প্রাণের ৭১

৩০ পরিবারের ১৫০ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বৃহস্পতিবার, প্রস্তুতি সম্পন্ন

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে।

প্রথম দিন ৩০ রোহিঙ্গা পরিবারকে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশে ও মিয়ানমারে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই ৩০ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৫০ জন।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের এ কথা জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম।

তবে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর এর রিপোর্ট পেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আবুল কালাম বলেন, প্রথমে টেকনাফের কেরুনতলী ঘাট দিয়ে নাফ নদী পার হয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল। পরবর্তীতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পয়েন্টে স্থলপথ দিয়েই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের জানিয়েছে, তারা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এমনকি প্রত্যাবাসনের সময় সে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে পারেন।’

আনুষ্ঠানিকতা কি হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটিই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এদিক থেকে পাঠাবো, তারা ওদিক থেকে গ্রহণ করবে। এছাড়া ভেরিফিকেশনের কিছু বিষয় আছে। চিরাচরিত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম করা হবে।’

ইউএনএইচসিআর এর সম্মতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এখনো কিছু জানায়নি। আমরা সেই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’

প্রথম দফায় উখিয়ার জামতলী ও টেকনাফের উনচিপ্রাং শরণার্থী শিবির থেকে ৪৮৫ পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের কথা রয়েছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*