ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মালিকানাধীন গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মালিকানাধীন গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অ্যান্টিবায়োটিক তৈরির কার্যক্রম বন্ধ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সাভারের মির্জানগরে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসে সন্ধ্যা থেকে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে ‘গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’ এবং ‘গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিকেলস লিমিটেডে’র কারখানায় একযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব।
র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসে অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল জব্দ ও এন্টিবায়োটিক বিভাগ সিলগালা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করে।
র্যাবের অভিযানে সহযোগিতা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন শাখাটি আলাদা নয় এবং সেখানকার তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এছাড়া কাঁচামালের গুদামের দেওয়াল থেকে চুন খসে পড়ছিল, কোনো কোনো কেমিক্যালসের বোতলে মেয়াদ লেখা নেই, রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের কোনো রেজিস্টার নেই, মেয়াদ উত্তীর্ণ রাসায়নিক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরির নমুনা পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামে গত ১৫ অক্টোবর, সোমবার মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি এবং ১৯ অক্টোবর, শুক্রবার ইমাম হাসান নামের আরেক ব্যক্তি আশুলিয়া থানায় জমি দখল ও চাঁদাবাজির দুটি মামলা করেছিলেন।
২১ অক্টোবর, রবিবার সন্ধ্যায় সৈয়দ সেলিম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি একই অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি করেন।