প্রবাসীর গলাকেটে হত্যা! বউ-শাশুড়ি গ্রেফতার
চট্টগ্রামের রাউজানে ফখরুল ইসলাম (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গলা কাটা অবস্থা তাকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হলে শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
ওমান প্রবাসী ওই ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তার সাবেক স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া (১৯) ও তার মা রাশেদা আকতার (৩৫)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, রাউজান পৌর এলাকার বাসিন্দা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে উম্মে হাবিবার তিন মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে তালাক দেয়ায় ক্ষুব্ধ সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়ি তাকে কৌশলে বাসায় ডেকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়। মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির দুই দিন পর তিনি মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, রাউজানের গহিরা এলাকায় চার তলার একটি ভবনের ৩য় তলায় মায়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন হাবিবা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ওই ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন দেখতে পায়।
এ সময় স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ফ্ল্যাটের কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে হাবিবার মায়ের হাত অগ্নিদগ্ধ হয়। কিন্তু আগুন নেভানোর সময়ও চিৎকার আসতে থাকে। পরে স্থানীয়রা ছাদে গিয়ে ফখরুলকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনার পরপর পুলিশ হাবিবা ও তাঁর মাকে আটক করে।
হাবিবা ও তাঁর মায়ের ভাষ্য, নিহত ফখরুল তাদের বাসায় আগুন দিয়েছিল। পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে ফখরুলের ভাই নুরুল ইসলাম থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেছেন।
মামলার বাদি, নুরুল ইসলাম জানান, ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পরও ফখরুলের পাসপোর্টটি হাবিবা আটকে রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে হাবিবা ও তাঁর মা তাঁদের বাসায় ডেকে নিয়ে যান। পরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাঁর গলা কাটে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়াত উল্লাহ বলেন, গলা কাটা অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফখরুল মারা গেছেন। গ্রেফতার হাবিবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় তাঁর মাকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।