যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা।
গাজীপুরে আবদুল মোতালিব (২৭) নামে স্থানীয় এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
নিহত মোতালিব ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগ একাংশের সভাপতি ও গাজীপুর মহানগরীর ছোট দেওড়া এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় মোতালিবের বাবা মোফাজ্জল হোসেন ওরফে মোফাও আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই এলাকার মুজিবুর রহমান মেম্বারের একটি পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোতালের পার্শ্ববর্তী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় বাবা মোফাজ্জল হোসেন তোফার কাছে বিচার চাইলে ক্ষিপ্ত হয় মোতালিব। পরে আবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা মোতালিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
খবর পেয়ে বাবা মোফাজ্জল হোসেন ও মা মমতাজ বেগম এগিয়ে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় মোফাজ্জল হোসেনও আহত হন। পরে আহত মোফাজ্জলকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, মোতালিব এলাকায় একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনার একদিন আগেও মোতালিবের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অপর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী রিপন লস্করের বাড়িতে হামলা চালায়। এ হামলায় আহত রিপন লস্করের মা শাবানা ও ভাগিনা শাহীন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন সদর থানায় মামলায় মোতালিব প্রধান আসামি।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর জানান, নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মোতালিবকে কি কারণে ও কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিহত মোতালিবের বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি, মাদকসহ থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।