প্রাণের ৭১

ধর্ষিতার বাবার সামনেই ধর্ষককে ফাঁসি দিল পাকিস্তান

পাকিস্তান করে দেখাল। আর ভারত?‌ দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের এত বছর পরেও ফাঁসির সাজা কার্যকর করা হল না। এথচ ভারতের থেকে সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান কিন্তু দেখিয়েদিল কীভাবে ধর্ষকদের নজিরবিহীন ফাঁসির সাজা দেওয়া যায়।
বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ধর্ষিতার বাবার সামনেই ধর্ষককে ফাঁসি কাঠে ঝোলাল পাকিস্তান। লাহোরের কোট লকপত জেলে ফাঁসি হল সাত বছরের জিনাব আনসারির ধর্ষক ইমরান আলির। জিনাবকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল ইমরান। জিনাবেব বাবা দাবি করেছিলেন তাঁর সামনে ফাঁসি দেওয়া হোক তাঁর মেয়ের ধর্ষককে। সে ইচ্ছে পূরণ করেছে পাক আদালত।
ইমরানকে ফাঁসি কাঠে ঝোলানোর আগেরদিন রাতে লাহোরের জল কর্তৃপক্ষ জিনাবের বাবার সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠক করেন। তারপরেই বুধবার ভোরে ম্যাজিস্ট্রেট আদিল সরওয়ার, জেনাবের বাবা মহম্মদ আমিনের উপস্থিতিতে ফাঁসি দেওয়া হয় ধর্ষক ইরানকে। জেলের মধ্যে ফাঁসি দেওয়ার সময় ইমরানের দাদা এবং তাঁর দুই বন্ধুকেও অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয়েছিল জেলের ভেতরে। সকলের উপস্থিতিতেই সাজা কার্যকর করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের অ্যান্টি টেরোরিস্ট কোর্ট ইমারানকে ২১ বার ফাঁসি এবং ২৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*