যবনিকার অন্তরালে।।আবদুল গাফফার চৌধুরী।।
যদি খুবই আশাবাদী হই তাহলে বলব, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনটি যথাসময়ে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই একটি নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে হবে এবং বিএনপিসহ সব জোট ও দলই তাতে অংশগ্রহণ করবে। অর্থাৎ সবার অংশগ্রহণেই নির্বাচনটি হবে। নির্বাচনকালে কিছু মারদাঙ্গা হবে, যা উপমহাদেশের সব নির্বাচনেই হয়ে থাকে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বাদ-প্রতিবাদও কিছু হবে। তারপর সেই ফল সবাই মেনে নেবে। বাংলাদেশ একটা সংকট কাটিয়ে উঠবে।
যদি নৈরাশ্যবাদী হই তাহলে বলব, নির্বাচনে কারা আসবেন, সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচন আদৌ হতে পারবে কিনা, সেটা বড় প্রশ্ন। খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা আদালতে চলছে। তিনি আদালতে যেতে রাজি নন। আপত্তির কারণ, তিনি এই আদালতে সুবিচার পাবেন বলে মনে করেন না। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এটা একটা শক্ত স্টান্ড। একই সঙ্গে তার দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার শক্ত স্টান্ড নিলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন হবেই; কিন্তু দেশের ও বাইরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি একটা জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন। নির্বাচনবিরোধী একটি সুশীল সমাজ তার সুযোগ নিয়ে আরও পানি ঘোলা করতে পারেন। সে জন্য তারা ইতিমধ্যেই একটা যুক্তফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে অপেক্ষা করছেন।
পরিস্থিতি টু বি অর নট টু বি। এই বাস্তবতা স্বীকার না করলে ভুল হবে। আশার বালুচরে বাসা বেঁধে লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সংবাদ-বৈঠকে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছেন। আমি তার এই শক্ত অবস্থান গ্রহণের পক্ষপাতী। কিন্তু তিনি যতটা শক্ত মনোভাব গ্রহণ করেছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা তত বেশি সংঘবদ্ধ হয়েছে। এবার আর মুখোশ ধারণ করে নয়, মুখোশ ছিঁড়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছে।
তাদের বিষদাঁত যে ভাঙেনি তার প্রমাণ, দেশের একজন আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলমকে গ্রেফতার করা নিয়ে বিশ্বের নোবেলজয়ী বহু বিশিষ্ট সেরা ব্যক্তির নিন্দা জ্ঞাপন। এখন তো ফাঁস হয়ে যাচ্ছে, এর পেছনে বাংলাদেশেরই অর্ধনোবেলজয়ী ড. ইউনূসের বিশেষ উদ্যোগ। ঢাকার দৈনিক ইত্তেফাকের খবরে আভাস দেওয়া হয়েছে, কিছু ফসিল রাজনীতিবিদদের নিয়ে যে হাসিনাবিরোধী যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছে, তার নেপথ্যেও নাকি ড. ইউনূসের হাত সক্রিয়। বোঝা গেল, গ্রামীণ ব্যাংকের জ্বালা তিনি এখনও ভুলতে পারেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের পরাজয়ের পর বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে ইস্তফা দিয়ে মনে হয়েছিল, তিনি সামাজিক ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এখন দেখা যাচ্ছে, তিনি এই সামাজিক ব্যবসার আড়ালে তার রাজনীতির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আমার ধারণা, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবার যতটা দানা বেঁধেছে, অতীতে কখনও এতটা দানা বাঁধেনি। বিদেশেও তা বিশাল শাখা-প্রশাখা মেলেছে। বিএনপি নেতারা ভারতের বিজেপি সরকারকে ভজাতে এ যাবৎ ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতঘেঁষা লর্ড কার্লাইলকে ভারতে ঢুকতে না দিয়ে মোদি সরকার বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের অবস্থানের কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিকে ভজাবার কাজটি আমাদের সুশীল সমাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজেপির একটি কট্টর সেকশনের সঙ্গে ঢাকার সুশীল সমাজ ও তাদের মিডিয়ার একটি সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সেতুবন্ধের কাজটি করছিলেন ভারতের বিখ্যাত সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার। সম্প্রতি তার প্রয়াণ ঘটেছে। বস্তুনিষ্ঠ, সাহসী সাংবাদিক ও কলামিস্ট ছিলেন। কিন্তু তারও আমাদের মতি-মাহফুজের মতো একটাই মনোরোগ ছিল। এদের হাসিনা-বিদ্বেষের মতো কুলদীপেরও ছিল প্রচণ্ড ইন্দিরা-বিদ্বেষ। সেই বিদ্বেষ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনাপর্ব থেকেই তিনি প্রথমে বঙ্গবন্ধুর সরকার ও পরবর্তীকালে হাসিনা সরকারের প্রচণ্ড সমালোচক হয়ে উঠেছিলেন এবং সেই সূত্রে পরে ঢাকার ‘আলো-স্টারের’ সঙ্গে তার মিতালি।
তার আগে তার মিতালি ছিল হলিডের প্রয়াত সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ খান মিন্টুর সঙ্গে। বাংলাদেশ সরকারকে সমালোচনা করার সময় তিনি সত্তরের দশকে তার লেখায় একমাত্র উদ্ধৃতি দিতেন এনায়েতুল্লাহ খানের লেখার। পরবর্তীকালে দেখেছি, তিনি আলো-স্টারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কুলদীপ নায়ারের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। দিল্লিতে অকংগ্রেসী সরকার (জনতা দল) যখন ক্ষমতায়, তখন তিনি লন্ডনে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন। তার সঙ্গে এক বৈঠকে আমার তুমুল তর্ক হয়েছে। আমি তাকে বলেছি, ‘নায়ার বাবু, আপনি এত বড় একজন সাহসী কলামিস্ট। আপনার মধ্যে এত বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু-বিদ্বেষ কেন?’ তিনি আমার কথার কোনো জবাব দেননি।
কুলদীপ বিজেপির সদ্য প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়িকে পছন্দ করতেন। বাজপেয়িও তাকে পছন্দ করতেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সম্পর্কটা তত মধুর নয়। গুজরাটের গোদরা হত্যাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার তিনি কড়া সমালোচক ছিলেন। ফলে মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার সঙ্গে সম্পর্কটা নায়ার ঝালাই করে উঠতে পারেননি। ঢাকার সুশীল সমাজ তার দ্বারা মোদি সরকারকে প্রভাবিত করার সুযোগ ততটা পাননি। আর কুলদীপ তো এখন প্রয়াত। দিল্লিতে কুলদীপের রিপ্লেসমেন্ট তারা খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু কুলদীপের মতো বিখ্যাত তিনি বা তারা নন এবং তার মতো প্রভাবশালীও নন। সুতরাং এখন যতই গুজব রটনা করা হোক, পরিণামে দিল্লিকে হাসিনাবিরোধী করে তোলা যাবে কিনা, তা সন্দেহের বিষয়।
ওয়াশিংটনে আমার যেসব মার্কিন সাংবাদিক বন্ধু আছেন তারা বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথায় আপাতত বাংলাদেশ নেই। বাইরে সিরিয়া, ইরাক, চীন; ভেতরে মার্কিন এস্টাবলিশমেন্টের এক শক্তিশালী অংশের সঙ্গে তিনি যুদ্ধরত। এটা বাঘকে খেতে হবে, নয় বাঘ তাকে খাবে। আমেরিকা এখন শাসন করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং হোয়াইট হাউসের আড়ালে এই অনির্বাচিত প্রশাসন- প্রেসিডেন্ট আইসেন হাওয়ার যাকে আখ্যা দিয়েছিলেন ইনভিজিবল গভর্নমেন্ট বা অদৃশ্য সরকার।
আমেরিকায় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর যিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, এই শক্তিশালী এস্টাবলিশমেন্ট তাকে ডানাকাটা পরী বানিয়েছে অর্থাৎ নিজেদের বশীভূত করে নিয়েছে। বারাক ওবামার মতো এক ইনটেলেকচুয়াল উদারনীতির অশ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্টও এই অজগরের গ্রাস থেকে রক্ষা পাননি। এ ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প হলিউডের ওয়েস্টার্ন ফিল্মের বন্য ঘোড়া। অভ্যন্তরীণ সংকটে জর্জরিত আমেরিকার বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের যুদ্ধবাদী- এস্টাবলিশমেন্টের জন্য ট্রাম্পের মতো একজন জিঙ্গোইস্ট বন্য ঘোড়া প্রয়োজন ছিল। এ জন্যই তার মতো অতি বিতর্কিত ব্যক্তিকে হোয়াইট হাউসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। এস্টাবলিশমেন্টের পছন্দের লোক না হলে নির্বাচনী প্রচারকালেই তার অবস্থা হতো রবার্ট কেনেডির মতো।
এস্টাবলিশমেন্টের দৃঢ়বিশ্বাস, ট্রাম্পকে তারা নিজেদের ছাঁচে গড়েপিটে নিতে পারবেন। যেমন ওয়েস্টার্ন ফিল্মে বন্য ঘোড়াগুলো হয়। ট্রাম্প এখনও পুরো বশ মানেননি। তিনি সময়মতো মানবেন। নইলে যৌন কেলেঙ্কারি, আর্থিক কেলেঙ্কারি বা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালে রাশিয়ান-কানেকশন কোনো একটা দায়ে ইমপিচমেন্ট তার কপালে নির্ধারিত হয়ে আছে। আর বশ মানলে কোনো অপরাধেই তাকে আটকানো যাবে না। তিনি জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসবেন। চাই কি, আমেরিকার আরেকবার প্রেসিডেন্ট হবেন। কেন জর্জ বুশ জুনিয়র হননি?
হিলারি ক্লিনটন মার্কিন এস্টাবলিশমেন্টের চোখে এই মুহূর্তের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি ব্যর্থ। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনে, বিশেষ করে স্টেট ডিপার্টমেন্টে তার অনুরাগী একটা শক্তিশালী অংশ আছে। ঢাকায় নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট এই হিলারি-সেকশনের অফিসার হিসেবে পরিচিত। তিনি স্বাভাবিকভাবেই হাসিনা সরকারের বিরোধী। ঢাকায় তার কার্যক্রম থেকে তা প্রকট হয়েছে। আমাদের সুশীল সমাজও তাতে উৎসাহিত হয়েছেন। তাকে ভর করে ওয়াশিংটনকে প্রভাবিত করতে চেয়েছেন। সে জন্যই এই সুশীল সমাজের পাতি অংশের নাতি-নেতারাও (যেমন সুজনের বদিউল আলম মজুমদার) আর কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত নয়, আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই সম্পর্ক পাতিয়েছেন এবং প্রায় মধ্যরাতে সুশীল সমাজের এক শীর্ষনেতা ও অনুরূপ ব্যক্তিদের দাওয়াত করে বার্নিকাটকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিলেন। এই আপ্যায়নের আড়ালে কী কথাবার্তা হয়েছে, তা আমাদের জানার উপায় নেই।
এত কিছুর পরও দিল্লিকে ভজানো না গেলে ওয়াশিংটনকে ভজানো সম্ভব হবে কি? ওয়াশিংটন কি দিল্লির ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে চাইবে? তাছাড়া বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতি ‘৭৫ সালের মতো নয়। তখন এশিয়ার রাজনীতিতে চীন ও আমেরিকা পরস্পরের প্রতিযোগী নয়, সহযোগী। ভারতের সঙ্গে আমেরিকা ও চীন দুইয়ের সম্পর্কটাই অনেকটা বৈরিতার।
বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। এশিয়ার রাজনীতিতে চীন এখন আমেরিকার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ভারত ও আমেরিকা পরস্পরের বন্ধু। এশিয়ার রাজনীতিতে এই ত্রিভুজ দ্বন্দ্বের মধ্যে হাসিনা সরকার তিনটি দেশের সঙ্গেই মৈত্রী ও সহযোগিতার একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এই সরকার অভ্যন্তরীণ অবস্থা সামাল দিতে পারলে, বাইরের শক্তি কেবল বিএনপির মতো দল বা ষড়যন্ত্রপ্রিয় একটি সুশীল সমাজকে খুশি করার জন্য বাংলাদেশে পানি ঘোলা করতে উৎসাহী হবে- আমার মতো তা অনেকেই মনে করেন না। এই সরকারের পেছনে জনসমর্থন আছে জানলে বিদেশি কোনো শক্তি তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেবে, তা ভাবা যায় না। অবশ্য যদি সেই বিদেশি শক্তির স্বার্থে প্রচণ্ড কোনো আঘাত না পড়ে। হাসিনা সরকারের এই মুহূর্তে দূরের এবং নিকটের কোনো শক্তির সঙ্গেই অসদ্ভাব নেই। এমনকি মিয়ানমারের সঙ্গেও নয়।
আওয়ামী লীগের একটাই বিপদ, দলটির ভেতরে হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের উপদ্রব। একশ্রেণির মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানদের দাপটে জনমনে অতিষ্ঠ ভাব। এ কথাও স্বীকার করব, সাম্প্রতিক নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন এবং কোটাপ্রথার আন্দোলনটিকেও সরকার সঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের অবস্থা এখন ‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল’।
এই অবস্থায় শেখ হাসিনাই এখন দেশের গণতান্ত্রিক শক্তির একমাত্র ভরসা। বাম গণতান্ত্রিক শক্তি একেই দুর্বল, তার ওপর তাদের মধ্যে অসংখ্য বিভক্তি। দেশে এককালে একটা স্লোগান ছিল- ‘যদি ভুল রাজনীতি করতে চান, তাহলে সিপিবিতে যোগ দিন’। এই স্লোগান এখন আরও সত্য। গোটা দেশে যখন সেক্যুলারিজ (এমনকি প্রতিবেশী ভারতেও) চরম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, তখন সিপিবি পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এককাতারে ফেলে কিছু মরা ঘোড়া সঙ্গে নিয়ে আলাদাভাবে রণক্ষেত্রে নামতে চায়। ভারতের কমিউনিস্টদের বর্তমান অবস্থা দেখে তাদের শিক্ষা হয়নি।
এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে সুদৃঢ় জনসমর্থনের ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে। সেক্যুলারিজমের পতাকা আরও শক্তভাবে তুলে ধরতে হবে; ছোট-বড় সব সেক্যুলার শক্তিকে সংঘবদ্ধ করতে হবে। দলের ভেতরের শত্রুকে (বহবসু রিঃযরহ) শক্ত হাতে দমাতে হবে। শেখ হাসিনা যথেষ্ট শক্ত, এটা আমি জানি। কিন্তু এই জঞ্জাল দল থেকে শক্ত হাতে সরাতে পারবেন কি? এটাই আমার ভয়। যদি সরাতে পারেন, তাহলে এই প্রবন্ধের শুরুতে নৈরাশ্যবাদীদের যে নৈরাশ্যের কথা বলেছি, তা ব্যর্থ হবে; যুক্তফ্রন্টের গ্যাঙ যতই গোঁফে তা দিক না কেন, আশাবাদীদের আশাই সফল হবে। আমিও এই আশাবাদীদের দলে।