ফেনী-১,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির জয়ে ষোলকলা পূর্ণ।।
একদা মহকুমা ফেনী’, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর স্নেহাস্পদ জননেতা মরহুম ‘খাজা আহম্মদ’ সাহেবের পরিপক্ক নেতৃত্বে একঝাঁক নিবেদিত নেতার সার্বক্ষনিক নিবিড় পরিচর্যায় আওয়ামী লীগের ঘাঁটি’ খ্যাত হয়ে উঠেছিল। ‘ঢাকা–চট্রগ্রামে’র মধ্যবর্তি স্থানে ফেনী মহকুমা’ শহরটির অবস্থান। সঙ্গত কারনে ফেনীর রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিল, অন্য যেকোন মফস্বল শহরের তুলনায় আলাদা এবং সর্বাধিক। দেশের অন্য যেকোন অঞ্চলের চাইতে স্বাধীনতা পুর্ব অগ্নিদিনের জাতীয় রাজনীতির ধমকা হাওয়া সর্বপ্রথম ফেনী অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বানিজ্যিক নগরী পুর্ববঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্রগ্রামে’র উপর আঁছড়ে পড়তো।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য সঙ্গতকারন ছিল ফেনী মহকুমার তিনদিকে ভারত সীমান্ত পরিবেষ্টিত এবং দক্ষিনে বঙ্গোবসাগরের উপস্থিতি অত্রাঞ্চলকে রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিতে সূদুরপ্রাসারী চিন্তাচেতনার অধিকারী, বিচক্ষন নেতা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন স্বাধীন সার্বভৌম ভুখন্ডের বিবেচনায় সামান্যতম ভুল করেননি। তিনি নিজহাতে অত্রাঞ্চলে গড়ে তুলেছিলেন একঝাঁক স্বাধীনতাকামী মুজিবাদর্শের প্রতি নিবেদিত দেশপ্রমিক রাজনীতিবীদ। তাঁদের সার্বক্ষনিক নিবিড় পরিচর্যায় অত্রাঞ্চলব্যাপী গড়ে উঠেছিল আওয়ামীলীগের হাজার হাজার আদর্শিক নেতাকর্মীর পদভারে ন্যুজ স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বেলীত জনপথ।’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বমহলে’র নিকট নিরাপদ অথছ দুর্ভেদ্য অঞ্চলে পরিগনিত হয়েছিল অত্রাঞ্চল।
অত্রাঞ্চলের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিরা সীমান্তবর্তি অঞ্চল ঘিরে ভারতের অভ্যন্তরে গড়ে তুলেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ বিচরণক্ষেত্র সমূহ। এখানেই সংগঠিত হয়েছিল বাঙ্গালী জাতীর গৌরবের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসখ্যাত গুরুত্বপূর্ণ দুটি সম্মুখ যুদ্ধ। তাঁর মধ্যে অন্যতম একটি ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনাকর্মকর্তা কর্ণেল জাফর ইমাম (বীরবিক্রম)সাহেবের নেতৃত্বে–চিথলিয়া যুদ্ধ নামে খ্যাত। অন্যটি ফেনী সীমান্তবর্তি অঞ্চল বেতিয়ারা নামক স্থানে–“ন্যাপ, কমিউনিষ্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের ১১ জন নবীন মুক্তিযোদ্ধার পাকবাহিনীর সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর সাথে অসমযুদ্ধে একপ্রকার স্বেচ্ছায় আত্মাহুতি স্থান খ্যাত “বেতিয়ারার সম্মুখ যুদ্ধ”।
অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়–সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর জীবতবস্থায় ‘৭৩ এর সাধারন নির্বাচনে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কতিপয় সুযোগ সন্ধানী অনাদর্শিক নেতার অনুপ্রবেশের চরম মুল্য দিয়ে আসছে বিগত প্রায় ৪০বছর যাবৎ। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর অতিপ্রিয়, মুক্তিযুদ্ধের সর্ববৃহৎ ঘাঁটি অত্রাঞ্চলের সর্বস্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি তাঁর অবর্তমানে নিপতীত হয়েছে দুঃখ্যের সাগরে। উল্লেখিত সময়ে অনাদর্শিক নেতাদের পদচারণায় আওয়ামী রাজনীতিতে নেমে এসেছিল অনাক্ষাংকীত চরম অভিশাপ ‘দলীয় বিভক্তি’।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি ৭৩ এর প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনীতি’র ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ইং সালের সাধারন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দূর্ভেদ্য নিত্য অহমিকার অত্রাঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি’র ঘরে বিদ্রোহী প্রার্থি হানা দেয়। আওয়ামীলীগের সর্বস্ব ত্যাগী প্রার্থিকে মাত্র ৮হাজার ভোটে পরাজিত করে প্রেতাত্বাদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল জাফর ইমাম (বীর বিক্রম) সাহেবের উত্থান ঘটে এই আসনটিতে। উল্লেখ্য আওয়ামীলীগের বিভাজিত তৎসময়ের বিদ্রোহী প্রার্থি ১৪ হাজারের বেশী ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছিল।
সেই যে শুরু–দীর্ঘ ৪০বছর আওয়ামীলীগ সহ সর্বস্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির উপর অত্রাসনব্যাপী নেমে আসে সাক্ষাৎ দোযগের কালছায়া। চারিদিকে ঘন অন্ধকারে একের পর এক নেমে আসতে থাকে নিয্যাতন, নিস্পেষন, অত্যাচারের নতুন নতুন নেতৃত্ব আর কলা কৌশল। বিগত ৪০ বছরে দেশবিরুধী অশুভশক্তির প্রেতাত্বাদের কোপানলে পড়ে কতশত অগনিত, অসংখ্য নেতাকর্মী’র শ্রম, ঘাম, ত্যাগ মিশে আছে অত্রাঞ্চলের পথে প্রান্তরে–“জানতে পারে কেবলমাত্র অন্তযামি”।
বিশেষ করে–সর্ব উত্তরের বিলোনিয়া ভারতীয় সীমান্ত হতে শুরু করে সর্ব দক্ষিনে গোপাল ইউনিয়নের শেষপ্রান্ত ‘ঢাকা-চট্রগ্রামের মহাসড়ক’ অবদি বিস্তিন্ন এলাকাজুড়ে কতশত আওয়ামী নেতাকর্মীর অকাল প্রয়ান ঘটেছে সাধারনে বলার উপায় নেই।এই হিসেব কেবলমাত্র বলতে পারে ভাসমান লাশের সাক্ষি শুভপুর ব্রিজের ধূঁ ধুঁ বালুচর, আর মহুরী নদীর খরস্রোতে ভাসমান লাশের সারী বয়ে নেয়া বঙ্গবসাগরে নিপতিত জলরাশি। কত হাজার হাজার নিবেদিত নেতাকর্মী সহায় সম্পদ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছে–কে রেখেছে, কখন তাঁর হিসেব। কত শত শত, হাজার হাজার সংখ্যালুঘু হিন্দু পরিবার সহায় সম্পদ তুচ্ছ করে–মা, বোনের ইজ্জত বাঁচাতে এক কাপড়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছে,বলতে পারে কেবলমাত্র ‘বাংলাদেশ-ভারত’ সীমান্তপিলার। মুক্তিযুদ্ধের চারণভূমি অত্রাঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির চোখের জলে সৃষ্ট সেই দুঃখ্যের মহাসাগর পাড়ি দেয়ার মহেন্দ্রক্ষন ৪০ বছর অপেক্ষার প্রহরশেষে হাতের নাগালে ধরা দিয়েছে।
আমাদের মহান নবী ৪০বছরের পরিপক্ক বয়সে নবুয়ৎ পেয়েছিলেন-যখন আরব সমাজ কাল অন্ধকারে সর্বাংশে নিমজ্জিত হয়েছিল ঠিক তখন। মহান রাব্বুল আলামীন হয়তো ৪০ বছর পর অত্রাঞ্চলের মুক্তিকামী মানুষের প্রতি তাঁর চোখ তুলে তাকিয়েছেন। তিনি স্বহস্তে ফেনী ১নং আসনের গৌরব ফিরিয়ে আনার সুবর্ণ সুযোগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সামনে হাজির করেছেন।
৪০ বছর যাবৎ নির্বাচনী অভিজ্ঞতার আলোকে আওয়ামীলীগ আসন’টি পুণঃ উদ্ধারের দুটি বৃহৎ এবং অমিমাংসীত ইস্যু আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থিদের সর্বদাই পিছনের দিকে টেনে ধরেছে। স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের গুনাক্ষরেও অনুচ্ছারীত উক্ত দু’টি ইস্যু অপ্রত্যাশিতভাবে এবারের প্রার্থি মনোনয়নে মিমাংসার কুল পেয়েছে বলা যায়।
প্রথমতঃ-আওয়ামীলীগের পক্ষে মহিলা ভোটের নগন্যতা’র সমস্যার সমাধান,
দ্বিতীয়তঃ–ছাগলনাইয়া উপজেলাঞ্চলে আওয়ামীলীগ প্রার্থিদের ভোট প্রাপ্তি’তে স্বল্পতা হেতু’র মূলৎপাটন।
উল্লেখিত দু’টি ইস্যু অংশগ্রহনকারী প্রার্থি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বলতে গেলে অপ্রত্যাশীত ভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির পক্ষে মহান আল্লাহ স্বহস্তে মিমাংসা করে দিয়েছেন। কথাটি এ কারনেই বলছি–‘ফেনী জেলার সর্বজন স্বিকৃত আওয়ামী রাজনীতি’র অভিভাবক, ফেনী জেলার উন্নয়নের অন্যতম কান্ডারী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা’ পরিবারের একান্ত ঘনিষ্টজন জনাব “আলা উদ্দিন চৌধুরী নাসিম” সাহেব অপ্রত্যাশিতভাবে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর এই আচমকা আগ্রহের প্রতি আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ, প্রচ্ছন্ন সমর্থন এবং প্রশ্নাতীত আনুগত্য বিদ্যমান ছিল–নিঃসন্দেহে বলতে পারি।
আমি বিশ্বাস করি–জনাব নাসিম সাহেবের আওয়ামী পরিবারে’র এই অন্ধ সমর্থন ছিল সম্পূর্ণ এককেন্দ্রিক এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। ইহা কেবলমাত্র একান্তই আওয়ামী পরিবারে’র আবেগ প্রসুত এবং তাঁর একাগ্রচিত্তে দলের পরিচয্যায় গড়ে উঠা নতুন প্রজম্মের একান্ত আদর্শিক অনুপ্রেরণা, আনুগত্য প্রসূত। অস্বিকারের উপায় নেই–এর পেছনে পুর্বের উল্লেখিত দুটি প্রধান ইস্যু’র মধ্যে একটিও তাঁর নির্বাচনে জেতার ক্ষেত্রে কায্যকর বা মিমাংসীত ছিলনা। বলা যায়, অত্রাঞ্চলের নেতাকর্মিগনের ভোটের আবহাওয়া বিবেচনায় আপ্লোত আবেগ নিগূড় বাস্তবতাকে ক্ষনিকের জন্যে হার মানিয়েছিল।জনাব নাসিম সাহেবের প্রশ্নাতীত ব্যাক্তিগত গ্রহনযোগ্যতার বিবেচনায় ফেনী জেলার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দও হয়তোবা গভীরভাবে চিন্তা করার ফুসরৎ পাননি।
ইহা একান্ত সত্য–জনাব নাসিম সাহেব নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষে বাঁধভাঙ্গা জোয়ার সৃষ্টি করতে পারতেন। নির্বাচিত হওয়ার জন্যে যাহা একান্ত প্রয়োজন–আপামর জনগনের ভোট তিনি টানতে পারতেন কিনা যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। ইহার একমাত্র কারন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল অত্রাঞ্চল হতে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নয়তো বিরোধীদলীয় নেত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
দৃশ্যত অত্রাঞ্চলব্যাপী কোনপ্রকার উন্নয়ন, অগ্রগতি ব্যাতিরেকে শুধুমাত্র মহিলাদের মধ্যে বছরের পর বছর সরকারী কোষাগারে রক্ষিত ত্রানের শাড়ী বিতরণ কর্মসূচি প্রতিপালন নিরবিচ্ছিন্ন রেখে সংখ্যাগরিষ্ট প্রান্তিক ‘মহিলাদের ভোট ব্যাংক তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দীর্ঘ সময় আওয়ামীলীগ বিরুধীদলে অবস্থান করে সর্বতো এবং সর্বসময় সাংগঠনিক শক্তি বহাল রেখে পুরুষ ভোটে সমানতালে পাল্লা দিতে পেরেছে সত্য, মহিলা ভোট ব্যাংকে কখনই ভাগ বসাতে পারেনি।
দ্বিতীয়তঃ–স্বাধীনতার পরবর্তি সময় হতে ২০০৮ইং সালের পুর্ব পয্যন্ত ছাগলনাইয়া উপজেলা অঞ্চলে আওয়ামীলীগের প্রার্থি মনোনয়ন কখনই কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের বিবেচনায় আসেনি।ফলে তুলনামূলক শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রসর সচেতন এলাকাটিতে পয্যায়ক্রমে আওয়ামীলীগের ভোটব্যাংকে ধ্বস নেমে এসেছে। ফুলগাজী এবং পরশুরাম উপজেলা অঞ্চলের আওয়ামীলীগ মনোনিত হেভিওয়েট প্রার্থি হওয়া সত্বেও ছাগলনাইয়া উপজেলাঞ্চলে অপামর জনগনের ভোটে কায্যতঃ তাঁরা কখনই তেমন প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হননি।
উল্লেখিত দুটি ইস্যু পূর্বের ন্যায় আওয়ামীলীগ ঘরানার সর্বজনস্বিকৃত অভিভাবক জনাব আলা উদ্দিন চৌধুরী নাসিম সাহেবের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারনে দ্বিগুনশক্তিতে কায্যকর ভুমিকা পালন করতো, আমি মনে করি। আওয়ামী ঘরানার অবিসংবর্ধিত নেতা হওয়া সত্বেও তিনি শেষ বিকেলে অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের স্বাদ গ্রহন করতে বাধ্য হতেন।
আওয়ামীলীগ সভানেত্রী, জোটনেত্রী শেখ হাসিনা বলা যায়–অনেকটা দৈববলে আদৃষ্ট হয়ে ১৪ দলীয় শরিকদল জাসদের সাধারন সম্পাদিকা, জাতীয় ও আন্তজাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত, বর্তমান সময় অত্রালাকার প্রতিনিধিত্বকারী শিরীন আকতার’কে নৌকার কান্ডারী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। শিরীন আকতারের মনোনয়ন প্রাপ্তিতে উপরে উল্লেখিত দুটি অনুল্লেখিত সুস্পষ্ট বাস্তব ইস্যু’র অনায়াসে অপমৃত্যু ঘটেছে বলা যায়।
আমরা সকলেই জানি ১৪দলীয় শরিকদল জাসদ (ইনু) অংশের সাংগঠনিক কাঠামো ইতিমধ্যে অত্রাঞ্চলের নৌকা’র কান্ডারী জনাবা ‘শিরীন আকতার’ এমপি’র পদচারণার সুবাধে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং প্রায় ওয়ার্ড পয্যায় বিস্তৃতি ঘটেছে। তারপরও নির্দিদ্বায় বলতে পারি–তাঁর এবং তাঁর দলের জনসম্পৃত্ততা অত্রাঞ্চলে কোনক্রমেই তিনি ঘটাতে পারেননি।
তবে, উল্লেখিত প্রথম ইস্যু মহিলা ভোটের স্বল্পতা যথেষ্ট কমিয়ে আনতে পেরেছেন নিশ্চিন্তে বলা যায়। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলা, উপজেলায় জনাবা শিরীন আকতার পরিচালিত এনজিও সংগঠন “কর্মজীবি নারী” এনজিও সংস্থার কর্মকান্ড বিস্তৃত রয়েছে। তম্মধ্যে ফেনী জেলায় তাঁর নির্বাচনী আসনের তিন উপজেলায় প্রতি গ্রামে “কর্মজীবি নারী” এনজিও সংস্থার কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে।
এক্ষেত্রে জেলাভিত্তিক কতিপয় বেতনধায্য উচ্চশিক্ষিত নিবেদিত ‘কর্মজীবি নারী কর্মকর্তার সার্বক্ষনিক পরিচয্যায় অত্রাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি গ্রামে “প্রান্তিক মহিলা, স্বামী পরিত্যাক্তা, বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত খেটে খাওয়া নারীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ২৫/৩০ জন নারীর এক একটি গ্রুপ। নারীদের এই মিলনক্ষেত্রকে এককথায়–নিপিড়ীত, নিয্যাতীত গ্রামীন মহিলাদের শক্তিশালী সমবায় সমিতি বলা যেতে পারে। যারা সর্বক্ষন একে অপরের পরিপূরক হয়ে দীর্ঘদিন একসাথে বিচরণ করছে।
লক্ষ করলে দেখা যায়–“এই মহিলারাই গ্রামীন সমাজে সংখ্যাগরিষ্ট প্রান্তিক মহিলা ভোটারদের কোন না কোনভাবে প্রতিনীধিত্ব করেন বা করছেন। যারা এতকাল খালেদা জিয়ার শাড়ীতে মুগ্ধ হয়ে, চোখবন্ধ করে ধানের শীষে সীল দিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। সর্বতোভাবে এবারের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থি জনাবা শিরীন আকতারে’র নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে উক্ত ‘কর্মজীবি মহিলা সংগঠনের সুশিক্ষিত বেতনভুক্ত মহিলা কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে প্রান্তিক মহিলাদের বৃহদাংশ নৌকার বিজয়ে শিরীন আকতারের পক্ষে কায্যকর ভুমিকা পালন করবে। যাহা আওয়ামীলীগ বা বিএনপি দলের কোন প্রার্থির পক্ষে পাইকারীহারে এইরূপ নির্ভেজাল একাগ্রচিত্তের সমর্থন আদায় কোনভাবেই কখনই সম্ভব হয়ে উঠবেনা।
দ্বিতীয় সঙ্গত ইস্যু ছাগলনাইয়া উপজেলাব্যাপী আওয়ামীলীগ প্রার্থির পক্ষে ভোটের স্বল্পতার ইস্যুটিও অনায়াসে মিমাংসীত বলা যায়। ইতিপূর্বে ২০০৮ইং সালে অনুষ্ঠিত দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের ফসল সাধারন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মি শুন্যমাঠে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, ছাগলনাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম জনাব ফয়েজ আহাম্মদ (বিএ) সাহেব। একমাত্র তিনিই আওয়ামী নিধন নির্বাচনে অংশ নিয়ে, আঞ্চলিকতার অপ্রাত্যাশীত জোয়ারে ৬৯হাজার ভোট পেয়েছিলেন।
জনাব ফয়েজ আহম্মদ সাহেবের প্রাপ্ত ভোট নির্বাচিত ‘খালেদা জিয়া’র প্রায় নিকটতম প্রতিদ্বন্ধিতায় তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল।২০০৮ সালের নৌকার ভোট ইতিপূর্বে পরশুরাম, ফুলগাজী’র ঢাকা কেন্দ্রিক হেভিওয়েট আওয়ামীলীগ প্রার্থিদের প্রাপ্ত ভোটের দ্বিগনের অধিক ছিল। আমি মনে করি এবারের নৌকার কান্ডারী জনাবা ‘শিরীন আকতারের ক্ষেত্রে উল্লেখিত ছাগলনাইয়াবাসীর নিজস্ব প্রার্থিতার আঞ্চলিকতা অনেকক্ষেত্রে ফয়েজ ভাইয়ের চেয়ে দ্বিগুন শক্তিশালী ভুমিকা পালন করবে।
এক্ষেত্রে জনাবা শিরীন আকতারের পারিবারীক ঐতিহ্য, বাগ্মিতা, নেতৃত্বের অসাধারন গুনাবলী, দীর্ঘ ৫ বছর তাঁর সরকারের জনপ্রতিনীধির প্রাপ্ত সুবিধাদি প্রান্তিক জনগোষ্টির জীবনমান উন্নয়নে সদাসর্বদা নিবেদন কায্যকর ভুমিকা রাখবে। সদালাপি উচ্চশিক্ষিত শিরীন আকতারের উন্নত চারিত্রিক বৈশিষ্টের অধিকারী পারিবারীক জীবনাচার হতে পারে, ছাগলনাইয়া উপজেলা অঞ্চলে নৌকার ভোটের ধারাবাহিক নগন্যতাকে স্ফিতকারে রুপান্তরে’র কায্যকর হাতিয়ার।
নির্বাচনের ডামাডোল বেজে উঠার আগেই নৌকার কান্ডারী শিরীন আকতারের কয়েকটি ইতিবাচক দিক প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। তম্মধ্যে অন্যতম (১) মহাজোট সরকারের প্রভাবশালী এমপি হওয়া সত্বেও দলের আদর্শিক কর্মির বাহিরে, নিজস্ব লুটেরা তল্পিবাহক বাহিনী গড়ে না তোলা।
(২) মৌসাহেবী সুবিধাভূগী শ্রেনীকে তার চারপাশে অবস্থানের সুযোগ না দেয়া
(৩) অত্রাঞ্চলে পূর্ব হতে বিচরণকৃত সুবিধাবাদী ব্যাক্তিদের মধ্যে একজনকেও অনৈতিক, অন্যায়, নিয়মনীতি বহির্ভূত–“সরকারী, বেসরকারী সুযোগ সুবিধা না দেয়া অন্যতম ইতিবাচক গুনাবলীর পয্যায় জনমতকে প্রভাবিত করে চলেছে।
অত্রাঞ্চলের জনগনের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে একটি বিষয় সর্বমহলে দেদিপ্যমান হয়ে উঠেছে–স্বয়ং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনিতে থাকাবস্থায়ও মৌসাহেবীর ব্যাঞ্জনামুক্ত থাকতে পারেননি, জান্তে-অজান্তে নিত্য অবগাহন করে তৃপ্ত হয়েছেন। প্রকারান্তরে তিনি নিজে ডুবেছেন, দলকেও ডুবিয়েছেন। অথছ শিরীন আকতার এমপি নিত্য জনসম্পৃত্ততা রক্ষা করে চাটুকারের চাটুকারীতা থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছেন, তাঁর নমিনেশনদাতা দল আওয়ামীলীগ এবং মহাজোট সরকারেকেও তিনি চাটুকারের অযাচিত ব্যঞ্জনামুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
আগামী ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠানেয় নির্বাচনে জনমনের আলোচ্য বিষয়টি সর্বতোভাবে নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে নিবেদিত কর্মিবাহিনী যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হবে।শিরীন আকতার নিঃসন্দেহে অত্রাঞ্চলের সর্বজনগ্রাহ্য, জননন্দিত, জননেতায় অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হবেন। শিরীন আকতারের প্রতিষ্ঠায় শুধুমাত্র যে তাঁর দল জাসদই উপকৃত হবে তা নয়–মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির প্রাপ্তি ঘটবে সূদুরপ্রাসারী নির্দিদ্বায় বলতে পারি।
উল্লেখিত রাজনৈতিক, সামাজিক বাস্তবতার আলোকে সামনের নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগের গত ১০ বছরের অসংখ্য সুবিধাভোগী নেতাকর্মী, নতুন প্রজম্মের আদর্শিক নেতাকর্মী এবং পুরাতন অগনীত ত্যাগী নিবেদিত নেতাকর্মিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠতে পারে নৌকার পক্ষে এক দুর্ভেদ্য অপরাজেয় শক্তি।
আওয়ামীলীগ দলের বর্তমান সময়ে বিদ্যমান সাংগঠনিক শক্তির ইতিবাচক কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক এবং ‘জেলাব্যাপী হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধের মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন বাদ দিয়ে’ অধিকতর গ্রামীন জনসম্পৃত্ত কতিপয় অতি প্রয়োজনীয় নগন্য বিষয় উল্লেখ করা একান্ত প্রয়োজন মনে করি।
(১) মহাজোট সরকারের ১০বছরের একটানা নির্ভেজাল শাসনে অত্রাঞ্চলে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক বিস্তৃতি, শক্তি, কাঠামো অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় উন্নত এবং শক্তিশালী অবস্থানে বিরাজমান রয়েছে। উল্লেখিত অপরাজেয় শক্তির উৎস নিঃসন্দেহে আওয়ামীলীগের জেলা সাধারন সম্পাদক জনাব ‘নিজাম উদ্দিন হাজারী’ এবং আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক জনাব আলা উদ্দিন চৌধুরী নাসিম সাহেবের একাগ্রচিত্তে দলের পরিচর্যা এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃত্ততা উল্লেখ না করে পারা যায়না।
২) নিঃসন্দেহে গত দশ বছরে’র মহাজোট সরকারের শাসনামল ছিল স্বাধীনতা পরবর্তি যে কোন সময়ের তুলনায় শান্তিপূর্ণ। নির্দিদ্বায় বলতে পারি- বিগত সময়ের বিচারে সন্ত্রাসহীন, দখলহীন, মাস্তানহীন, অবৈধ অস্ত্রের ঝন ঝনানীহীন, হুন্ডা গুন্ডার মহড়াহীন, চুরি, ডাকাতি, চিনতাই, মাস্তানহীন জনমানুষের সুখে শান্তি’তে বসবাসের স্বর্গাঞ্চলে পরিণত হয়ে উঠেছে অতাঞ্চল।এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের দায়িত্বদশীল মহলের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রতিনীধি জনাবা শিরীন আকতারের ইতিবাচক ভূমিকা অস্বিকার করার উপায় নেই।
(৩) আওয়ামীলীগের উল্লেখিত নেতৃবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমে অত্রাসনব্যাপী কোন অঞ্চলে, একটি গ্রামও ঘুঁজে পাওয়া যাবেনা–যে গ্রামটিতে মহাজোট সরকারের দেশব্যাপী চলমান উন্নয়ন, অগ্রগতির কোন না কোন প্রকার ছোঁয়া লাগেনি।
(৪) অত্রাঞ্চলের বিদ্যমান সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ, মন্দির খুঁজে পাওয়া যাবেনা–মহাজোট সরকারের শাসনামলে কোন না কোন প্রকার উন্নয়ন, অনুদান, স্বিকৃতি ইত্যাদি যে কোন ক্ষেত্রে একাধিক উপকারভোগী কোন একটি প্রতিষ্ঠান হয়নি।
(৫) অত্রাসনের অন্তভুক্ত একটি গ্রামীন সড়ক চোখে পড়বেনা–যে সড়কটি মহাজোট সরকারের কোন না কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডের আওতায় একাধিকবার পড়েনি।
(৬) একটি হাটবাজারও অবশিষ্ট নেই–যে হাট বাজারটিতে মহাজোট সরকারের কোন না কোন উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ সাধিত হয়নি।
(৭) তাছাড়া আওয়ামীলীগের রয়েছে অত্রাসনের অভ্যন্তরে প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনীধি। উপজেলায় উপজেলা চেয়াম্যান, পৌরসভায় পৌরমেয়র ও কমিশনার , ইউনিয়ন পরিষদে চেয়াম্যান, মেম্ভারবৃন্দ সার্বক্ষনিক তৃনমূলের প্রান্তিক জনগোষ্টির সান্নিধ্যে অবস্থান করে নিত্য তাঁদের সুখ দুঃখ্যের অংশিদার হচ্ছেন।
তাঁরা সকলেই গ্রামের সাধারন মানুষের মঙ্গলার্থে কোন না কোনভাবে নিজেদের ব্যাস্ত রেখেছেন এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে চলেছেন।নির্বাচিত সকলস্তরের জনপ্রতিনীধিদের সম্মিলীত আন্তরিক প্রচেষ্টায় নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে।– ইতিপূর্বে নৌকার আর কোন প্রার্থির ভাগ্যে এই মহাসুযোগ আদৌ কখনও কপালে জোটেনি।
(৮) নির্বাচনে যে বিষয়টি সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব সহকারে আওয়ামী বিদ্বেষীরা প্রচার প্রচারণায় এতকাল ভোটে জেতার ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করেছে এবং সাধারন মানুষও সর্বতো গ্রহন করেছে। তা হচ্ছে–বিএনপি নেত্রি বেগম “খালেদা জিয়া” নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন অলংকৃত করবেন। নিঃসন্দেহে উক্ত প্রচার প্রপাগান্ডার সারবর্তা যেকোন বিচারে বাস্তবতা বিদ্যমান ছিল। সাধারন ভোটারগন মনেপ্রানে বিশ্বাস করতেন খালেদা জিয়া নির্বাচিত হওয়া না হওয়ার উপর অত্রালাকার মান-সম্মান নির্ভর করে।
উল্লেখিত সাধারনের দৃষ্টিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ৩০শে ডিসেম্বরের সাধারন নির্বাচনে কোনভাবেই ব্যাবহার করার সুযোগ নেই। বরঞ্চ এবারকার নির্বাচনে মহাজোটের নৌকার প্রার্থি শিরীন আকতার নির্বাচিত হলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় পাওয়ার অন্যতম দাবীদার হতে পারেন, প্রচার পাওয়াই যুক্তিযুক্ত হতে পারে।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী বিদ্বেষী অশুভশক্তির নতুন জোট ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে যে প্রার্থিই নির্বাচন করুকনা কেন–অবশ্যই তিনি সর্বগ্রাহ্য নন। তিনি কোনভাবেই অত্রাঞ্চলের জনগনের সাথে কোন সময়ে, কোনভাবেই পরিচিত ছিলেননা নির্দিদ্বায় এবং চোখ বন্ধ করে বলা চলে। যেহেতু খালেদা জিয়ার সার্বক্ষনিক উপস্থিতিতে অত্রাঞ্চলে আওয়ামী বিদ্বেষী অশুভশক্তি সমূহের মধ্যে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠার প্রয়োজনীতা কখনই অনুভূত হয়নি, গড়েও উঠেনি।
পরিশেষে বলতে পারি–সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘৭৫ পরবর্তি সময়ে আওয়ামী নেতৃত্বের অদুর্শিতায় ৪০ বছর পুর্বে হেলায় হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার মহেন্দ্রক্ষন অত্যাসন্ন।যেকোন বিচারে মহাজোট প্রার্থি শিরীনা আকতারের জয়ের ষোলকলা পরিপূর্ণতা পেয়ে উপযুক্তক্ষন বিরাজ করছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সামনে। আগামী ৩০শে ডিসেম্বরের সাধারন নির্বাচনে নৌকার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সর্বতো নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় নিশ্চিত করার করার উপর নির্ভর করছে দীর্ঘযুগের গ্লানী দুর করার মোক্ষম হাতিয়ার।
আশা করি আওয়ামীলীগের হাজার হাজার নতুন প্রজম্মের আদর্শিক নেতাকর্মির পদচারনায় অচিরেই অত্রাঞ্চল প্রকম্পিত হবে, সাথে যুক্ত হবে হাজার হাজার নিবেদিত পুরাতন সর্বস্বত্যাগী নেতাকর্মি। সর্বশক্তির যোগসাজসে চলমান সংসদের সর্বাপেক্ষা বিচক্ষন সাংসদ, জোটের সর্বোত্তম ক্লিন ইমেজ সম্পন্ন নেতার নৌকার মাঝির বিচক্ষন নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটিখ্যাত অত্রাঞ্চলে দীর্ঘদিনের অশুভশক্তির প্রেতাত্বার জোরপূর্বক দখলকৃত বিচরণভূমি উৎখাত হবে।।
লেখক–রুহুল আমিন মজুমদার, সম্পাদক।।