চিকিৎসার জন্য বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ৩টা ৪১ মিনিটের দিকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি গাড়িতে (ডিএমপি-৭১৬০) করে হাসপাতালে আনা হয়।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িসহ র্যাব, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের আরো ১৫টি গাড়ির বহর বেলা ৩টা ৫ মিনিটে কারাগার থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পরে গাড়িগুলো চানখাঁরপুল মোড় দিয়ে কাকরাইল হয়ে শাহবাগের বিএসএমএমইউ হাসপাতালে পৌঁছায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ও শাহবাগ মোড়ে মুক্তিযুদ্ধ কোটা বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন চলার কারণে প্রায় এক ঘণ্টার যানজট ঠেলে হাসপাতালে পৌঁছে গাড়ির বহর। বহরে খালেদা জিয়ার তিনটি লাগেজও ছিল।
এরপর খালেদা জিয়াকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হুইল চেয়ারে করে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৬১২ নং কক্ষে নেয়া হয়।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পাঁচ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এমএ জলিল চৌধুরী, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ সজল ব্যানার্জি, অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ নকুল কুমার দত্ত ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বদরুন্নেসা আহমেদ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিল। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। তারা আমাদের যেভাবে বলেছেন, সেভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।’
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনার সময় ফটকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট নিতায় রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আইনবিষয়ক সম্পাদক সানা উল্লাহ মিয়া, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনা হলে রোগীসহ উৎসুক জনতা ও নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। এসব সামলাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।