প্রাণের ৭১

এবার #মিটু আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশে তোলপাড় (ভিডিও)

বিশ্বজুড়ে চলছে #মিটু ঝড়। হলিউড বলিউডের নামীদামি পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতার বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।

এবার সেই #মিটু ঝড়ের কবলে পড়ল বাংলাদেশ। যৌন হেনস্তার শিকার নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আখতার প্রিয়তি নামের এক বাংলাদেশি ।

গত ২৯ অক্টোবর রাত ১১টা ২৪ মিনিটে তিনি তার ফেসবুক টাইমলাইনে এ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের মে মাসে একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনে কাজ করে পারিশ্রমিক আনতে গিয়ে তিনি সে পণ্যের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান দ্বারা যৌন হেনস্তার শিকার হন।

স্ট্যাটাসের শেষ দিকে এই অভিযুক্ত ব্যাবসায়ীর নাম – রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক উল্লেখ করেন।

সৈয়দা জারমিন জামান লোপা নামের একজনকে উদ্দেশ করে প্রিয়তি আরও লিখেন, সেই দিন ওই চেয়ারম্যান একাকি আলাপ করবেন বলে লোপাকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়।

এরপর তিনি রুম থেকে বেরিয়ে এসে লোপার কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ও এ ঘটনার শাস্তি দাবি করেন।

পুরোঘটনাটি লজ্জায় লিখতে পারছেন না জানিয়ে প্রিয়তি ওই ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তার স্ট্যাটাসে সংযুক্ত করে দেয়।

সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আখতার প্রিয়তি এই মুহূর্তে আয়ারল্যান্ডে রয়েছেন।

প্রিয়তির ফেসবুক পোস্ট

প্রিয়তির ওই স্ট্যাটাসের পর সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। পুরো বিষয়টি জানতে তাকে কমেন্ট করেন অনেকেই। বাংলাদেশ সময় রাত ৭টায় প্রিয়তি ফেসবুক লাইভে এসে এ বিষয়ে যা বলেন:

তার এই স্ট্যাটাসের পর মঙ্গলবার ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যম তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তাদেরকে খুব আতঙ্কে আছেন বলে জানান।

কেননা সে সময় মুখ খুললে তাকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন প্রিয়তি।

সংবাদকর্মীর কাছে প্রিয়তি অভিযোগ করেন, ‘রফিকুল ইসলাম নামে ওই ব্যবসায়ী ফোনে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, আয়ারল্যান্ড বেশি দূরে নয়, আমার জন্য দু’সেকেন্ডের ব্যাপার।
#মিটু ক্যাম্পেইন নিয়ে ভারতের উদাহরণ দিয়ে প্রিয়তি লিখেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সে দেশের নারীদের পাশে থাকলে অপরাধী যত ক্ষমতাশালী হোক যৌন হেনস্তার ব্যাপারে নারীরা মুখ খুলবে।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1932293560184140&id=100002105454071






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*