উখিয়ায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া
গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছাড়া উখিয়ায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তবে, সংসদ নির্বাচনের পূর্বে এমন ঘটনাকে ভালো চোখে দেখছেন না সুশীল সমাজের লোকেরা। তাদের দাবি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এ ধরনের পরিবেশ সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উখিয়ার আনাচে-কানাচে একটি সুবাতাস বয়ে যাচ্ছিল। হাটবাজারে, চায়ের দোকানে ছিল জমজমাট নির্বাচনী আড্ডা। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল সাধারণ মানুষের মাঝে। হঠাৎ গত বুধবার দিবাগত রাতে উখিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত নাশকতা মামলার পর থেকে সেই পরিবেশ এখন আর দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে মামলায় ৪০ জন অজ্ঞাত আসামি থাকার কারণে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীর মাঝে অজানা গ্রেপ্তার আতঙ্ক দেখা দেয়ায় এলাকা ছেড়েছে অনেকে।
সুশীল সমাজের লোকজন জানান, বর্তমান সরকার দেশের তৃণমূলপর্যায় থেকে শুরু করে প্রতিটি শহরে-বন্দরে যে উন্নয়ন করেছে তা আগামী নির্বাচনে কথা বলবে। সরকারের এমন উন্নয়ন কর্মকা- অব্যাহত রাখতে আবারো ক্ষমতা চায় তারা।
তবে, কিছু কিছু কারণ সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা জাতীয় নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে এ ধরনের মামলা শুভ লক্ষণ নয় বলেও মন্তব্য করেছেন।
উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খাইরুজ্জামান জানান, বিএনপি-জামায়াতের এসব নেতাকর্মী জড়ো হয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে হিজলিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সড়কে নাশকতার চেষ্টা করতে চাইলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দ্রুত এসব নেতাকর্মী পালিয়ে যায়। তখন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি ককটেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। পরে থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। যার নং-২৬, তাং-৩১/১০/২০১৮ইং।
এদিকে, মামলার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী জানান, কোনো ঘটনা ছাড়াই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এ ধরনের গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ মিথ্যা মামলা প্রমাণ করে এই সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তিনি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।