যেসব কারনে তারেককে কোন অবস্থাতে চায় না আর্ন্তজাতিক বিশ্ব।

নিউজ ডেস্ক: গুঞ্জন উঠেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক চেষ্টা-তদবির করেও আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি পেতে ব্যর্থ হয়েছেন লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান। তারেক রহমানের অযাচিত ও অগ্রহণযোগ্য আচরণে ঐক্যফ্রন্টের প্রতি সহানুভূতিশীল রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলো মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সূত্রের খবরে জানা গেছে, একাধিক কারণে তারেক রহমানের উপর নাখোশ আন্তর্জাতিক মহল। যেসব কারণে তারেকের উপর বিরক্ত আন্তর্জাতিক বিশ্ব…
ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির সমর্থক বিদেশী রাষ্ট্রগুলো মনে করে, তারেকের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’য়ের যোগাযোগ রয়েছে। আইএসআইয়ের কাছ থেকে নিয়মিত আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন তারেক। তার কিছু দালিলিক প্রমাণ এরই মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের এই দুই নেতার কাছে হস্তান্তর করেছে কয়েকটি রাষ্ট্র।
তারেক রহমান উলফাসহ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীদের আর্থিক এবং নানা ধরনের সহযোগিতা করে। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘটনগুলোর সঙ্গে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারেকের সঙ্গে ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠী সম্পর্কের পক্ষে ভারত কিছু তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছে ঐক্যফ্রন্টের হাতে।
আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে তারেক রহমানের যোগাযোগের গুঞ্জন রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি রাষ্ট্র মনে করে, তারেক রহমান ক্ষমতায় আসলে মুসলিম বিরোধী রাষ্ট্র ইসরাইলকে গোপনে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনীতিতে মাথা ঘামানোর সুযোগ সৃষ্টি করে দিবে। এতে করে ইসরাইল বাংলাদেশের সাহায্য নিয়ে মুসলিম দেশগুলোকে মোটিভোট করে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করবে। এছাড়া ইসরাইল গোপনে বাংলাদেশে ঘাঁটি স্থাপন করে বাংলাদেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের যাচ্ছেতাই ব্যবহার করবে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে ইসরাইলের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে তারেক রহমানসহ বিএনপির কয়েকজন নেতা লাভবান হবে এবং পুরো বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তারেক রহমান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক ভারতের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটা এবং জাপানী মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী কোম্পানি হোন্ডা সহ বেশ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির কাছে চাঁদা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সীমানা এবং রুট ব্যবহার করে অনেক অস্ত্রের চালান ভারতের সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছায়। যার মধ্যে (যেটাকে আমরা ১০ ট্রাক অস্ত্র বলে জানি ) একটা চালান চট্টগ্রামে ধরা পড়েছিল। এই অস্ত্রগুলোর চালানে তারেক রহমান মূল ভূমিকা পালন করতো বলে ভারত অভিযোগ করেছে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত মনে করে বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে তারেক রহমান বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে বিদ্যমান সম্পর্ক, চুক্তি, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে নেতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ফলশ্রুতিতে ভারত আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া ইউরোপের কয়েকটি রাষ্ট্র মনে করে, তারেক রহমান ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশে নতুন করে বিনিয়োগ সংক্রান্ত চাঁদাবাজির সংস্কৃতি ফিরে আসবে। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপে ১৫ শতাংশ করে পারসেনটেন্স জোরপূর্বক আদায় করবেন তারেক। এত ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হয়রানি করবেন তারেক। সুতরাং ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে চাঁদার সংস্কৃতিতে ফিরিয়ে আনার বিপক্ষে।
বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে হলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের স্বপক্ষের শক্তিদের বিজয়ী করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সাধারণ মানুষের ভোটের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে, তাই দেশ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে এখনই জনগণকে সজাগ হতে হবে বলেও রাজনীতি সচেতন নাগরিকরা বিশ্বাস করেন।