ট্রাম্পের অভিবাসী বিরোধী আইন আটকে দিল আদালত
মধ্য আমেরিকা থেকে আসা অবৈধভাবে প্রবেশকারী অভিবাসীদের আশ্রয় না দিতে ট্রাম্প যে আদেশ দিয়েছেন সেটি স্থগিত করে দিয়েছে সানফ্রান্সিকোর আদালত। নাগরিক অধিকার আদায়ের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে সোমবার সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারপতি জন টিগার এ আদেশ দেন। খবর বিসিসির।
চলতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে প্রবেশকারী অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদানকে নিষিদ্ধ করে নতুন আদেশে স্বাক্ষর করেন। নতুন নিয়মের আওতায়, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে যারা প্রেসিডেন্টের বিধি লঙ্ঘন করবে তাদেরকে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মার্কিন প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয় স্বার্থে’ অভিবাসন ঠেকানোর এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র দফতর ৮ নভেম্বর অবৈধভাবে প্রবেশকৃত অভিবাসীদের আশ্রয়প্রদান নিষিদ্ধ করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয় । এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর মনে হলে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের আওতায় ‘সকল ভীনদেশী নাগরিকের প্রবেশ বন্ধ’ করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের রয়েছে।
ক্ষমতাবলে মেক্সিকান সীমান্ত হয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট যদি নিষেধাজ্ঞা দেন, তাহলে সে পথ দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের অভিবাসনের জন্য আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে না।
আদেশ জারির পরপরই এ নিয়মের বিরোধিতা করে নাগরিক অধিকার আদায়ের সংগঠনগুলো। একে ‘অবৈধ’ পদক্ষেপ উল্লেখ করে সান ফ্রান্সিসকোর আদালতের শরণাপন্ন হয় তারা। সংগঠনগুলোর দাবি, প্রবেশ যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী যে কেউ অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারে। সোমবার আদালতের স্থগিতাদেশের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক জয় পেলো তারা।