রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো উচিৎ নয়
মিয়ানমারে ১৪ মাসে ৬৬৯ শিশুকে হত্যা, ৩৯ জন লাঞ্ছিত: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ বলেছে, গত ১৪ মাসে মিয়ানমারে ৬৬৯ জন শিশুকে হত্যা এবং ৩৯ জনকে নির্যাতন করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা।
শিশু ও সশস্ত্র সংঘাতের ওপর জাতিসংঘ মহাসচিবের নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে আসা এ তথ্যের কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিচ।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শুক্রবার প্রকাশিত গত ১৪ মাস সময় ধরে করা ওই প্রতিবেদনটি সম্পর্কে ব্রিফ করেন তিনি।
প্রতিবেদন উঠে আসে, গত বছরে আগস্টে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে সংকটের শুরুর পর থেকেই মিয়ানমারের পুরুল ও নারীদের ওপর মারাত্মক নৃশংসতা চালানো হয়।
স্টিফেন ডুজারিচ জানান, নতুন প্রতিবেদনে প্রাপ্ত ফলাফলগুলোর সঙ্গে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোর তথ্যপ্রমাণের মিল রয়েছে। সব প্রতিবেদনই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের কথা নিশ্চিত করেছে। গত বছর মহাসচিবের বার্ষিক প্রতিবেদনেও অনুরূপ তথ্য উঠে আসে।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন বলেন, তারা যথাসম্ভব রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশিরা ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানিয়েছে, যা সত্যিই অত্যন্ত উদার মানবিকতার উদাহরণ।’
‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ফলে বাংলাদেশিরা উন্নয়নের পথে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের শরণার্থীদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো উচিৎ নয়। রোহিঙ্গাদের শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফেরত যাওয়া উচিৎ।’