চট্টগ্রামে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর!
চট্টগ্রাম নগরে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করেছে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরের দামপাড়ায় হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর শুরু করেন তারা।
হানিফ পরিবহনের দাবি, ভাঙচুরে তাদের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ল্যাপটপ, নগদ টাকাসহ কিছু মালামাল খোয়া গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়াদের মধ্যে হানিফ অন্যতম। তার মালিকানাধীন হানিফ পরিবহনের গাড়ি চট্টগ্রামে চলতে দেয়া হবে না।
ঘটনায় অংশ নেয়া একজন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, মানুষের কাছ থেকে টাকা আয় করে তা সরকারের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে ব্যয় করছে হানিফ পরিবহনের মালিক। তাই তার পরিবহনকে চট্টগ্রামে আমরা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি।
এদিকে দুপুর সোয়া ২টার দিকে দামপাড়ায় শুরুতে পাথর ছুঁড়ে কাউন্টারের গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। এরপর ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে খুলশী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু সাদাত মো. সায়েম, ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল আলম জেকি ও আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজী হননি খুলশী থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন।
হানিফ পরিবহনের নগরের দামপাড়া কাউন্টারের বিক্রয় প্রতিনিধি মাহবুব বলেন, হঠাৎ কিছু যুবক এসে বলে, উপরের নির্দেশে কাউন্টার ভাঙতে এসেছি। এরপর শুরু করে দিল হামলা। টাকা-পয়সা যা ছিল সব নিয়ে গেছে। চারটি ল্যাপটপ, দুইটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, প্রিন্টার, নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা, টিকিট বিক্রির আরও কিছু টাকা ছিল- যা ছিল সব নিয়ে গেছে তারা।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা জেকি নামের একজনের নাম উল্লেখ করেছিল। সে হয়তো নেতৃত্বটা দিয়েছে। তারা বলেছিল, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ থেকে এসেছে। আমরা যখন ফোনে মহানগরের একজন নেতার সাথে কথা বলিয়ে দিতে চেয়েছি, তখন ওরা বলেছে আমরা মহানগরকে চিনি না এখন। যেহেতু আমরা দক্ষিণ জেলা থেকে এসেছি। তারা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে।
এদিকে দামপাড়ায় কাউন্টার ভাঙচুরের আগে শাহ আমানত সেতু এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা হানিফ পরিবহনের দুটি কাউন্টারে তালা লাগিয়ে দেয়।