অরিত্রীর আত্মহত্যা, দায় কার ?
শিক্ষিকার বিচার হচ্ছে, কিন্তু আমার মনে কিছু প্রশ্ন, অরিত্রীর বাবা মা বাসায় গিয়ে অরিত্রীর সাথে কেমন আচরন করেছিল ? তারা কি মেয়ের মানসিক অবস্থা বুঝে তাকে সাপোর্ট দিয়েছিল নাকি তারাও এমন কিছু করেছিল যাতে অরিত্রীর মনে হয়েছে তাকে বোঝার মতো কেউ নেই !! আমাদের সন্তান সবসময় আমাদের চোখের সামনে থাকবেনা, সততা বা যে কোন প্রতিকূল অবস্থা সামলে নেয়ার মন মানসিকতা তৈরি করে দেয়া কি আমাদের দায়িত্ব না ??? বাবা মা না জানলেও এক কথা ছিল, কিন্তু যেহেতু বাবা মায়ের সামনেই অপমান অপদস্থ…এক্ষেত্রে বাবা মায়ের দায়িত্ব কী হওয়া উচিৎ ছিল? আজ অরিত্রীর জায়গায় অন্য কেউ হলে, আর যদি সে আত্মহত্যা না করতো , বা তাকে এভাবে শাষন নাও করা হতো, কেউ কি নিশ্চয়তা দিতে পারবেন অরিত্রীর বাবা মা গিয়েই পরদিন ঐ শিক্ষকদের বলতোনা, এসব ছাত্রীদের বিরুদ্ধে কেন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়না, এরা থাকলে আমাদের বাচ্চারা এই স্কুল থেকে কী শিখবে !!! আমি কারো পক্ষ নিয়ে কথা বলছিনা, তবে আমার কাছে মনেহয় বাস্তবতা ভিন্ন…কারন এইসব বাবা মা সেই ৪ বছর বয়স থেকেই তাদের বাচ্চাদের ওপর এমন মানসিক অত্যাচার করে, যে বাচ্চাগুলো ধরেই নেয় পড়াশোনা ঠিকঠাক মতো না করতে পারলে বেঁচে থাকার ই অধিকার নেই।আমার মতে এসব বাবা মায়েদের আগে আইনের আওতায় আনা উচিৎ এবং মানসিক চিকিৎসা করানো উচিৎ। আসলেই কী আছে এই সমস্ত স্কুলে ? বাছাই করা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী, ডোনেশন, শিক্ষিত পরিবার…তারপর মা বাবা তাদের ছেলে বা মেয়েটাকে নিয়ে দৌড়াচ্ছে কোন কোচিং সেন্টার অথবা প্রাইভেট টিউটরের কাছে….ফলাফল হতেই হবে A+ !!! গোল্ডেন A + !!! কিন্তু স্কুলের কাজটা কি আমার মাথায় আসেনা, আসলে কতটুকু পড়ানো হচ্ছে ক্লাসে !!!! তবু এখানেই পড়তে হবে, যে কোন মূল্যে…!!! নাহলে মান সম্মান থাকবেনা যে তাদের !! উফফ !! এই অসুস্থ মন মানসিকতা আর শিক্ষা ব্যাবস্থায় প্লিজ আমরা আমাদের সন্তান কে আর বলি না দেই। ওদের একটু শ্বাস নিতে দেই ওদের মতো করে…। নাহলে আরও অরিত্রী এভাবেই মৃত্যুবরন করবে, আমরা জানবো ও না…ধুকে ধুকে মরবে ওরা শ্বাস নিতে না পেরে, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে ।
রেবেকা সুলতানা ঊর্মি
লেখক, অনলাইন এক্টিভিস্ট
« বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কাল (পূর্বের সংবাদ)