প্রাণের ৭১

সম্পাদকীয়

যোগ্যতা,প্রজ্ঞতা,বিচক্ষনতা,শিক্ষা,নেতৃত্ব যে কোন মাপকাঠিতে শিরীন আকতার শ্রেষ্ঠ।

যোগ্যতা, প্রাজ্ঞতা, বিচক্ষনতা যেকোন মাপকাঠিতে নৌকার কান্ডারী শিরীন আকতার সর্বসর্বা।আমি বলছিলাম সংসদীয় আসন ২৬৭ ফেনী ১নং আসনের প্রতিদন্ধি প্রার্থিদের মধ্যে সর্বদিকে সেরা প্রার্থির কথা।
ফেনী ১নং আসন, বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজ পরিবর্তনে শতবছর পুর্ব হ’তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ আসনে জম্ম নিয়েছেন-দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবি, কবি, সাহিত্যিক,প্রতিতযসা রাজনীতিবীদ। এখানেই জম্মেছেন ইংরেজ সরকারের সাক্ষাৎ যমদূত, বীরযোদ্ধা শমশের গাজী। আবার এখানেই জম্মেছেন বৃটিশ শাসিত ভারতের যুগশ্রেষ্ঠ বাংলাভাষার নন্দিত কবি ‘নবীন চন্দ্র সেন’। এই আসনের বুকে জম্মগ্রহন করেছেন প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক, বৃটিশ ভারতের প্রতিতযসা রাজনীতিবীদ, সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মন্ত্রী পরিষদের অন্যতম সদস্য, লেখক, সাংবাদিক, খেলোয়াড় মরহুম জনাব হাবিব উল্যা বাহার চৌধুরী।
এ আসনের পবিত্র মাটিতেই জম্মেছেন সাংবাদিকতা জগতের কিংবদন্তি অবজারভার সম্পাদক ‘আবদুস সালাম’ সাহেব সহ অসংখ্য জ্ঞানী, গুনী প্রতিতযসা রাজনীতিবীদ। নির্দিদ্বায় বলা যায়–বাংলাদেশের যেকোন অঞ্চলের চাইতে ফেনী ১নং সংসদীয় আসন “শিক্ষা দীক্ষা, উন্নয়ন অগ্রগতি, রাজনৈতিক সচেতনতা, শিল্প সংস্কৃতি, জীবনাচার, ধনে মানে এক অন্যন্ন বৈশিষ্টের অধিকারী”।
স্বাধীনতা পরবর্তি বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে এ আসনটি তাঁর গুরুত্ব ও অন্যন্ন বৈশিষ্ট সমূন্নত রেখে চলেছে। পাকিস্তান শাসনামলের ১৯৫৪ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সাংসদ পরবর্তিতে যুক্তফ্রন্ট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মরহুম হাবিব উল্যা বাহার চৌধুরী সাহেব অত্রাঞ্চলের শৌয্যবিয্যের সুচনা করেছিলেন। বিএনপির শীর্ষনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অবদি এই আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনীধিরাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন না কোনভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। এককথায় বলতে গেলে–এ আসনের নির্বাচিত বা অনির্বাচিত রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরাই ফেনী জেলা সহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের আপামর জনগনের সামগ্রিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে চলেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু অত্রাসনে নৌকা দিয়ে পাঠিয়েছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এবিএম ‘মূসা সাহেব’কে। তিনি ছিলেন মনেপ্রানে বৃটিশ সামন্তবাদী শাসক গোষ্টির লালিত প্রতিভূ। তাঁর মনোনয়ন অত্রাঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির ঐক্য বিনষ্টের মূলকারন আমি মনে করি। তাঁর মনোনয়ন পর্ব থেকে আওয়ামীলীগ তথা মুজিবাদর্শের পতন শুরু, আজব্দি তা আর কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে অরাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব এবিএম মূসা সাহেব জনগনের মনের ভাষা বুঝতে না পেরে চতুদিকে সামন্তবাদী জমিদারের চোখে হাহাকার দেখেছিলেন। তিনি অত্রালাকার নির্বাচিত প্রতিনীধি হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ট সাধারন গনমানুষের কোন উপকার দূরে থাকুক, সামান্যতম সাত্বনা, অভয় দেয়ার প্রয়োজন অনূভব করেননি।সামন্তবাদী ভাবধারায় গড়ে উঠা অরাজনৈতিক এই ব্যাক্তি’র পদচারনায় আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে যাহাই হওয়ার ছিল তাই হয়েছে, কোথাও সামান্যতম ব্যাতিক্রম হয়নি।
এইরূপক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল আওয়ামীলীগের তৃনমূলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃত্ত, গনমানুষের সুখ দুঃখ্যের একান্ত সাথী, একজন প্রতিতযসা জনপ্রিয় জননেতার নিবিড় পরিচয্যা।যে সমস্ত অঞ্চলে এইরুপ নেতার নেতৃত্ব বহাল ছিল সেই সমস্ত অঞ্চলে আজও আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি-ইহা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
জনাব এবিএম মূসা সাহেবের অত্রালাকার জনগন তো দুরের কথা, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের সঙ্গেও ইতিপূর্বে কোনপ্রকার সংযোগ ছিলনা। ফলে অতিদ্রুতই তিনি নির্বাচিত সাংসদের জনপ্রিয়তা, সম্মান তো হারিয়েছেন-ই, আওয়ামীলীগের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তায়ও ধ্বস নামিয়ে ছেড়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তাঁর সেই হারোনো ঐতিহ্য, গৌরব, জনপ্রিয়তা বিগত অর্ধশতাব্দি যাবৎ একের পর এক নৌকার কান্ডারী বদলের মাধ্যমে খুঁজে ফিরছে, কিন্তু কাংক্ষিত সোনার হরিণ আজও ধরা দেয়নি।
১৯৭৯ ইং সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাধারন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অবশ্য তাঁর ভূল অনেকটাই সংশোধন করতে পেরেছিল। ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, তৃনমূলের জনদরদী, জনন্দিত নেতা মরহুম আমিনূল করীম মজুমদার সাহেবকে আওয়ামীলীগ অত্রালাকার নৌকার কান্ডারী মনোনীত করেছিলেন। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়–জনাব এবিএম মূসা সাহেবের সৃষ্ট রাজনৈতিক বলয়ের অপরিণামদর্শি অপ-রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জনাব আমিনূল করীম মজুমদার সাহেব স্বল্পভোটের ব্যাবধানে পরাজয়ের গ্লানী নিয়ে পরপারে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তদস্থলে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব লেঃকঃ ‘জাফর ইমাম (বীর বিক্রম), মেজর জিয়ার সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি’র মনোনয়নে প্রথবারের মত সাংসদ নির্বাচিত হন। জনাব জাফর ইমাম সাংসদ নির্বাচিত হয়ে জিয়া সরকারের মন্ত্রী পরিষদে সর্বপ্রথম কনিষ্টতম উপমন্ত্রী’র মায্যদা লাভ করেন। তাঁর তিক্ষ্ম বুদ্ধি, রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, বিচক্ষনতা সর্বোপরি আওয়ামী নিধন কায্যক্রমের সফলতা অচিরেই মরহুম রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়ার নজর কাড়তে সক্ষম হয়। তিনি কর্নেল সাহেবের আওয়ামী নিধনে তৃপ্ত হয়ে অল্প কিছুদিন পরই তাঁর সরকারের মন্ত্রী পরিষদে প্রতিমন্ত্রীর পদমায্যদায় অভিসিক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়ার মৃত্যুর পর স্বৈরশাসক লেঃজেঃ হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। বিচক্ষন মুক্তিযোদ্ধা জনাব লেঃকঃ জাফর ইমাম (বীর বিক্রম)কালবিলম্ব না করে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। এরশাদ তাঁকে পূর্বের আওয়ামী নিধনএর যোগ্যতা, পারঙ্গমতা বিবেচনায় তাঁর সরকারের মন্ত্রী পরিষদে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীত্বে অভিষিক্ত করেন।মূলতঃ এরশাদ সরকারের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন বাজেটের সংকির্নতা সত্বেও জনাব জাফর ইমাম অত্রালাকায় ব্যাপক জনহীতকর, অনেকাংশে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মৌলিক কায্যাদি সম্পাদন করেন।এতে তাঁর জনপ্রিয়তা, পেশীশক্তির ‘বহর, রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা প্রাপ্তি সর্ব উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে।
তিনি অত্রালাকার দীর্ঘযুগের বৃহত্তর জন গোষ্টির দুর্ভোগ লাগব এবং পয্যায়ক্রমে কর্ম সম্পাদন কল্পে অতিগুরুত্বপূর্ণ কতিপয় যুগান্তকারী মৌলিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সূচনা করেন। ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসকদের লাগাতার দোসর হওয়া সত্বেও এই একটিমাত্র কারনে আজও ফেনীবাসী জনাব ‘জাফর ইমাম’ (বীর বিক্রম) সাহেবকে অত্রাঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে অভিহীত করে থাকেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য জনহীতকর কায্যাবলীর মধ্যে—
(১) ফেনী জেলা শহরের মহিপাল নামক স্থানে পল্লি বিদ্যুতের মূল গ্রিড স্থাপন করতঃ তাঁর সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকাও একই সময়ে সংযুক্ত করেন। শুধু মূল গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করেই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি। সরকারের স্বল্প পরিসরের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন বাজেটের আওতায় থেকেও তিনি ফেনী–পরশুরাম সড়ক এবং ছাগলনাইয়া–পরশুরাম ক্যাপটিন লীক রোড়ের দুই পাশের হাট বাজারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
(২) ছাগল নাইয়া–পরশুরাম, ফেনী–পরশুরাম দুটি আন্ত উপজেলা আধা কাঁচা-পাকা সড়ক’কে তিনি আঞ্চলিক মহা সড়কের মায্যদায় উন্নিত করে সরকারের অত্যাবশ্যকীয় উন্নয়নের তালিকায় সংযুক্ত করেছিলেন।
(৩) তাঁর মন্ত্রীত্বের সময়কালেই অত্রাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাট, বাজার, গ্রামীন রাস্তা, ঘাট, পূল, কালভার্ট সংস্কার, পুণঃনির্মান, নতুন প্রকল্প ভিত্তিক নির্মানে সরকারী উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারায় প্রথমবারের মত সংযুক্ত করতে পেরেছিলেন।
পক্ষান্তরে তাঁর মন্ত্রীত্বের সময়কালে কতিপয় নেতিবাচক জনদুর্ভোগসম কর্মকান্ডও সূচিত হয়। মূলতঃ তিনি আওয়ামী নিধন কায্যক্রম সহজতর করার লক্ষে পরিকল্পিতভাবে যুবসমাজের হাতে অর্থ, অস্ত্র তুলে দিয়ে অত্রাঞ্চলব্যাপী অপ-রাজনীতির অন্ধকার যুগের সূচনা করেন।
সামরিক স্বৈরশাসনের পৃষ্টপোষকতায় একদা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি, গনতান্ত্রিক সহনশীলতা, শিল্পকলায় সমৃদ্ধ শান্ত জনপথ ফেনীজেলা কালক্রমে বাংলাদেশের অন্যতম সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি সময় পেরিয়ে গেলেও নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতির বিচরণক্ষেত্র সহ বহুমাত্রিক গৌরবের জনপথ আজও সন্ত্রাস, হত্যা, রক্তপাতের কালিমা অনেকক্ষেত্রেই মূছে ফেলতে পারেনি।
মহাজোট সরকারের একটানা ১০ বছরের সু-শাসনের ফলে সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ন্যায় ফেনী জেলাব্যাপী আইনশৃংখলা সহ সার্বিক জনজীবনে ব্যাপক উন্নতি,অগ্রগতি ঘটেছে-ইহা নিঃসন্দেহে বলতে পারি। এক্ষেত্রে অত্রাঞ্চলে বিচরণকৃত গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলসমূহের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, বিচক্ষনতা, প্রজ্ঞা, সহনশীলতা জেলাব্যাপী আইনশৃংখলা উন্নতি সহ সার্বিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভুমিকা পালন করছে–অস্বিকার করার কোন উপায় নেই।
পূর্বেই বলেছি–ফেনীজেলার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অতীত ঐতিহ্যের অধিকারী আসন একমাত্র ফেনী ১নং আসন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোট নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম ‘শেখ হাসিনা’র মনোনীত নৌকার কান্ডারী–“জাতীয় ও আন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নারীনেত্রী, দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে অন্যতম রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দল’ (জাসদ) এর সাধারণ সম্পাদিকা জননেত্রী ‘শিরীন আকতার’।
অন্যদিকে দীর্ঘ ৪০ বছর একচ্ছত্র অধিপত্য বিস্তারকারী শক্তি-পাকিস্তান– বাংলাদেশ সরকারের প্রতাপশালী মন্ত্রীদের আসন, বাংলাদেশ সরকারের আড়াই বারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেত্রীর নির্ধারীত আসনটি দেশবিদেশে অত্যান্ত পরিচিত অন্যতম একটি আসন। নির্দিদ্বায় বলা যায়–সঙ্গতকারনে এই আসন দেশ-বিদেশের সম্মানীত ব্যাক্তি, বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানদের প্রতিনিয়ত দৃষ্টি নিবন্ধিত থাকার কারনে, অতি সম্মানের একটি নির্বাচনী আসনের মায্যদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে ‘ধানের শীষ’ মার্কায় হায়ারে এসেছেন ফেনী সদর উপজেলার বাসিন্দা জনৈক রফিকুল ইসলাম “মজনু” সাহেব নামে এক অতীথি ।
লোকমূখে যতটুকু জানতে পেরেছি–তাঁর কর্মস্থল, রাজনীতি, স্থায়ী আবাস বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা’র দক্ষিনাঞ্চল। তিনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা দক্ষিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক। হাটে, ঘাটে, বাজারে মানুষজন বলাবলি করতে শুনা যায়–ইতিপূর্বে অত্রালাকার জনগন নাকি তাঁর নাম শুনেনি, এবং কি ফেনী সদর অঞ্চলের বিএনপির নেতাকর্মিরাও নয়। শুনবে কোত্থেকে? তাঁর রাজনৈতিক বিচরণভূমি তো ফেনী জেলায় নয়, রাজধানী ঢাকার দক্ষিনাঞ্চল।
অজানা, অচেনা মানুষটিকে কেন অত্রাঞ্চলে সর্ববৃহৎ জোট ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি নমিনেশন দিয়েছে? বিএনপিতে কি স্থানীয় কোন নেতাই ছিলনা? বিএনপি দলের উত্থানে অত্রালাকার কোন নেতারই কি শ্রম ঘাম, অর্থ, পরিশ্রম ব্যয় হয়নি? স্ব্যংক্রিয়ভাবেই কি বিএনপি দলের উৎপত্তি, বিস্তৃতি, জনপ্রিয়তা এসে গেছে? বিএনপির নেতাকর্মিগন আগূন্তুকের জন্যে ভোট চাইতে মানুষের দ্বারে যাবে কেন? বিএনপি’র ভোটারেরা’ই বা তাঁকে ভোট দিতে হবে কেন?
নিশ্চয়ই ‘মজনু’ সাহেব জাফর ইমাম (বীরবিক্রম) নন, নির্বাচিত হলে মন্ত্রী হবেন। জিয়াপত্নি খালদা জিয়াও নন, নির্বাচিত হোক বা না হউক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অথবা পূর্ণ মন্ত্রীর মায্যদায় বিরোধী দলীয় নেতার আসনটি অনিবায্য। তবে কি জনাব ‘মজনু’ সম্প্রতি বিএনপি দলের ভিতরে বাইরে প্রজ্জলীত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নমিনেশন বানিজ্যের অন্ধকারের ক্রিড়ানক?নাকি ‘৭৩ এর আওয়ামীলীগের মূসা সাহেব?
বিএনপির দলের স্থানীয় সচেতন নেতৃবৃন্দ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক এবং জনপ্রিয়তায় ধ্বসের অতীত ইতিহাস থেকে নিশ্চয়ই শিক্ষা নিয়েছেন। আশা করি দলের আন্তপ্রান আদর্শিক নেতা কর্মীগন আগেভাগে দলের আজীবনের ধ্বস ডেকে আনা থেকে বিরত থাকবেন। সকলেরই নিশ্চয়ই জানা আছে–৩০শে ডিসেম্বর বিএনপি প্রার্থি জয়ী হলেও অত্রাঞ্চল ছেড়ে চলে যাবেন, জয়ী না হলেও চলে যাবেন। বিএনপি দলের হাজার হাজার নেতাকর্মি এই আসনের অভ্যন্তরেই তাঁদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন।নিশ্চয়ই তাঁরা চাইবেন না তাঁদের ভবিষ্যত রাজনীতি অন্ধকারের কালছায়ায় ঢাকা পড়ুক।
ইহা সত্য যে–প্রায় তিনলক্ষ ভোটারের অত্রাসনে বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতা, ‘৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা, দীর্ঘবছরের প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী জনাব ‘জাফর ইমাম’ (বীরবিক্রম) সাহেব কতৃক সৃষ্ট প্রেতাত্বাদের শক্ত ভোটব্যাংকের উত্তরাধিকার সুত্রে একমাত্র মালিক বর্তমানে বিএনপি দল এবং তাঁর নেত্রী ‘খালেদা জিয়া’। দীর্ঘ ৪০ বছর প্রেতাত্বার রক্ষক দল সমূহের অদলবদল একটানা শাসনামলে অত্রাসনের প্রত্যান্ত অঞ্চলে একজন যোগ্য, বিশ্বস্ত নেতাও কি জম্ম নেয়নি ‘ধানের শীষ’ মার্কা বহন যোগ্য? বিনাশ্রমে লক্ষাধিক ভোটের মালিকের ঘরের শোভাবর্ধনকল্পে যে রাজনৈতিক শক্তি দীর্ঘ বছরে একজন নেতা জম্ম দিতে পারেনি,সেই দল খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে হাওলাতি নেতা দিয়ে অত্রাঞ্চলের জনমানুষের আক্ষাংকা কিভাবে পূরণ করবে–ইহাই অত্রাঞ্চলের জনগনের মনের একমাত্র প্রশ্ন?

এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বলতে পারি–স্বাধীনতা পরবর্তি অত্রাঞ্চলের প্রতিষ্ঠিত যে কোন সাংসদ বা নেতার চাইতে কতিপয় বিশেষ ক্ষেত্রে মহাজোট মনোনীত নৌকার কান্ডারী জনাবা “শিরীন আকতার” অধিকতর যোগ্য এবং অন্যন্ন গুনাবলির অধিকারী। তাঁর মধ্যে যে সমস্ত অন্যন্ন গুনাবলী বিদ্যমান রয়েছে–সেই সমস্ত গুনাবলী পুর্বাপর অত্রাঞ্চলের অন্যকোন নেতানেত্রীর আদৌ ছিলনা এবং কি সহজে কারো পক্ষে অর্জনও সম্ভব নয়। সর্বসাধারনের জ্ঞাতার্থে তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অন্যন্ন গুরুত্বপূর্ণ গুনাবলী উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করি–
(১) জনাবা শিরীন আকতার ছাত্রবস্থায় বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির সাথে নিজে জড়িয়ে নইয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরতঃ অবস্থায় তিনি তৎসময়ের বৃহত্তর ছাত্র সংগঠন জাসদ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তিতে বিভক্ত জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি’র সভাপতির ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জাতীয় নেতৃত্বের প্রস্তুতি পর্ব সমাপন করে নিয়েছিলেন।
(২) ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার অব্যবহিত পর তিনি জাতীয় রাজনীতি এবং নারী আন্দোলনে যুগৎপৎভাবে নিজেকে সম্পৃত্ত করে নেন।বিচক্ষন নেত্রী তাঁর প্রজ্ঞাগুনে উভয়ক্ষেত্রে সফলতার এক অন্যন্ন উজ্বল সাক্ষর বহন করে চলেছেন। তিনি নারী জাগরণের পাশাপাশি নারীর জাতীর কর্ম ক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবনযাপনের গুরুত্ব হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছেন।তিনি একাগ্রচিত্তে গড়ে তোলেন দেশের নারী সমাজের সর্ববৃহৎ মোটিভেশন সংস্থা “কর্মজীবি নারী” সংগঠন। তাঁর দুরদর্শি নেতৃত্বের গুনে সুসংগঠিত জাতীয় ও আন্তজাতিক নারী সংগঠন সমূহের সর্বজনগ্রাহ্য, প্রতিষ্ঠিত নারীনেতৃত্বে তিনি নিজ মহিমায় সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
(৩) ছাত্রাবস্থায় রাজনৈতিক আদর্শের ধারক বাহক জনাবা শিরীন আকতার আজীবনের লালিত আদর্শ হতে ক্ষমতার লোভে কখনও আদর্শ বিচ্যুত হননি। সার্বক্ষনিক গনমানুষের মঙ্গল চিন্তা ব্যাতিত তাঁর চিন্তাচেতনায় আদৌ কখনও অর্থবিত্তের পাহাড় গড়ে তোলার মানষিকতা পোষন করেননি। তিনি জম্মলগ্ন হতে অদ্যাবদি নিপীড়িত, নিয্যাতীত গনমানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন। তাঁর আদর্শিক চিন্তাচেতনা, রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, সাংগঠনিক ক্ষমতা, বিচক্ষনতা তাঁকে অন্যতম বৃহৎ আদর্শিক রাজনৈতিক দলের সাধারন সম্পাদিকার পদে অধিষ্ঠিত করেছে।
ইহা সর্বজনবিদিত যে তাঁর দল ক্ষুদ্র তবে আদর্শিক।তথাকথিত বুর্জুয়া দলের নেতৃত্ব যে কোন বিত্তশালী ব্যাক্তির পক্ষে হাসিল করা হয়তো বা সম্ভব।আদর্শিক দলের নেতৃত্ব অর্থবিত্তের মাপকাঠিতে কখনও বিবেচিত হয়না। রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা, আদর্শের প্রতি আনুগত্যতাই আদর্শিক দলের নেতৃত্ব হাসিলের একমাত্র মাধ্যম।
নিঃসন্দেহে বলা যায়– আদর্শের প্রতি একনিষ্টতা, সততা, বিচক্ষনতাই তাঁকে জাতীয় নেত্রীর মায্যদায় অভিষিক্ত করেছে।ইহা অনস্বিকায্য যে– তিনি বাংলাদেশের প্রথমসারীর জাতীয় নেতা এবং আন্তজাতিক ভাবে স্বিকৃত নারী নেত্রী। তথাপি তাঁর জীবনাচারের প্রতি নিবিড়ভাবে লক্ষ করলে দেখা যায়– পাঁড়াগাঁয়ের অতি সাধারন মা-বোনের অবয়ব তাঁর সর্বাঙ্গে উদ্ভাসীত।
তাঁর মধ্যে নেই কোন নারীত্বের সীমাবদ্ধতা, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেও নেই কোন গরিমা, সম্ভ্রান্ত পরিবারে জম্মগ্রহন করা সত্বেও নেই কোন পারিবারীক ঐতিহ্যের অহংকার, জাতীয় নেত্রীর মায্যদায় প্রতিষ্ঠিত হলেও নেই কোন প্রকার নেতৃত্বের আস্ফালন। তাঁর মধ্যে রয়েছে অতি সহজে যে কাউকে আপন করে নেয়ার যাদুকরি ক্ষমতা, অসাধারন বাগ্মিতার অধিকারী শিরীন আকতারের বাচনভঙ্গিতে রয়েছে এক সম্মোহনী শক্তি। ফেনী ১ নং আসনের জনগন এমন একজন নেতার আর্বিভাব মনেপ্রানে কামনা করে আসছে বিগত প্রায় অর্ধ শতাব্দি। দেরীতে হলেও অত্রাঞ্চলের জনগন প্রকৃত একজন বিচক্ষন, প্রাজ্ঞ, দুরদর্শি নেতার দর্শন পেয়েছে। আশাকরি অত্র এলাকার জনগন শিরীন আকতারকে বিমূখ করবেনা, প্রয়োজন শুধুমাত্র তাঁর ভিতরে সংরক্ষিত অসাধারন, অন্যন্ন, বিচিত্র, অনবদ্য গুনাবলীর প্রচার।
(৪) বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত যে কয়টি এনজিও সংস্থা বাংলাদেশের জনগনের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলেছে, তম্মধ্যে তাঁর প্রতিষ্ঠিত “কর্মজীবি নারী” এনজিও সংস্থা অন্যতম একটি। ইতিমধ্যে কর্মজীবি নারী এনজিও সংস্থার কর্মজীবি নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, অধিকার আদায়, সাংগঠনিক কাঠামো ও কর্মতৎপরতা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও প্রসংশীত হয়ে চলেছে। নারীর জাতির সার্বিক উন্নয়নে তাঁর নেতৃত্বে কর্মজীবি নারী সংগঠনের নিরলস প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তজাতিক স্বিকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এবং তিনি নিজেও একাধিক জাতীয় ও আন্তজাতিক সম্মাননায় ভুষিত হয়েছেন।
(৫) বিগত ৫ বছর মহাজোট সরকারের আইন পরিষদের প্রভাবশালী আইনপ্রনেতায় আইর্ভূত হওয়া সত্বেও আইন পরিষদের সর্বাপেক্ষা ‘ক্লিন ইমেজ এবং বুদ্ধিদিপ্ত আইনপ্রেনেতার কৃতিত্বের উজ্জল দৃষ্টান্ত তিনি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
তাঁর নির্বাচনী এলাকায় মানুষের মূখে মূখে ইতিমধ্যে সর্বাপেক্ষা আলোচিত বিষয়–শিরীন আকতার নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে অত্রালাকায় কোন প্রকার রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টি করেননি। প্রশ্রয় দেনননি স্বার্থান্ধ কোন অশুভ মহল বিশেষকে, আশ্রয় বা প্রশ্রয় দেননি কোন সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী ব্যাক্তি, গোষ্টি বা বাহিনী। প্রভাবশালী সাংসদ হওয়া সত্বেও গড়ে তুলেননি অঞ্চলব্যাপী লুটপাটের রামরাজত্ব, আত্বসাৎ করেননি সরকারী বরাদ্ধ। অযাচিত হস্তক্ষেপ করেননি প্রাতিষ্ঠানীক, অপ্রাতিষ্ঠানীক বিদ্যমান সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের নিয়মতান্ত্রিক কর্মকান্ডে, ক্ষমতার দাপট পরিলক্ষিত হয়নি সরকারের কোন প্রকার দেশী বিদেশী উন্নয়ন প্রকল্পে কায্যসম্পাদনে। ৫ বছরের মধ্যে কখনই কোন স্বার্থান্বেষি মহল তাঁর নাম ব্যাবহার করে কোনপ্রকার অনৈতিক সরকারী সুযোগ গ্রহন করতে পারেনি। তিনি প্রভাবশালী এমপি হওয়া সত্বেও আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকান্ডে কখনই অযাচিত হস্তক্ষেপ করার মানষিকতা পোষন করেননি।
আমি হলফ করে বলতে পারি– তাঁর দ্বারা কোনমহলের জনকল্যান ব্যাতিত ব্যাক্তি বা পারিবারীক কল্যানে কোন প্রকার অনৈতিক কায্যসিদ্ধি সংগঠিত হয়নি, ভবিষ্যতেও হবেনা। যে সমস্ত নেতিবাচক কর্মকান্ডে দীর্ঘ অর্ধশতাব্দি অত্রাঞ্চলের জনগনের মনপীড়ার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিল তদ্রুপ কোন একটি নেতিবাচক কর্মকান্ডে শিরীন আকতার এমপিকে কোন মহল সম্পৃত্ত করতে পারেননি-ইহা তাঁর একান্ত শত্রুও বলতে বাধ্য হবে।
সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছ–একাদশ নির্বাচনে জনগনের ভোটে মহাজোট যদি সংখ্যাগরিষ্টতা পায়, মহাজোটের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার মধ্য আয়ের দেশ গড়ার ঘোষনানুযায়ী সকল দলের অংশগ্রহনে বৃহত্তর পরিসরে ঐক্যমতের সরকার গঠন করবেন। আমার দৃড় বিশ্বাস–ঐক্যমতের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কোন এক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব ক্লিন ইমেজের ধারক, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত জনাবা শিরীন আকতার এমপি অবশ্যই পাবেন–এতে কোন সন্দেহ নেই।
আমি মনেপ্রানে বিশ্বাস করি–অধিকতর রাজনৈতিক সচেতন, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বি, উন্নত জীবনধারার অধিকারী ফেনী ১নং আসনের জনগন অতীত ঐতিহ্যের প্রতি সদা সজাগ ছিল, আছে এবং থাকবে। অত্রাঞ্চলের জনগন কোনবস্থায় লোভলালসার বশবর্তি বা সাময়িক আবেগের বশে বশিভূত হবেনা, সুদূর অতীতেও হয়নি। জনগনের পবিত্র আমানত ভোট–এই ভোট কোন দলের বা ব্যাক্তির হায়ার করা বা অজানা, অচেনা হাওলাতি প্রার্থিকে কখনই দিতে পারেনা, দিবেনা।
আমি দৃড়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি– অধিকতর সচেতন অত্রালাকার জনগন অতীতে কখনই ‘অতীথি পাখী’ শিকার করেনি, এখনও করবেনা। ইতিমধ্যে দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত তথাকথিত নমিনেশন বানিজ্যের পাতা ফাঁদে জড়িয়ে দীর্ঘকালের ত্যাগ তিক্ষায় গড়ে উঠা সহ অবস্থানের রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিবেশ সহজে বিনষ্ট হতে দিবেনা, দিতে পারেনা।
ফেনী ১ নং আসনের জনগন এমন একজন নেতার আর্বিভাব মনেপ্রানে কামনা করে আসছে বিগত প্রায় অর্ধ শতাব্দি। দেরীতে হলেও অত্রাঞ্চলের জনগন প্রকৃত একজন বিচক্ষন, প্রাজ্ঞ, দুরদর্শি নেতার দর্শন পেয়েছে। আশাকরি অত্র এলাকার জনগন শিরীন আকতারকে বিমূখ করবেনা, প্রয়োজন শুধুমাত্র তাঁর ভিতরে সংরক্ষিত অসাধারন, অন্যন্ন, বিচিত্র, অনবদ্য গুনাবলীর প্রচার, প্রসার। অতীত ঐতিহ্যের ধারক বাহক অত্রাঞ্চলের রুচিশীল জনগন অবশ্যই উচ্চশিক্ষিত, দেশবরেন্য নারীনেত্রী, মহা জোটের পক্ষে নৌকার কান্ডারী, জননেত্রী ‘শিরীন আকতারের প্রতি শেষ বিকেলে আস্থা স্থাপন করবে।



(পরবর্তি সংবাদ) »



মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*