গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ে তারেক জিয়ার ফাঁসিও হতে পারে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জিয়া অরফানেজ মামলায় তারেক জিয়ার ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় তার ফাঁসিও হতে পারে। তখন কিছুই করার থাকবে না। তারা যোগ্য নেতা-কর্মী পয়দা করেনি যারা দলের হাল ধরবে।
রোববার বিকালে মাগুরায় বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মাগুরায় শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি তানজেল হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় মন্ত্রী সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে একতাবদ্ধভাবে নিজেদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানান।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনের আসার জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। কিন্তু সরকার তার নামে মামলাও দেয়নি, মুক্তিও দিতে পারে না। একমাত্র রাষ্ট্রপতি দিতে পারেন। কিন্তু তার আগে নিজের দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তখন সেটি বিবেচনা করতে পারেন রাষ্ট্রপতি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যে দলের নেতা হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুক পুলিশের ‘ধর’ শব্দ শুনেই দৌঁড় মারে; সেই তারা আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখায়! আমাদের নেতা-কর্মীরা ভীরু নয়। একটি ভেসে যাওয়া দলের হুমকিতে আওয়ামী লীগের কিছু আসে যায় না।
বিএনপির নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলেই জোট বাঁধছে। তারপরও না আসলে আমরা পায়ে ধরে আনবো না। কিন্তু তারা যদি মাঠে নাও থাকে তবুও আমরা নির্বাচনকে হালকাভাবে নিতে চাই না। ইস্পাত কঠিন শক্তি নিয়েই আমরা একতাবদ্ধভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হবো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব)এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা আওয়ামী লীগ সংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল প্রমুখ।
এর আগে সকালে মন্ত্রী প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ১ হাজার আসন বিশিষ্ট মাগুরা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এছাড়াও জেলা পরিষদের পক্ষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন