কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার শুরু
২রা নভেম্বর থেকে কলকাতায় রবীন্দ্র সদনের বিপরীতে মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ৯ দিনব্যাপী বাংলাদেশ বইমেলা। শুক্রবার বিকেলে মেলার উদ্বোধন করে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ছাপানো বইয়ের চাহিদা থাকবেই। প্রযুক্তির আক্রমণ সত্ত্বেও বইয়ের কদর রয়েছে এবং থাকবে। প্রযুক্তি কোনওভাবেই ছাপানো বইকে বিতাড়িত করতে পারবে না। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধ্যাপক রতন সিদ্দিকি বলেছেন, এই ধরণের বইমেলার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক মানস ঐক্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্বাগত ভাষণ দিতে গিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) সাইফুল ইসলাম এই বইমেলার ইতিহাস তুলে ধরেন। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার প্রতিবছর মোহরকুঞ্জেই এই নির্দিষ্ট দিনে যাতে বাংলাদেশ বইমেলা করা যায় সেজন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ আন্তর্জাতিক স্তরে এই বইমেলাটি যাতে বইমেলা সংক্রান্ত কেলেন্ডারে স্থান পেতে পারে সেজন্য কলকাতা পুরসভার সহযোগিতা চেয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক শামসুজ্জামান খান, কলকাতা পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতার বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। প্রথম দিনেই প্রচুর বইপিপাসু মানুষের সমাগম হয়েছিল মেলা প্রাঙ্গণে। এই বইমেলা এবার ৮ বছরে পা দিল। বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রায় আড়াই লাখ বই নিয়ে এই বইমেলার আয়োজন। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি ও বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে এই বইমেলার আয়োজন করেছে। উপহাইকমিশন সুত্রে বলা হয়েছে, মোট ৬১টি স্টলে বাংলাদেশের ৬৯টি প্রকাশনা সংস্থা যোগ দিয়েছে। বইমেলায় প্রতিদিন রয়েছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমাতুজ জোহরা, লিলি ইসলাম, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ, মুনতাসীর মামুন, সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম, আমীরুল ইসলাম, কবি কামাল চৌধুরি, আসলাম সানি, তুষার আবদুল্লাহ প্রমুখ বিশিষ্টজন ও শিল্পীরা।