, শিশু ও নারী হত্যা কোন সপ্তাহে ঘটেনি খোঁজ খবরের প্রয়োজন হবে৷ ক্ষমতাধর গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমেরিকা-ভোট কারচুপির অভিযোগে একাধিকবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিসংশনের পদক্ষেপ, হোয়াইট হাউজে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, কালদের নিপীড়নের জ্বলন্ত আগুনে নিরিহ পথচারীদের উপর চলন্ত গাড়ী উঠিয়ে দেয়ার শত উদাহরণ, স্কুলে ঢুকে শিশুদের উপর নির্বিচারে গুলীবর্ষনে হত্যাযজ্ঞ, শত শত জঙ্গি হামলার জিবন্ত উদাহরনের দেশ বৃহৎ গনতান্ত্রিক শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা৷
বাংলাদেশের গনতন্ত্রের পথচলা কখন থেকে শুরু? উত্তর আসবে, এই তো সেদিন–৯০এর দশকের প্রথম মাস থেকে শুরু করে সবেমাত্র কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা দিয়েছে৷ তাঁর আগে দীর্ঘ ২১ বছর একটানা সামরিক, বেসামরিক, আমলা, দেশবিরুধী অশুভচক্রের অপশাসনে জাতি পিষ্ট ছিল৷ যে শাসন কোন অবস্থায়, কোন দেশে, কোনক্রমেই গনতান্ত্রিক শাসনের সজ্ঞায় পড়েনা৷
আমাদের গনতন্ত্রের পথচলার বয়স মাত্র ২৭ বছর৷ ২৭ বছর বয়সের মধ্যে একাধিকবার পথচলা থেমে ছিল৷ বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছিল ৩টি
-(১) ২০০১ ইং সালে নির্বিচারে আওয়ামী নিধনযজ্ঞ
(২) ২০০৬ইং সালে ক্ষমতা আকড়ে থাকার হীনপ্রচেষ্টায় পবিত্র সংবিধানের অপব্যাখ্যার ফলে দেশবিরোধী অশুভচক্রের উত্থান৷
(৩) (২০০৬–০৮) ২বছর অনির্বাচিত কতিপয় সামরিক, অসামরিক ব্যাক্তির জোরপূর্বক অপশাসন৷
এরই মধ্যে ২০০৮ইং সালের শেষের দিকে ঘোষিত এবং ২০০৯ইং সালের অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ডিজিটাল সমাজ বিনির্মানের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করে৷ সফলতাও আসে, নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করে জনককন্যার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে৷ গনতন্ত্রের পথচলা আবার নতুন করে শুরু হয়, নতুন সমাজ বিনির্মানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে৷
অস্বিকার করার উপায় নেই, দীর্ঘকালের উপনিবেশিক শাসন-শোষন, সামরিক, বেসামরিক, আমলা, দেশবিরুধী অশুভ চক্রের শাসনকালের রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় অভ্যস্ত দেশ, জাতী৷ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মান্ধাতার আমলের সমাজ ব্যাবস্থায় ব্যাপক সংস্কার কর্মসুচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক ডিজিটাল সমাজ ব্যবস্থায় রুপান্তরের লক্ষে দেশ, সরকার প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছে৷ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম বাহন সর্বত্র বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক আবিস্কার,প্রযুক্তি’র ব্যাবহারের উপর সরকার অধিকতর গুরুত্বারোপ করেছে৷ প্রত্যহ প্রযুক্তির নতুন নতুন সম্ভাবনা, উদ্ভাবন, আবিস্কার, গবেষনা কাজে লাগিয়ে, অতি দ্রুত সমাজ ব্যাবস্থায় পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে৷উন্নত, সুখী, সমৃদ্ধ, বিজ্ঞান ভিত্তিক, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষে প্রযুক্তির সর্বোচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিত করে সরকার দেশব্যাপী বিরামহীন, ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে৷
জম্মেই যে সমাজ ব্যাবস্থা অন্ধকার অবলোকন করেছে, সেই সমাজ ব্যাবস্থা আলোতে রুপান্তর সর্বসাধারণের নিকট অনেকটা বেখাপ্পা, বেমানান, অসামঞ্জস্য, অযৌক্তিক, অধার্মিক, অনিয়মান্ত্রিক, অগনতান্ত্রিক, অপশাসন মনে হচ্ছে৷আমি মনে করি ইহা আধুনিক যুগের ছোঁয়া নাপাওয়া, বাংলাদেশের জনগনের একান্তই স্বাভাবিক অনুভূতি৷ ভয়, ভীতি, জড়তা, সংশয়ের কোন অবকাশ নেই৷ বাঙ্গালী জাতী সহজে যে কোন পরিবর্তনে অভ্যস্ত হওয়ার অতীত ইতিহাস রয়েছে৷ এই প্রসঙ্গে একটা সাধারন উদাহরণ তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করি৷
‘৭২ এর সংবিধানে মদ, জুয়া, সুদ, পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করে সাজা নির্ধারন করেছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বল্পকালীন শাসনামলে৷ “৭৫ পরবর্তি সময় সামরিক শাসক মেজর জিয়াউর রহমান সংবিধানের উল্লেখিত ধারা বাতিল করে ইসলাম ধর্ম সহ সকল ধর্মের নীতিনৈতিকতা পদলিত করেছিলেন৷ স্বল্প সময়ে সারা জাতী অনৈতিকতার সাগরে ডুব দিয়ে, অচিরেই তেলতেলে শরীরের অধিকারী হয়ে সমাজে, রাষ্ট্রে, সরকারে, ধর্মে–“আদরনীয়, বরণীয়, পূজনীয় হয়ে উঠেছেন৷
আজো সেই ধারাবাহিকতা যথারীতি, যথানিয়ম, যথাযথভাবে বাংলাদেশের সমাজে স্বিকৃত, আইনসিদ্ধ, সমাজসিদ্ধ ব্যাবস্থায় রুপান্তর হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পেয়েছে৷ ১০/২০ বছরের একটানা শাসনেও এই অনৈতিকতা, অধার্মিক, অসামাজিক কর্মকান্ড কোন সরকারই বন্ধ করতে পারবে না৷ যেমনঃ- মাল্টি পারপাসের সুদের দোকান, সকল এনজিও সংস্থার সুদের ব্যাবসা, মদের ব্যাবসা, যত্রতত্র পতিতাবৃত্তি, সর্বস্তরের ঘুষের অবাধ প্রচলন৷ অবশ্য সমাজের গুটি কতেক মানুষ এখনও আছে, যারা এই সমস্ত অনৈতিকতা ঘৃনা করেন৷ তাঁদের ঐ সমাজে কোন দাম নেই, তাঁরা সকলেই প্রায় জীবিত অবস্থায় মৃত৷
প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি প্রাপ্ত কোন কিছুই সহজে পরিবর্তন সম্ভব হয়ে উঠেনা৷ যেমন পারেনি-বহুবার ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা হিন্দু ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিজেপি৷ কংগ্রেস দলের আদর্শভিত্তিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের চরিত্র বদল করে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গিকার নিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করেছে৷ কিন্তু রাষ্ট্রের চরিত্র বদল করতে এখন পয্যন্ত পারেনি৷ না পারার কারন, ভারতের গনতন্ত্র দীর্ঘযুগের বিরাতিহীন চর্চায় সর্বত্র প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছে৷ বিজেপি সরকারের অদম্য আদর্শিক ইচ্ছা থাকা সত্বেও ভারতকে ধর্মীয় রাষ্ট্রে রুপান্তর করা সম্ভব হয়ে উঠছেনা৷ হয়তো বা অদূর ভবিষ্যতেও পারবেনা৷ বিজেপি সরকারের জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অপারগতায় গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী দল “শিব সেনা’র সাথে ইতিমধ্যেই বিজেপির দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে৷ হয়তোবা এই দুরুত্ব চুড়ান্ত পয্যায় পৌঁছে যাবে৷ এক্ষেত্রে কোন অবস্থায় বলা যাবেনা বিজেপির আদর্শ বাস্তবায়নে আন্তরিকতার কোন অভাব রয়েছে৷ গনতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি বিজেপির সামনে পাহাড়ের সম হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সরাতে গেলেই ধ্বসে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা দিতে পারে৷
‘৭৫ ইং সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ঘুনেধরা উপনিবেশিক শাসনশোষনের সমাজ পরিবর্তন করে ন্যায়, সমতা, বৈশম্যহীন, নীতিনৈতিকতার সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে যুগান্তকারী দর্শন “বাকশাল” কর্মসূচি ঘোষনা করেছিলেন, যথারীতি কাজও শুরু করেছিলেন৷ কায়েমী স্বার্থন্ধদের ষড়যন্ত্রে ফসল উত্তোলন পয্যন্ত বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি৷তাঁর নিজের এবং পরিবারের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন৷ বাংলাদেশের সুখ, শান্তি, উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি সর্বোপুরি ৯৫% শোষিত, বঞ্চিত, অবহেলিত গনমানুষের গনতান্ত্রিক মৌলিক অধিকারের সঙ্গে আপোষ করেননি৷
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সময় স্বল্পতার কারনে ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে না পারায়, ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচারে সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে, অনেকে সহজেই বিশ্বাস করেছে৷ কিন্তু তাঁর কন্যার ঘোষিত “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচি” ঘোষনার পর তিনি লম্বা সময় হাতে পেয়েছেন৷ ঘোষিত কর্মসূচি অনেকাংশে, অনেকক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হয়েছে, হচ্ছে আরো হবে৷ বাংলাদেশের জনগন ইতিমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের উর্বর ফসল ঘরে তোলা শুরু করেছে৷ কোন প্রকার অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র, গুজব ছড়িয়ে কোন মহলই কায্যসিদ্ধি করতে পারবেনা৷ হয়তো বা লাগাতার অপপ্রচার, গুজব, ষড়যন্ত্রে সাময়িক বিভ্রান্ত হবে, সময়ে জনগন ঠিকই বুঝে নিবে৷ ইতিমধ্যে গড়ে উঠা দুইটি বৃহৎ আন্দোলন তাঁর প্রকৃষ্ট প্রমান বহন করে৷
পুর্বের শাসন শোষনের অনৈতিক সমাজ এবং বর্তমান সময়ের ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ দুইয়ের মধ্যবর্তি সময়ের আবর্তে পড়ে কোনটি সঠিক, কোনটি সঠিক নয়–তারতম্য নির্ণয়ে সমাজে দেখা দিয়েছে গোঁলক ধাঁধাঁ৷ সর্বস্তরের সাধারন জনগন, ছাত্র, শিক্ষক, রাজনীতিবীদ, বুদ্ধিজীবি, সুশীল সমাজ, সচেতন নাগরিক, আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা’র মধ্যে কেউ কেউ সমাজকে টেনে নিতে চায় পেছনে–কেউ কেউ চায় এগিয়ে যেতে আরো সামনে, অনেক দূরে, নতুন দিগন্তে৷ তবে ইহা সত্য যে সর্বস্তরে প্রযুক্তির ব্যাবহারে সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হতে বাধ্য হবে৷ ঘুষ, দুর্নীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমতে থাকবে৷
পুর্বের আলোচনায় ফিরে আসি–প্রথম ধারার সামন্তবাদী ধ্যান ধারনায় পুষ্ট শ্রেনীটি নিজেদের প্রাধান্যে ব্যাস্ত৷ বাঁধা দিলে গনেশ উলটে যায়৷তাঁদের মতে আপনার বলার প্রয়োজন নেই–আমার চাই অবাধে বলার স্বাধীনতা৷ আপনি কিছুই করতে পারেন না–আমার চাই যা ইচ্ছে তাই করার স্বাধীনতা৷ আপনি যতই সৎ হবেন না কেন–আপনাকেও আমার পয্যায় নামিয়ে আনবো, আনতে আমি বদ্ধপরিকর৷ আপনি নীতিবান, সৎ সমস্যা নেই–আমি লুট করবো, সরকারী বাড়ী নিজের করে নেব, তাকাতে পারবেন না৷
আমি শাসক, ব্যাবসায়ী, রাজনীতিবীদ–আমাকে কেন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে! আমি হত্যা করবো, রাতের আঁধারে স্বপরিবারে ধ্বংস করে দেব, লাখ মানুষের সমাবেশে গ্রেনেড-গুলির বৃষ্টি ঝারাবো-বিচার হবে কেন? আমি দেশ ও জনগনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেব, মা বোনদের বিজাতীয়ের হাতে তুলে দেব, বাড়ী ঘর পুড়িয়ে ছারখার করে দেব–আবার আমিই মন্ত্রী হব, ধর্মের বাণী শুনাবো৷ আমার আবার কিসের বিচার, কে করবে বিচার–একতরফা বিচার আমি মানিনা৷ আমার সুযোগ যতক্ষন পয্যন্ত না আসে ততক্ষন পয্যন্ত আমাকে সময় দিতে হবে–প্রয়োজনে ৫০০ বার ১০০০বার! আমার কেন সাজা হবে!
দ্বিতীয় ধারাটি চায় বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে সমাজ, রাষ্ট্র, সরকারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ে উন্নত, সমৃদ্ধ-সমাজ, রাষ্ট্র বিনির্মান৷ সর্বত্র আইন, ন্যায়, নীতির শাসন কায়েম হোক৷ সমাজের সর্বত্র ঝেকে বসা সামাজিক ব্যাধি–অনৈতিকতা, দুর্নীতি, লুটপাট, দখলবাজী, চাঁদাবাজী নির্মূল হোক৷ গড়ে উঠুক নীতি নৈতিকতার সমাজ৷ ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, সম্প্রদায়, গোষ্টি, জাতী ভেদে সামাজিক,অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় বৈশম্য নিরসন হোক৷ গড়ে উঠুক অসাম্প্রাদায়িক, বৈশম্য মুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত বাসযোগ্য আধুনিক সভ্য সমাজের বাংলাদেশ৷ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হত্যা, গুম, খুনের রাজনীতির চির অবসান ঘটুক৷ গনতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পূরিপূরক হয়ে হাতে হাত রেখে চলুক৷ রাষ্ট্র, সমাজ, নাগরিকের–“সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি নিশ্চিত কল্পে গনতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি গড়ে উঠুক, উন্নয়ন, অগ্রগতি টেকসই হোক”৷
উল্লেখিত কাংক্ষিত সমাজ বিনির্মানের লক্ষে সরকার ৫০/৬০লক্ষ মানুষের সীমিত গনতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গন্ডি পেরিয়ে সর্বপ্রকার স্বাধীনতা, অধিকার সর্বসাধারনে উম্মুক্ত, অবাধ করে গড়ে তোলার প্রয়াস গ্রহন করেছেন৷ সামাজিক মাধ্যম ফেইছবুক সহ অন্যান্ন মাধ্যম সমূহ শক্তিশালী করার লক্ষে দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় সর্বপ্রথম 5G নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে৷ প্রত্যেক নাগরিকের হাতে’র পাঁচ আঙ্গুলের মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংরক্ষন করার সুযোগ করে দিয়েছেন৷ সকল সরকারি দপ্তর, পরিদপ্তর, অধিদপ্তরে–যে কোন উৎসূক নাগরিক, যে কোন তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছেন৷ রাষ্ট্রের সর্বোচ্ছ সরকার প্রধান থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পয্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনীধি, সরকারী আমলা জবাবদিহীতার নীতিরীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করে চলেছেন৷ প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরের ক্লান্তি দুরের আগেই ছুটে চলেছেন রাষ্ট্রের মালিক রাষ্ট্রপতির দ্বারে–অর্জন, বিসর্জনের পূংখ্যানুপুংখ্য হিসেব কষে দিয়ে, তারপরই এসে নিজের অথবা সরকারি কাজে মনযোগী হচ্ছেন৷
১৬কোটি মানুষের দেশে১৪কোটি সীমে কমপক্ষে ৯কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত তাঁর ব্যাক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আবিস্কার, উদ্ভাবনের অভিমত পালটা অভিমত ব্যাক্ত করে চলেছে৷ তারপরও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, গনতান্ত্রিক অধিকারের তিব্র অভাব! উচ্চ আদালত তো বটেই, বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারালয়ে সাংবাদিকদের অবাধে প্রবেশাধিকার সহ আসন সংরক্ষিত করেছেন–তারপরও বিচারে স্বচ্ছতার সংশয় কাটেনা৷ নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত সর্বত্র বিচার পাওয়ার অধিকার সংরক্ষিত–তারপরও ন্যায় বিচারের সংশয় কাটেনা৷
রাজনৈতিক দলের কায্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত তৎক্ষনাৎ ১৬কোটি মানুষের কানে পৌঁছে দেয়ার বাধ্যবাধকতার নীতি অনুসরণ করে চলেছেন–তারপরও সাধারনের অংশগ্রহন ও অধিকারহীনতা কাটেনা! মুখে যা ইচ্ছে তাই বলছি, যা ইচ্ছে তাই লিখছি–তারপরও তথ্য প্রবাহে সংকোচন নীতি পরিদৃষ্ট৷ সংসদের কায্যবিবরনী সচিত্র প্রচার, মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত বেঠক শেষেই সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেয়ার রীতির কঠোর অনুসরণ, তৎক্ষনাৎ সরকারী গেজেট প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী’র সিদ্ধান্ত তৎক্ষনাৎ ১৬কোটি মানুষের জানার অধিকারের প্রতি যথারীতি সর্বোচ্ছ সম্মান প্রদর্শনের নীতি অনুসরণ করে চলেছেন–তারপরও সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতার অভাব প্রচন্ড৷ সকল মন্ত্রনালয়, পরিদপ্তর, অধিদপ্তরে’র (রাষ্ট্রীয় গোপনীয় বিষয় ব্যাতিরেকে) তথ্য পাওয়ার অধিকার কঠোরভাবে সংরক্ষন করেছেন–তারপরও অন্ধকারে তথ্য খোঁজার ব্যাস্ততা কাটেনা৷
র্এক কথায় খোলা চোখ, খোলা মন, খোলা বাজার, খোলা সীমান্ত, খোলা বিশ্ব, খোলা অর্থনীতি, খোলা কলম, খোলা মুখ, খোলা সংস্কৃতি,খোলা কৃষ্টি–তারপরও কোথায় যেন বড় রকমের বাঁধা৷ কি যেন দেখছিনা, কি যেন জানছিনা, কি যেন পাচ্ছিনা-হতাশা ছড়িয়ে দেয়ার নিয়ন্তর প্রচেষ্টা৷
ঐ যে বলছি নতুন প্রযুক্তির নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় প্রতিনিয়ত সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার, জনগন সমৃদ্ধ হচ্ছে–মানিয়ে নেয়ার মানষিকতার স্বল্পতা সহ্য করা সম্ভব হচ্ছেনা৷ এটা শুধু মাত্র বাংলাদেশের সমাজে বিরাজমান তা কিন্তু নয়–বিশ্বের দেশে দেশে, যেখানেই সমাজ পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে, সেখানেই কায়েমী স্বার্থবাদীদের বাঁধা এসেছে, আগামীতেও আসবে৷ পুরাতন গুনেধরা সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ বিনির্মানের চেষ্টা থেকে কোন দেশই পেছনে ফেরেনি, বাংলাদেশও পেছনে ফিরবেনা৷ ওরা জানে–নতুন সমাজের সুফল মানুষের ঘরে পৌঁছা শুরু হলে, তাঁদের অবস্থান সমাজে থাকবেনা৷অতীতে কোন দেশে, কোথাও, কখনই থাকেনি৷ সুতারাং মাথা তুলে দাঁড়াবার আগেই মাথা ভেঙ্গে দেয়ার যত বাহন, সব বাহনকে তাঁরা কাজে লাগিয়ে তাঁরা ধ্বংসলীলায় মেতে উঠে৷
গনতন্ত্র, বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মুখে মুখে, লোক দেখানোতে সীমাবদ্ধ নেই৷ জনসভার আগে-পরে রক্তারক্তিতে নেই৷ মিছিলের আগে পরে ধ্বংসলীলায় মেতে উঠায় নেই৷ ঘরোয়া সভায় হাতাহাতি, মারামারি, চুলাচুলি, একে অপরকে অশ্রাব্য গালাগালিতে নেই৷ অবস্থান কর্মসূচিরর নামে সহিংসতা, বোমাবাজী, সম্পদহানী, পবিত্র কোরাণে আগুন দেয়াতে নেই৷ অভিযোগ একান্তই সত্য, বাস্তব, আমি দৃডতার সঙ্গে বিশ্বাস করি৷
উল্লেখিত মৌলিক অধিকারের ব্যাপ্তি, বিস্তৃতি ঘটেছে সর্বত্র, সর্বব্যাপী৷ ডিজিটাল বাংলাদেশের গনতন্ত্র বিরাজমান চর্চায়, প্রাতিষ্ঠানিকতা দেয়ার নিয়ন্তর প্রচেষ্ঠায়৷ বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা বিরাজমান শান্তিপূর্ণ দাবী আদায়ের সংগ্রামে, আন্দোলনে৷ অতি সম্প্রতি শিক্ষার্থিদের মেধা আন্দোলন, শিশু কিশোরের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, শিক্ষকদের দাবী আদায়ে লাগাতার আমরণ কর্মসুচি পালনের মধ্যে৷ মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরাজমান সর্ববৃহৎ, সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম ফেইছবুক, গুগুল প্লাস সহ দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত শতশত ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়া, পেইজ,পোর্টাল, পত্রিকা, ওয়েবের মধ্যে৷